চিনিতে ৩০ ও ভোজ্যতেলে ১৫ থেকে ৫ ভাগ অতিরিক্ত শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রস্তাব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শুল্ক কমাতে এনবিআর দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চারটি পণ্যের শুল্ক কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো- চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালটি হচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তরের। চালের বাজার, মজুত ও বিপণনের দায়িত্ব খাদ্য অধিদপ্তরের।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটো পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে। একটি চিনি, অন্যটি ভোজ্যতেল। বাজারে যেসব পণ্য নিয়ে বেশি আলাপ হয়, তার মধ্যে এ দুটো। এ বিষয়ে বলছি যে, গত ২২ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বলা হয়েছে, যাতে শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এটা আমি এরই মধ্যে বলেছি। গত সোমবারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে। এর আগেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার আমি কী করতে পারি? আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, সেটার জবাব কী হতে পারে? এবার যদি না হয়, তখন আপনি বলতে পারেন, আপনি করলেন, করার পরেও হলো না।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের বাজারের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। প্রতিদিন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ, খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য ও ঢাকা মহানগরীতে পাইকারি বাজার দর প্রকাশ করে। আমরা এখন তিন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারের কী বিষয়ে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে কাজ শুরু করবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বসতে পারিনি। ওমরাহ পালন করার জন্য দেশের বাইরে আছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি এলেই কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারটাকে কীভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা যায় এবং কার কী ভূমিকা, কে কী করবেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করব।
‘এনবিআরের সঙ্গে আর বৈঠক করার দরকার নেই। গত ২২ জানুয়ারি আমরা চিঠি দিয়েছি। বৃহস্পতিবার তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এখন এনবিআর কেন দিচ্ছে না, সেটা গিয়ে তাদের বলতে হবে। রমজান উপলক্ষে চিনির যে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আছে, সেটা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের জায়গায় পাঁচ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। আর খেজুরের একটা ভ্যালু (মূল্য) ঠিক করা ছিল, আমরা বলেছি ইনভয়েস ভ্যালুতে (চালান মূল্য) করটা নির্ধারণ করার জন্য।’
স/মিফা

























