কারাগারে বসেও নির্বাচনের সুযোগ হারালেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগের দিন ইমরান খানের আপিল খারিজ করে দিলেন পাকিস্তানের হাইকোর্ট।
আপিল খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগের দোষী সাব্যস্ত হওয়া রায় স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্যই থাকবেন তিনি।
এর আগে গত বুধবার ইমরান খানের আরেক আইনজীবী আলী জাফর জানিয়েছিলেন, কারাগারে বসেই লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ আসনে লড়াই করবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান।
সাইফার মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে অন্যান্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারামুক্ত হতে পারছেন না তিনি।
ইমরান খানের রাজনৈতিক সহযোগী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ্ মাহমুদ কোরেশিকেও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন মামলায় জামিন দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। খবর ডনের।
গতকাল শুক্রবার এ মামলায় জামিন পেলেও ইমরানকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। কারণ অন্য কয়েকটি মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। একই সঙ্গে তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন ওই আদালত।
তাছাড়া রায় ঘোষণার পর একই দিনে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
যদিও ইসলামাবাদ দায়রা আদালতের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তবে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসসহ আরো কয়েকটি মামলায় এখনো কারাগারেই আছেন ইমরান খান।
ধারণা করা হচ্ছে, গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায়ও দণ্ড পেলে আর কখনোই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৪০টিরও বেশি মামলা হয়েছে।


























