০২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে বসানো হচ্ছে এক লক্ষ প্রি পেইড গ্যাস মিটার

চট্টগ্রামে নতুন করে আরো এক লক্ষ গ্যাস চুলায় বসানো হচ্ছে প্রি পেইড গ্যাস মিটার। গ্যাসের অপচয় রোধসহ গ্রাহকদের সুবিধার্থে এসব গ্যাস মিটার সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। ২ শত ৯১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে এক লক্ষ প্রি পেইড গ্যাস মিটার বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। চলতি নতুন বছরের গত ১৬ জানুয়ারী থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাঠ পর্যায়ে বাসা – বাড়ীতে এসব প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন।

এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় ৬০ হাজার প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করা হয়েছিল। পূর্বে বসানো প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিটি মিটার রেন্ট (মিটার ভাড়া ) প্রতি মাসে একশত টাকা করে নেয়া হলেও এবার নতুন প্রকল্পে বসানো প্রি পেইড গ্যাস মিটারের মাসিক ভাড়া নেয়া হবে দুইশত টাকা করে। চলতি জানুয়ারী মাস থেকে মিটার ভাড়ার বাড়তি ফি আদায় করতে হবে প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকদের। শুধু নতুন প্রকল্পের আওতায় নতুন প্রি পেইড গ্যাস মিটারের গ্রাহক নয়, পূর্বের প্রি পেইড গ্যাস মিটারের আওতায় থাকা গ্রাহকদেরও গুণতে হবে মিটার রেন্ট (মিটার ভাড়া) একশত টাকার পরিবর্তে প্রতি মাসে দুইশত টাকা।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর প্রি পেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর প্রকৌশলী মোঃ নাহিদ আলম সবুজ বাংলাকে জানান, প্রি পেইড মিটার সংযোজন করার প্রথম প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছিল ২০১৯ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে ৬০ হাজার চুলায় ৬০ হাজার প্রি পেইড মিটার সংযোজন করা হয়েছিল। এসব মিটারের কোয়ালিটিসহ সব ধরনের সার্ভিস উন্নত হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে প্রি পেইড গ্যাস মিটার ব্যবহারে বেশ আগ্রহ দেখা দেয়। এতে গ্যাস ব্যবহারে গ্রাহকরাও বেশ সচেতন থাকেন। ফলে গ্যাসের অপচয় হয় অনেক কম। ন্যাচারেল গ্যাস সংকটওরয়েছে অনেক বেশী। গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহকদের ডিমান্ড পরিপূর্ণ করতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করে বিগত ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে।প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একটি ডিপিপি প্রস্তুুত করা হয় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে। ডিপিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়।

সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর প্রকল্পের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ বাস্তবায়ন করছেন জাপানের টইওকিকি কোম্পানী লিমিটেড। এই মেগা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২ শত ৯১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। তবে চলতি ২০২৪ সালের ৩ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়েই কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমন আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রকল্পের প্রি পেইড মিটারসহ প্রয়োজনীয় মালামালের প্রথম চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। প্রথম চালানের মালামাল পৌঁছানোর পর চলতি নতুন বছরের জানুয়ারী মাসের ১৬ তারিখ থেকে গ্রাহকদের চুলায় দ্বিতীয় প্রকল্পের মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের যেসব এলাকার বাসা – বাড়ীতে নতুন ভাবে প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হচ্ছে, সেইসব বাসা-বাড়ীর মালিকরা মিটার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। মিটার স্থাপনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জাপানী প্রকৌশলীসহ অভিজ্ঞ লোকজন চট্টগ্রামে অবস্থান করেই মিটার স্থাপনের কাজ তদারকি করছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীগণ পূর্বে বসানো মিটারসহ নতুন ভাবে বসানো মিটারের বর্ধিত মিটার ভাড়াসহ সব ধরনের সফটওয়্যারের কাজ করছেন বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। এবারের সফটওয়্যারে মিটারের কার্ডে মোবাইলে বিল পরিশোধের সিস্টেমও করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রজানিয়েছেন। পূর্বের প্রি পেইড গ্যাস মিটার  গ্রাহকরা তাদের কার্ড নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাংক ও নির্দিষ্ট রিচার্জ ষ্টেশনে গিয়ে টাকা রিচার্জ করতেন। আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ নাগাদ থেকে প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকরা বিকাশ ও উপায় এর মাধ্যমে মোবাইলে বিল পে করে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে সফটওয়্যার আপগ্রেড কাজে বিকাশ ও উপায় কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করে সফটওয়্যারের আওতায় আনার কাজ করছেন জাপানের টইওকিকি কোম্পানী লিমিটেড। পরবর্তীতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অন্যান্য অপারেটরদের সাথেও চুক্তি করে মোবাইলে রিচার্জ করার জন্য গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছরের আগামী মার্চ মাস থেকে বিকাশ ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকরা তাদের মিটারের বিল পরিশোধের সুযোগ পাবেন। পূর্বের প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকরাও এই সুবিধার মধ্য দিয়ে তাদের রিচার্জ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। রিচার্জ শেষ হয়ে গেলে পূর্বের ন্যায় গ্রাহকরা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন সহজেই। প্রি পেইড গ্যাস মিটারে গ্রাহকদের কিছুটা সাশ্রয় হতো পোষ্ট পেইড গ্যাস বিলের গ্রাহকদের সাথে তুলনা করলে। তবে এবার মিটার রেন্ট একশত টাকা বৃদ্ধি করায় গ্রাহকরা প্রি পেইড মিটারে গ্যাস ব্যবহার করে আদৌ লাভবান হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে অনেক গ্রাহকদের মাঝে। মিটার ভাড়া, ওয়েব সিস্টেমসহ দাপ্তরিক কাজে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মিটার রেন্ট সামান্য বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, এমন আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর অধীণে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার আবাসিক গ্যাস গ্রাহকের চুলা রয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ। এসব চুলার মধ্যে প্রথম প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০ হাজার প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করা হয়েছিল। চলমান দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় আরো এক লক্ষ চুলায় প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করা হবে। বাকী থাকবে আরো ৪ লক্ষ ৪০ হাজার চুলা। বাকী চুলায়ও পর্যায়ক্রমে প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, কর্ণফুলী গ্যাসের প্ল্যানিং বিভাগ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

চট্টগ্রামে বসানো হচ্ছে এক লক্ষ প্রি পেইড গ্যাস মিটার

আপডেট সময় : ০৭:০৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রামে নতুন করে আরো এক লক্ষ গ্যাস চুলায় বসানো হচ্ছে প্রি পেইড গ্যাস মিটার। গ্যাসের অপচয় রোধসহ গ্রাহকদের সুবিধার্থে এসব গ্যাস মিটার সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। ২ শত ৯১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে এক লক্ষ প্রি পেইড গ্যাস মিটার বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। চলতি নতুন বছরের গত ১৬ জানুয়ারী থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাঠ পর্যায়ে বাসা – বাড়ীতে এসব প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন।

এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় ৬০ হাজার প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করা হয়েছিল। পূর্বে বসানো প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিটি মিটার রেন্ট (মিটার ভাড়া ) প্রতি মাসে একশত টাকা করে নেয়া হলেও এবার নতুন প্রকল্পে বসানো প্রি পেইড গ্যাস মিটারের মাসিক ভাড়া নেয়া হবে দুইশত টাকা করে। চলতি জানুয়ারী মাস থেকে মিটার ভাড়ার বাড়তি ফি আদায় করতে হবে প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকদের। শুধু নতুন প্রকল্পের আওতায় নতুন প্রি পেইড গ্যাস মিটারের গ্রাহক নয়, পূর্বের প্রি পেইড গ্যাস মিটারের আওতায় থাকা গ্রাহকদেরও গুণতে হবে মিটার রেন্ট (মিটার ভাড়া) একশত টাকার পরিবর্তে প্রতি মাসে দুইশত টাকা।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর প্রি পেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর প্রকৌশলী মোঃ নাহিদ আলম সবুজ বাংলাকে জানান, প্রি পেইড মিটার সংযোজন করার প্রথম প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছিল ২০১৯ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে ৬০ হাজার চুলায় ৬০ হাজার প্রি পেইড মিটার সংযোজন করা হয়েছিল। এসব মিটারের কোয়ালিটিসহ সব ধরনের সার্ভিস উন্নত হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে প্রি পেইড গ্যাস মিটার ব্যবহারে বেশ আগ্রহ দেখা দেয়। এতে গ্যাস ব্যবহারে গ্রাহকরাও বেশ সচেতন থাকেন। ফলে গ্যাসের অপচয় হয় অনেক কম। ন্যাচারেল গ্যাস সংকটওরয়েছে অনেক বেশী। গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহকদের ডিমান্ড পরিপূর্ণ করতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করে বিগত ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে।প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একটি ডিপিপি প্রস্তুুত করা হয় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে। ডিপিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়।

সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর প্রকল্পের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ বাস্তবায়ন করছেন জাপানের টইওকিকি কোম্পানী লিমিটেড। এই মেগা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২ শত ৯১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। তবে চলতি ২০২৪ সালের ৩ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়েই কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমন আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রকল্পের প্রি পেইড মিটারসহ প্রয়োজনীয় মালামালের প্রথম চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। প্রথম চালানের মালামাল পৌঁছানোর পর চলতি নতুন বছরের জানুয়ারী মাসের ১৬ তারিখ থেকে গ্রাহকদের চুলায় দ্বিতীয় প্রকল্পের মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের যেসব এলাকার বাসা – বাড়ীতে নতুন ভাবে প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হচ্ছে, সেইসব বাসা-বাড়ীর মালিকরা মিটার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। মিটার স্থাপনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জাপানী প্রকৌশলীসহ অভিজ্ঞ লোকজন চট্টগ্রামে অবস্থান করেই মিটার স্থাপনের কাজ তদারকি করছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীগণ পূর্বে বসানো মিটারসহ নতুন ভাবে বসানো মিটারের বর্ধিত মিটার ভাড়াসহ সব ধরনের সফটওয়্যারের কাজ করছেন বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। এবারের সফটওয়্যারে মিটারের কার্ডে মোবাইলে বিল পরিশোধের সিস্টেমও করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রজানিয়েছেন। পূর্বের প্রি পেইড গ্যাস মিটার  গ্রাহকরা তাদের কার্ড নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাংক ও নির্দিষ্ট রিচার্জ ষ্টেশনে গিয়ে টাকা রিচার্জ করতেন। আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ নাগাদ থেকে প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকরা বিকাশ ও উপায় এর মাধ্যমে মোবাইলে বিল পে করে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে সফটওয়্যার আপগ্রেড কাজে বিকাশ ও উপায় কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করে সফটওয়্যারের আওতায় আনার কাজ করছেন জাপানের টইওকিকি কোম্পানী লিমিটেড। পরবর্তীতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অন্যান্য অপারেটরদের সাথেও চুক্তি করে মোবাইলে রিচার্জ করার জন্য গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছরের আগামী মার্চ মাস থেকে বিকাশ ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকরা তাদের মিটারের বিল পরিশোধের সুযোগ পাবেন। পূর্বের প্রি পেইড গ্যাস মিটার গ্রাহকরাও এই সুবিধার মধ্য দিয়ে তাদের রিচার্জ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। রিচার্জ শেষ হয়ে গেলে পূর্বের ন্যায় গ্রাহকরা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন সহজেই। প্রি পেইড গ্যাস মিটারে গ্রাহকদের কিছুটা সাশ্রয় হতো পোষ্ট পেইড গ্যাস বিলের গ্রাহকদের সাথে তুলনা করলে। তবে এবার মিটার রেন্ট একশত টাকা বৃদ্ধি করায় গ্রাহকরা প্রি পেইড মিটারে গ্যাস ব্যবহার করে আদৌ লাভবান হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে অনেক গ্রাহকদের মাঝে। মিটার ভাড়া, ওয়েব সিস্টেমসহ দাপ্তরিক কাজে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মিটার রেন্ট সামান্য বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, এমন আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর অধীণে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার আবাসিক গ্যাস গ্রাহকের চুলা রয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ। এসব চুলার মধ্যে প্রথম প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০ হাজার প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করা হয়েছিল। চলমান দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় আরো এক লক্ষ চুলায় প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করা হবে। বাকী থাকবে আরো ৪ লক্ষ ৪০ হাজার চুলা। বাকী চুলায়ও পর্যায়ক্রমে প্রি পেইড গ্যাস মিটার সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, কর্ণফুলী গ্যাসের প্ল্যানিং বিভাগ।