শীতের মৌসুম এলেই বাহারি সব পোশাকে ভরপুর হয়ে হয়ে উঠে শপিং মল। তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই বদলে যায় ফ্যাশনের হালচিত্র। আসে নতুন নতুন ডিজাইনের জ্যাকেট, চাদর ও শীতের নানর পোশাক। হালকা শীতে শখেই গায়ে চাদর জড়ান কেউ কেউ। অন্য অনেক পোশাকের চেয়ে শীতের ফ্যাশন নানান রকমের চাদরের চাহিদা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজও গ্রাহকের নজরে নিয়ে আসে শৈল্পিক ও অনন্য কারুকাজের চাদর।
নানান কারুকাজের নকশায় বানানো চাদর যে কোন পোশাকের সাথে মিলে যায় দারুণভাবে। একেক দেশে চাদর পরায় দেখা নানান বৈচিত্র্যতা। আমাদের দেশে সাধারণত গায়ে জড়িয়েই চাদর পরা হয়। অনেকে শীতের স্যুয়েটার বা জ্যাকেটের সাতে বিভিন্নভাবে পরে থাকেন। খাদি চাদরের আছে বিশেষ চাহিদা। এ ছাড়াও সুতায় বোনা চাদর, অ্যান্ডি চাদর, ডুপিয়ান কাপড়, তসরের চাদর, সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদরও পাওয়া পাওয়া যায়।

নানান ডিজাইনে করা হচ্ছে প্রিন্ট ও বাটিকের কাজ। বাহারি ফুলের নকশাও আছে বেশ নজর কাড়া। সেইসথে এক রঙের শাল বা চাদরে নকশার কাজ ও পাথরে নকশিকাঁথার কাজ নিয়ে হাজির হয় বাজারে। শালের বুনন, নকশা, সুতা বা কাপড়ের মানভেদে দামে ভিন্নতা দেখা যায়। বিভিন্ন ডিজাইনের, বিভিন্ন রঙের শাল বা চাদর এই শীতে আপনাকে করে তুলবে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
সম্প্রতি বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজ চাদরকে বাংলা ভাষার নানান কবিতা ও লেখা দিয়ে উপস্থাপন করছে। আছে কবিদের ছবি কিংবা প্রকৃতির অনন্য ছোঁয়া। এসব আলাদা ডিজাইনে রয়েছে তরুণ প্রজন্মের চাহিদা। শাড়ীর মত চাদরেও এসেছে নানান নকশার চমক। আছে আলাদা আভিজাত্য। মণিপুরি নকশার চাদরে ফুুুটিয়ে তোলা হয়েছে ঐতিহ্য ও লোকজ শিল্প।

তরুণদের দেখা যায় চাদরের ফ্যশনের সাথে মানিয়ে নিতে। ছেলেরা পাঞ্জাবি, অফিশিয়াল বা ক্যাজুয়াল সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই শাল জড়িয়ে নিতে পারেন। হালকা শীতে পাতলা আর কম চওড়া এমন শাল বেছে নিতে পারেন। পাঞ্জাবির সাথে চাদরের ফ্যাশন যেন প্রকাশ করে জমিদারি আভিজাত্য। এ ক্ষেত্রে এক রঙা চাদরের রয়েছে আলাদা কদর। পাঞ্জাবির সাথে বেশ মানানসইও বটে।
শীত মানেই শাড়ী আর চাদরের যেন মেলবন্ধন। অফিস থেকে শুরু করে যে কোন আমন্ত্রণে শাড়ীর সাথে মিলিয়ে পরা যায় নানান নকশার চাদর। এর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সবার মাঝে থাকে হাস্যরসিক আলোচনা। সব ধরনের পোশাকের সাথে যাতে সহজেই মানিয়ে নেয়া যায় এজন্য থাকে প্রকৃতি ও ফুলের ছোঁয়া।
মিজান ফারাবী 

























