আগামী ২১ মার্চ কুয়েত সিটিতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২১ মার্চ দিবাগত রাতে কুয়েতের আল আহমদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে প্রথম লেগের ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলতে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষ করে গতকাল রোববার জাতীয় ফুটবল দল কুয়েতে পৌঁছে গেছেন জামাল ভূইয়ারা। শুরুতে কুয়েতের ভিসা পাওয়া নিয়ে একটু অনিশ্চয়তার মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ দল। যদিও শেষ পর্যন্ত সবাই কুয়েতের ভিসা পেয়েছেন। বোর্ডিং বন্ধ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের দুই ফুটবলার চন্দন রায় ও মোহাম্মদ রফিক কুয়েতের ভিসা হাতে পান।

এই দুই জনের শেষ মুহূর্তের ভিসায় পুরো দলই সৌদি থেকে কুয়েতের ফ্লাইটে উঠতে পারে। কুয়েতের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ দল বেশ ঝক্কি পোহাল। এক মাস আগে কুয়েত ফুটবল ফেডারেশনকে বাফুফে দলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিয়েছে। এরপরও একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ভিসা পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১৫ দিন আগে সৌদি আরবে যায় জাতীয় ফুটবল দল। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আফ্রিকার দল সুদানের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ৩-০ গোলে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে সেখান থেকে ইতিবাচক অনেক কিছু দেখছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী সৌদি আরবের ক্যাম্পে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে ক্যাম্প করার সুযোগ পেয়ে আমরা খুশি ছিলাম, গত বছরও এখানে ক্যাম্প করেছিলাম। বছর জুড়ে যে ধারণা নিয়ে কাজ করেছি, সেটার উন্নতির জন্য এখানকার সুযোগ সুবিধা ভালো। নতুন খেলোয়াড়দের জন্য এ বছরের ভিত তৈরি করে দেবে এই ক্যাম্প।’ সৌদি আরবের প্রস্তুতি থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজছেন কোচ, ‘সুদানের বিপক্ষে এক ম্যাচ ড্র করেছি, একটি ম্যাচে হেরেছি। এগুলো থেকে আমরা ইতিবাচক যেসব দিক খুঁজে পেয়েছি সেটা মূল ম্যাচে করে দেখাতে হবে। ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, দলে অনেক তরুণ ও নতুন খেলোয়াড় এসেছে; যারা আমাদের ধ্যান-ধারণা, পরিকল্পনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে এবং খুব ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছে।’

চোটের কারণে বাংলাদেশ দলের সঙ্গী হতে পারেননি তারিক কাজী ও শেখ মোরসালিন। চোট নিয়েই দলের সঙ্গে সৌদি আরব যাওয়া সাদ উদ্দিন এখনো নিজেকে ফিরে পেতে লড়ছেন। পুরোদমে অনুশীলনে ফেরা হয়নি তাঁর। এরই মধ্যে ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিন। তবে চোট হানা দিয়েছে ফিলিস্তিন দলেও। চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি পাচ্ছে না তিন ফুটবলারকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম উইঙ্গার তামের সায়েম। সর্বশেষ এশিয়ান কাপে চারটি ম্যাচেই শুরুর একাদশে খেলেছেন তিনি। ইরানের বিপক্ষে গোলও করেছিলেন এই উইঙ্গার। তাঁর সঙ্গে দুই মিডফিল্ডার মাহমোদ ওয়াদি ও আতা জাবের চোটগ্রস্ত হওয়ায় পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছে না ফিলিস্তিন। বেশির ভাগ খেলোয়াড় এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলার কারণে এখনো ক্যাম্প শুরু করেনি ফিলিস্তিন। প্রথম লেগের ভেন্যু কুয়েতে আজই পুরো দল একসঙ্গে হওয়ার কথা রয়েছে।

এশিয়ান কাপে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। খেলেছে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আগের দুই ম্যাচে লেবাননের সঙ্গে ড্রয়ের পর শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে ১-০ গোলে।