০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হত্যা মামলার আসামিকে ৮০০ বছর কারাদণ্ড

১৬ জনকে হত্যার দায়ে রিগোবের্তো দানিলো মোরালেস (৩৭) নামের এক অপরাধীকে মোট ৮০৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার একটি আদালত। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএফপি।

সাজাপ্রাপ্ত রিগোবার্তো দানিলো মোরালেস গুয়েতেমালার মাদক ব্যবসা ও পাচারকারী একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যে ১৭ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে মোরালেসের বিরুদ্ধে, তাদের ১৫ জন পার্শ্ববর্তী দেশ নিকারাগুয়া এবং একজন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। ২০০৮ সালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ নিকারাগুয়া থেকে বাসে করে একটি বড় মাদকের চালান আসার কথা ছিল এবং রাজধানী গুয়েতেমালা সিটিতে প্রবেশের আগেই বাসটি থামিয়ে সেই চালান সংগ্রহের কথা ছিল মোরালেস ও তার দলের অন্যান্য সদস্যদের।

সেই অনুযায়ী নির্জন স্থানে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছিলেন মোরালেস ও তার দলের সদস্যরা। নির্ধারিত সময়ে ওই সড়কে নিকারাগুয়া থেকে আগত একটি বাস থামিয়ে সেখানে প্রবেশও করেছিলেন, কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারেন যে এটি সেই বাস নয়।

চালক ও যাত্রীরা যে পুলিশের কাছে তাদের পরিচয় ফাঁস না করে দেন— সেজন্য চালকসহ বাসের সব যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।

এ ঘটনার পরপরই ফেরার হয়ে গিয়ে গিয়েছিলেন মোরালেস । তার দলের অন্যান্য সঙ্গীদের পাকড়াও করা গেলেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

প্রায় ১৪ বছর ফেরার থাকার পর ২০২২ সালে ধরা পড়েন মোরালেস। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার বিচার শুরু হয়। সম্প্রতি সেই বিচারের রায় জানালেন বিচারক।

আদালতের কৌঁসুলিরা বলেছেন, প্রতিটি খুনের জন্য মোরালেসকে ৫০ বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারক। তবে তাকে সম্ভবত এত বছর কারাগারে থাকতে হবে না। কারণ গুয়েতামালার দণ্ডবিধি অনুযায়ী, একজন অপরাধীকে সর্বোচ্চ ৫০ বছর কারাবাস করতে পারবেন।

 

 

 

স/ম

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

হত্যা মামলার আসামিকে ৮০০ বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

১৬ জনকে হত্যার দায়ে রিগোবের্তো দানিলো মোরালেস (৩৭) নামের এক অপরাধীকে মোট ৮০৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার একটি আদালত। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএফপি।

সাজাপ্রাপ্ত রিগোবার্তো দানিলো মোরালেস গুয়েতেমালার মাদক ব্যবসা ও পাচারকারী একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যে ১৭ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে মোরালেসের বিরুদ্ধে, তাদের ১৫ জন পার্শ্ববর্তী দেশ নিকারাগুয়া এবং একজন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। ২০০৮ সালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ নিকারাগুয়া থেকে বাসে করে একটি বড় মাদকের চালান আসার কথা ছিল এবং রাজধানী গুয়েতেমালা সিটিতে প্রবেশের আগেই বাসটি থামিয়ে সেই চালান সংগ্রহের কথা ছিল মোরালেস ও তার দলের অন্যান্য সদস্যদের।

সেই অনুযায়ী নির্জন স্থানে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছিলেন মোরালেস ও তার দলের সদস্যরা। নির্ধারিত সময়ে ওই সড়কে নিকারাগুয়া থেকে আগত একটি বাস থামিয়ে সেখানে প্রবেশও করেছিলেন, কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারেন যে এটি সেই বাস নয়।

চালক ও যাত্রীরা যে পুলিশের কাছে তাদের পরিচয় ফাঁস না করে দেন— সেজন্য চালকসহ বাসের সব যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।

এ ঘটনার পরপরই ফেরার হয়ে গিয়ে গিয়েছিলেন মোরালেস । তার দলের অন্যান্য সঙ্গীদের পাকড়াও করা গেলেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

প্রায় ১৪ বছর ফেরার থাকার পর ২০২২ সালে ধরা পড়েন মোরালেস। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার বিচার শুরু হয়। সম্প্রতি সেই বিচারের রায় জানালেন বিচারক।

আদালতের কৌঁসুলিরা বলেছেন, প্রতিটি খুনের জন্য মোরালেসকে ৫০ বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারক। তবে তাকে সম্ভবত এত বছর কারাগারে থাকতে হবে না। কারণ গুয়েতামালার দণ্ডবিধি অনুযায়ী, একজন অপরাধীকে সর্বোচ্চ ৫০ বছর কারাবাস করতে পারবেন।

 

 

 

স/ম