০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসিতে আপিল আবেদনের সময় শেষ

প্রার্থিতা ফেরত চান ৫৬১ জন
শুনানি শুরু আজ, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে পাঁচ দিনের আপিল আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বেঁধে দেওয়া আপিল আবেদনের সময় শেষ হয়। আর প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
এদিকে এসব আবেদনের শুনানি শুরু হবে আজ রোববার থেকে। কমিশন বলছে, নিয়ম মেনে আপিল করলে ন্যায়বিচার পাবেন প্রার্থীরা। সব আবেদনের নিষ্পত্তি হবে আইন মেনে।
গতকাল শনিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব তথ্য জানান।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং শেষ দিনে ১৩০ জন আপিল করেছেন। পাঁচ দিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। এরমধ্যে বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হকের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেছেন নাসিরুল হক খান। তিনি ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর আগে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতেও ইসিতে আপিল করেন নাসিরুল হক খান। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আগে তিনবার নৌকার মনোনয়ন পান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জমা দেন মনোনয়নপত্র। গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে এসে দাবি করেন, তুচ্ছ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ বলেন, ২০১৪ সালে আমার নামে একটি এফআইআর ছিল। সেজন্য বাতিল করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। তবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না এই মর্মে এরই মধ্যে এফআইআরের ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আপিল করলাম।
আওলাদের দাবি, গুরুতর অভিযোগ থাকলেও অন্য দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেন, ঋণ থাকার পরও মুজিবুল হক চুন্নুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী চুন্নুর ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ আছে।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মনোনয়নের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। কুমিল্লা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমদ। কুমিল্লা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধেও ইসিতে এক ব্যক্তি আপিল করেছেন।
কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যারা সঠিক নিয়মে আপিল করেছেন তারা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। গতকাল আপিল দায়েরের সময় শেষ হয়। জমা হওয়া আপিলের ওপর আজ রোববার থেকে শুনানি শুরু হবে, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

জনপ্রিয় সংবাদ

রামু সেনানিবাসে তিন দিনব্যাপী গলফ টুর্নামেন্ট শেষ, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ

ইসিতে আপিল আবেদনের সময় শেষ

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রার্থিতা ফেরত চান ৫৬১ জন
শুনানি শুরু আজ, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে পাঁচ দিনের আপিল আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বেঁধে দেওয়া আপিল আবেদনের সময় শেষ হয়। আর প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
এদিকে এসব আবেদনের শুনানি শুরু হবে আজ রোববার থেকে। কমিশন বলছে, নিয়ম মেনে আপিল করলে ন্যায়বিচার পাবেন প্রার্থীরা। সব আবেদনের নিষ্পত্তি হবে আইন মেনে।
গতকাল শনিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব তথ্য জানান।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং শেষ দিনে ১৩০ জন আপিল করেছেন। পাঁচ দিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। এরমধ্যে বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হকের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেছেন নাসিরুল হক খান। তিনি ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর আগে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতেও ইসিতে আপিল করেন নাসিরুল হক খান। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আগে তিনবার নৌকার মনোনয়ন পান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জমা দেন মনোনয়নপত্র। গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে এসে দাবি করেন, তুচ্ছ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ বলেন, ২০১৪ সালে আমার নামে একটি এফআইআর ছিল। সেজন্য বাতিল করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। তবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না এই মর্মে এরই মধ্যে এফআইআরের ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আপিল করলাম।
আওলাদের দাবি, গুরুতর অভিযোগ থাকলেও অন্য দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেন, ঋণ থাকার পরও মুজিবুল হক চুন্নুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী চুন্নুর ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ আছে।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মনোনয়নের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। কুমিল্লা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমদ। কুমিল্লা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধেও ইসিতে এক ব্যক্তি আপিল করেছেন।
কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যারা সঠিক নিয়মে আপিল করেছেন তারা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। গতকাল আপিল দায়েরের সময় শেষ হয়। জমা হওয়া আপিলের ওপর আজ রোববার থেকে শুনানি শুরু হবে, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।