বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় দুই বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে শিশুটির সৎবাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. ইয়ামিন (২৪)। শনিবার রাতে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেইট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. ইয়ামিন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মুর্শিদের বাজার তালুক সর্বানন্দ গ্রামের আবছার আলীর ছেলে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, পোশাক কর্মী রওশনারা বেগম তাঁর তৃতীয় স্বামী মো. ইয়ামিনকে নিয়ে আকমল আলী রোডের পকেট গেইটের মোহাম্মদ আলী ভবনে থাকেন। তাদের সঙ্গে রওশনারা বেগমের দ্বিতীয় সংসারের দুই বছর বয়সী ছেলে ওমর ফারুকও থাকত। ওমর ফারুককে পছন্দ করত না ইয়ামিন। প্রায় সময় মারধর করত। গত বৃহস্পতিবার রওশনারা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ওমর ফারুককে তার সৎবাবা ইয়ামিনের কাছে রেখে যান। পুলিশ আরও জানায়, ওইদিন ইয়ামিন ধাক্কা দিলে মাথার পিছনের দিক দেয়ালে লেগে গুরুতর আহত হয় শিশুটি। শিশুটির মা কর্মস্থল থেকে এসে দেখেন, শিশুটি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। শিশুটিকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। চমেক হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় শিশুটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শনিবার শিশুটিকে ইপিজেড এলাকায় নিয়ে গিয়ে দাফনের চেষ্টা করেন ইয়ামিন। এর আগেও শিশুটির শরীরে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা বলেন, শিশুটির সৎবাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। শনিবার রাতে শিশুটির মা রওশনারা বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শিরোনাম
চট্টগ্রামে শিশুকে হত্যার অভিযোগে সৎবাবা গ্রেপ্তার
-
চট্টগ্রাম ব্যুরো - আপডেট সময় : ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
- ।
- 121
জনপ্রিয় সংবাদ
























