অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের আরো এক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা প্রকতিষ্ঠানের আশঙ্কা, পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। চলতি বছর মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান তার প্রায় সব প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটি তার প্রাথমিক বাজেট লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়বে এবং টানা তিন বছর আন্তর্জাতিক ঘাটতিতে থাকবে। দেশটিতে দারিদ্রসীমার নিচে থাকবে ৪০ শতাংশ লোক। আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হাড় এক দশমিক ৮ শতাংশে থেমে যাবে। দরিদ্র কৃষকরা কৃষি ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। তবে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, পরিবহন, বাণিজ্য ইত্যাদি খাতের ওপর এ লভ্যাংশ নির্ভর করবে। চলতি অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৩০ শতাংশ থাকায় পাকিস্তানে দিনমজুরদের মজুরি মাত্র পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে থাকায় স্কুলগামী শিশুদের সংখ্যা কমতে পারে বলে আশংকা করছে বিশ্ব ব্যাংক। বেশিমাত্রায় দারিদ্রতার স্বীকার হবে খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু, বেলুচিস্তানের মত বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার প্রকোপও ২৯ থেকে ৩২ শতাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে বলা হয়েছে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কম থাকায় পাকিস্তানে এ অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সামাজিক দুর্বলতা বৃদ্ধি ও দারিদ্রতা সীমিত আকারে হ্রাস পাবার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়াও দেশটির চলতি হিসাব ঘাটতি (সিএডি) ৩.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ০.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস ও বৈশ্বিক পণ্যের দাম কমার কারণে পাকিস্তানের চলতি হিসাব ঘাটতি (সিএডি) চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ০.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে তা ছিল ৩.৬ বিলিয়ন ডলার। এদিকে বছরের শুরুতে বিনিময় হাড়ের জটিলতার কারণে দেশটির সরকারি রেমিটেন্স ৬.৮ শতাংশ কমেছে।


























