০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর না দেওয়া আমাদের সহজাত স্বভাব: এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর না দেওয়ার প্রবণতা আমাদের সহজাত স্বভাব। তবে যাতে করে সবাই স্বপ্রণোদিত হয়ে কর দিতে চায় সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কারণ, উন্নতি করতে হলে দেশের বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি উঠিয়ে দিতে হবে।বুধবার দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর দেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে স্বপ্রণোদিত করতে ঘরে বসেই যেন করা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সবাই ঘরে বসেই ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতে ও সার্টিফিকেট তুলতে পারছেন। এনবিআর ট্যাক্স দানকারীদের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। এ সময় তিনি কাস্টমস, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে সমস্যায় পড়ে সমাধান না পেলে অভিযোগের পরামর্শ দেন। রাজস্বের ওপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি ব্যবসার উপযোগী উন্নত পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে। ৯০ শতাংশ পণ্য এখন দেশেই উৎপাদিত হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তা অভিজাত শ্রেণির মানুষের চাহিদার জন্য। আমাদের হাইস্কিল ম্যান পাওয়ারের প্রয়োজন আছে। দেশের ২১ লাখ রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে এখন তা ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর টিনধারীর সংখ্যা এক কোটির ওপরে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মাসুদ সাদিক, হোসেন আহমদ ও একেএম বদিউল আলম, কর অঞ্চল রাজশাহীর কমিশনার মো. শাহ্ধসঢ়; আলী এবং রাজশাহীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট জাকির
হোসেন বক্তব্য রাখেন। সভায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া অঞ্চলের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কর না দেওয়া আমাদের সহজাত স্বভাব: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর না দেওয়ার প্রবণতা আমাদের সহজাত স্বভাব। তবে যাতে করে সবাই স্বপ্রণোদিত হয়ে কর দিতে চায় সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কারণ, উন্নতি করতে হলে দেশের বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি উঠিয়ে দিতে হবে।বুধবার দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর দেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে স্বপ্রণোদিত করতে ঘরে বসেই যেন করা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সবাই ঘরে বসেই ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতে ও সার্টিফিকেট তুলতে পারছেন। এনবিআর ট্যাক্স দানকারীদের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। এ সময় তিনি কাস্টমস, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে সমস্যায় পড়ে সমাধান না পেলে অভিযোগের পরামর্শ দেন। রাজস্বের ওপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি ব্যবসার উপযোগী উন্নত পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে। ৯০ শতাংশ পণ্য এখন দেশেই উৎপাদিত হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তা অভিজাত শ্রেণির মানুষের চাহিদার জন্য। আমাদের হাইস্কিল ম্যান পাওয়ারের প্রয়োজন আছে। দেশের ২১ লাখ রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে এখন তা ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর টিনধারীর সংখ্যা এক কোটির ওপরে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মাসুদ সাদিক, হোসেন আহমদ ও একেএম বদিউল আলম, কর অঞ্চল রাজশাহীর কমিশনার মো. শাহ্ধসঢ়; আলী এবং রাজশাহীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট জাকির
হোসেন বক্তব্য রাখেন। সভায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া অঞ্চলের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।