০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা

‘দুর্বল স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধ’ বলায় চটেছেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্টের শ্রেণিবদ্ধ নথিপত্রগুলোর ভুল ব্যবস্থাপনার তদন্তে বাইডেনের মানসিক সক্ষমতার ঘাটতির চিত্র ফুটে ওঠার পর তিনি তাকে এ পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র স্পিকার মাইক জনসন বলেন, ‘শ্রেণিবদ্ধ তথ্যের ভুল ব্যবস্থাপনার জন্য দায়বদ্ধ হতে একেবারে অক্ষম একজন ব্যক্তি অবশ্যই ওভাল অফিসের জন্য ‘অযোগ্য’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্রকাশিত এক তদন্ত রিপোর্টে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা ও বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে ক্ষুব্ধ বাইডেন বলেন, আমার স্মরণশক্তি ঠিক আছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমি আমার বড় ছেলে বো বাইডেনের মারা যাওয়ার কথা মনে করতে পারিনি! তারা কীভাবে এমন দাবি করতে পারেন? এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়তেও দেখা যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি দয়ালু ও বয়স্ক মানুষ। আমি কখন কী করেছি, তা সবই জানি। আমি প্রেসিডেন্ট এবং আমি আমার দেশকে আবারও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছি। সত্যি বলতে, যখন আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল, তখন আমি ভাবছিলাম যে এগুলো তো তাদের ব্যাপার নয়।
তদন্তের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের বিশেষ কাউন্সিলের রবার্ট হুর বাইডেনকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। অতঃপর ৩৪৫ পৃষ্ঠার রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাইডেন নিজের ক্যান্সারে আক্রান্ত সন্তানের কবে মৃত্যু হয়েছে সেটা মনে করতে পারেননি। রিপোর্টে বাইডেনকে একজন ‘কম স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার কি-না সাধারণ তথ্যগুলি মনে রাখতেই বেশ বেগ পেতে হয়।
রিপোর্টে উঠে আসা বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্টের শ্রেণিবদ্ধ নথিপত্রগুলোর ভুল ব্যবস্থাপনার তদন্তে বাইডেনের মানসিক সক্ষমতার ঘাটতির চিত্র ফুটে ওঠার পর তিনি তাকে এ পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র স্পিকার মাইক জনসন বলেন, ‘শ্রেণিবদ্ধ তথ্যের ভুল ব্যবস্থাপনার জন্য দায়বদ্ধ হতে একেবারে অক্ষম একজন ব্যক্তি অবশ্যই ওভাল অফিসের জন্য ‘অযোগ্য’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্রকাশিত এক তদন্ত রিপোর্টে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা ও বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে ক্ষুব্ধ বাইডেন বলেন, আমার স্মরণশক্তি ঠিক আছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমি আমার বড় ছেলে বো বাইডেনের মারা যাওয়ার কথা মনে করতে পারিনি! তারা কীভাবে এমন দাবি করতে পারেন? এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়তেও দেখা যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি দয়ালু ও বয়স্ক মানুষ। আমি কখন কী করেছি, তা সবই জানি। আমি প্রেসিডেন্ট এবং আমি আমার দেশকে আবারও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছি। সত্যি বলতে, যখন আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল, তখন আমি ভাবছিলাম যে এগুলো তো তাদের ব্যাপার নয়।
তদন্তের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের বিশেষ কাউন্সিলের রবার্ট হুর বাইডেনকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। অতঃপর ৩৪৫ পৃষ্ঠার রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাইডেন নিজের ক্যান্সারে আক্রান্ত সন্তানের কবে মৃত্যু হয়েছে সেটা মনে করতে পারেননি। রিপোর্টে বাইডেনকে একজন ‘কম স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার কি-না সাধারণ তথ্যগুলি মনে রাখতেই বেশ বেগ পেতে হয়।
রিপোর্টে উঠে আসা বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন।