০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জবি শিক্ষক বহিষ্কার, বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

 

▶ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী
▶ অবন্তিকার আত্মহত্যা : কুমিল্লা যাচ্ছে তদন্ত কমিটি

শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিমকে অকৃতকার্য হওয়া কোর্সগুলোতে সম্পূরক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় দুই শিক্ষককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাব।

বহিষ্কৃত শিক্ষক শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে একই বিভাগরে এক নারী শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানি ও কু-প্রস্তাবের স্বীকার হওয়ার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাবি, বিভাগের শিক্ষক এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন তাকে দিনের পর দিন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় তাকে একাধিকবার পরীক্ষায় ফেল করানো হয়। ২০২১ সালে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিন বছরে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো দুই তদন্ত কমিটির কাছে তিনবার দিতে হয়েছে সাক্ষাৎকার। তবে তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্টে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি অভিযুক্ত শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, তার বিভাগীয় প্রধান ওই কু-প্রস্তাবকারী শিক্ষককে নিয়ে মিমের বাড়িতে গিয়ে বহিষ্কারের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাবাকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার কথা জানান। ২০২২ সালের এই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হলে তিনি বিজয়ী হন। তার পরও সেই কু-প্রস্তাবকারীর বিচার হয়নি বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১৮ মার্চ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ১৯ মার্চ একই অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তিনি।

অবন্তিকার আত্মহত্যা, কুমিল্লা যাচ্ছে তদন্ত কমিটি: শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আজ শুক্রবার কুমিল্লায় যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। তিনি ববলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বেশ কয়েকটি মিটিং করেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে আমরা আগামীকাল কুমিল্লা যাব।

এদিকে সিন্ডিকেট শেষে উপাচার্য বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে উপাচার্যের আশ্বাসের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর পাঁচ স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরির আশ্বাস দেন উপাচার্য।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ্ সাকিব সোহবান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ও নিরাপদ ক্যম্পাস গড়ার লক্ষ্য তারা কাজ করবেন। বিগত দিনে অভিযোগপত্র জমা হলেও তা তেমনভাবে আমলে না নিলেও এখন থেকে যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রশাসন। এ সময় তারা ২০২২ সালের ৮ মার্চ অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান। আগামী রোববার অংকন ও অবন্তিকার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আর গতকাল তারা বিশ^বিদ্যালয়ের বিবিএ ভবনের নিচতলায় অবন্তিকা ও অঙ্কনের গ্রাফিটি অঙ্কন করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জবি শিক্ষক বহিষ্কার, বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

 

▶ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী
▶ অবন্তিকার আত্মহত্যা : কুমিল্লা যাচ্ছে তদন্ত কমিটি

শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিমকে অকৃতকার্য হওয়া কোর্সগুলোতে সম্পূরক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় দুই শিক্ষককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাব।

বহিষ্কৃত শিক্ষক শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে একই বিভাগরে এক নারী শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানি ও কু-প্রস্তাবের স্বীকার হওয়ার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাবি, বিভাগের শিক্ষক এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন তাকে দিনের পর দিন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় তাকে একাধিকবার পরীক্ষায় ফেল করানো হয়। ২০২১ সালে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিন বছরে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো দুই তদন্ত কমিটির কাছে তিনবার দিতে হয়েছে সাক্ষাৎকার। তবে তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্টে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি অভিযুক্ত শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, তার বিভাগীয় প্রধান ওই কু-প্রস্তাবকারী শিক্ষককে নিয়ে মিমের বাড়িতে গিয়ে বহিষ্কারের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাবাকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার কথা জানান। ২০২২ সালের এই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হলে তিনি বিজয়ী হন। তার পরও সেই কু-প্রস্তাবকারীর বিচার হয়নি বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১৮ মার্চ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ১৯ মার্চ একই অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তিনি।

অবন্তিকার আত্মহত্যা, কুমিল্লা যাচ্ছে তদন্ত কমিটি: শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আজ শুক্রবার কুমিল্লায় যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। তিনি ববলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বেশ কয়েকটি মিটিং করেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে আমরা আগামীকাল কুমিল্লা যাব।

এদিকে সিন্ডিকেট শেষে উপাচার্য বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে উপাচার্যের আশ্বাসের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর পাঁচ স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরির আশ্বাস দেন উপাচার্য।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ্ সাকিব সোহবান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ও নিরাপদ ক্যম্পাস গড়ার লক্ষ্য তারা কাজ করবেন। বিগত দিনে অভিযোগপত্র জমা হলেও তা তেমনভাবে আমলে না নিলেও এখন থেকে যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রশাসন। এ সময় তারা ২০২২ সালের ৮ মার্চ অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান। আগামী রোববার অংকন ও অবন্তিকার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আর গতকাল তারা বিশ^বিদ্যালয়ের বিবিএ ভবনের নিচতলায় অবন্তিকা ও অঙ্কনের গ্রাফিটি অঙ্কন করে।