০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাল বানরের ক্লোন করল চীন

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • 156

প্রথমবারের মতো লাল বানর বা রেসাস বানরের ক্লোন করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই প্রজাতির বানরের মানুষের সঙ্গে জিনগত মিল সবচেয়ে বেশি এবং তাদের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপও মানুষের মতোই। আর তাই এই বানর ক্লোনের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা গবেষণায় ব্যাপক সম্ভাবনার দাবি করছেন গবেষকরা।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই অর্থাৎ তিন বছর আগেই রেসাস বানরের ক্লোন তৈরি করেছে তারা। ক্লোন করে তৈরি বানরটির নামকরণ করা হয়েছে রেট্রো। গবেষকরা জানিয়েছেন বর্তমানে প্রাণীটি সুস্থ আছে।

চীন এর আগেও রেসাস বানর ক্লোন করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তখন ক্লোন করা হলেও তা জন্মদান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। প্রচেষ্টার কয়েক ঘণ্টা পরই ভ্রুণ মারা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেট্রো হল প্রাইমেটের দ্বিতীয় প্রজাতি যা বিজ্ঞানীরা সফলভাবে ক্লোন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে চীনা বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সালে ক্লোনের মাধ্যমে জন্ম দেন বিশ্বের প্রথম বানরের। সেসময় ম্যাকক বানরের ক্লোন তৈরি করে চীনারা।

দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, রেসাস বানর ক্লোনের মাধ্যমে ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও গতিশীল হবে, কেননা জিনগত অভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী মেডিকেল পরীক্ষায় একই রকম ফলাফল দেয়, যা পরীক্ষণের নিশ্চয়তা বাড়ায়। এই ক্লোন হবে রোগ গবেষণায় মডেল।

চীনা গবেষকদের দাবি, রেসাস বানর ক্লোন সফল হওয়ায় বায়োমেডিকেল গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে পারে।

১৯৯৬ সালে ডলি নামের ক্লোন ভেড়ার জন্ম দিয়ে গোটা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে তখন তুমুল আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় পুরো বিশ্বে।

তবে চীনের এই ক্লোনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন প্রাণী কল্যাণ গোষ্ঠী। তাদের দাবি, ক্লোনের এই উন্নয়নের জন্য তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কেননা, এর মধ্য দিয়ে এবার মানুষের ক্লোন করার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কেননা, লাল বানর জেনেটিক গঠনের দিক থেকে মানুষের খুব কাছের প্রাণী।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (আরএসপিসিএ) এর মুখপাত্র বলেন, সংস্থাটি বিশ্বাস করে প্রাণীর দুর্ভোগ মানব রোগীদের জন্য যে কোনও তাৎক্ষণিক সুবিধার চেয়ে বেশি।

রেসাস বা লাল বানর মূলত এশিয়ার বন্য অঞ্চলে বিশেষ বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং চীন হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির বানর মেডিকেল ল্যাবে সংক্রামক ব্যাধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গবেষণায় বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

লাল বানরের ক্লোন করল চীন

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

প্রথমবারের মতো লাল বানর বা রেসাস বানরের ক্লোন করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই প্রজাতির বানরের মানুষের সঙ্গে জিনগত মিল সবচেয়ে বেশি এবং তাদের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপও মানুষের মতোই। আর তাই এই বানর ক্লোনের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা গবেষণায় ব্যাপক সম্ভাবনার দাবি করছেন গবেষকরা।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই অর্থাৎ তিন বছর আগেই রেসাস বানরের ক্লোন তৈরি করেছে তারা। ক্লোন করে তৈরি বানরটির নামকরণ করা হয়েছে রেট্রো। গবেষকরা জানিয়েছেন বর্তমানে প্রাণীটি সুস্থ আছে।

চীন এর আগেও রেসাস বানর ক্লোন করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তখন ক্লোন করা হলেও তা জন্মদান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। প্রচেষ্টার কয়েক ঘণ্টা পরই ভ্রুণ মারা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেট্রো হল প্রাইমেটের দ্বিতীয় প্রজাতি যা বিজ্ঞানীরা সফলভাবে ক্লোন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে চীনা বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সালে ক্লোনের মাধ্যমে জন্ম দেন বিশ্বের প্রথম বানরের। সেসময় ম্যাকক বানরের ক্লোন তৈরি করে চীনারা।

দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, রেসাস বানর ক্লোনের মাধ্যমে ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও গতিশীল হবে, কেননা জিনগত অভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী মেডিকেল পরীক্ষায় একই রকম ফলাফল দেয়, যা পরীক্ষণের নিশ্চয়তা বাড়ায়। এই ক্লোন হবে রোগ গবেষণায় মডেল।

চীনা গবেষকদের দাবি, রেসাস বানর ক্লোন সফল হওয়ায় বায়োমেডিকেল গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে পারে।

১৯৯৬ সালে ডলি নামের ক্লোন ভেড়ার জন্ম দিয়ে গোটা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে তখন তুমুল আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় পুরো বিশ্বে।

তবে চীনের এই ক্লোনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন প্রাণী কল্যাণ গোষ্ঠী। তাদের দাবি, ক্লোনের এই উন্নয়নের জন্য তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কেননা, এর মধ্য দিয়ে এবার মানুষের ক্লোন করার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কেননা, লাল বানর জেনেটিক গঠনের দিক থেকে মানুষের খুব কাছের প্রাণী।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (আরএসপিসিএ) এর মুখপাত্র বলেন, সংস্থাটি বিশ্বাস করে প্রাণীর দুর্ভোগ মানব রোগীদের জন্য যে কোনও তাৎক্ষণিক সুবিধার চেয়ে বেশি।

রেসাস বা লাল বানর মূলত এশিয়ার বন্য অঞ্চলে বিশেষ বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং চীন হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির বানর মেডিকেল ল্যাবে সংক্রামক ব্যাধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গবেষণায় বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।