০২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এআই দিয়ে ভোট প্রভাবিত করতে চায় চীন

লোকসভা নির্বাচন

❖কংগ্রেসের ইশতেহার মিথ্যার ফুলঝুড়ি : মোদি
❖হামলার শিকার এনআইএর কর্মকর্তারা
❖কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে ভারতজুড়ে গণ অনশন

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চীন। শুধু ভারত নয়, এই পরিকল্পনায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনও। মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কংগ্রেসের ইশতেহার মিথ্যার ফুলঝুড়ি। এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় ‘জাতিকে টুকরা টুকরা করার’ অভিপ্রায় স্পষ্ট হয়েছে। অন্যেিদক পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে হামলার শিকার হয়েছেন ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা। অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে ভারতজুড়ে গণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে দলের নেতাকর্মীরা।

‘সেম টার্গেটস, নিউ প্লেবুকস’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে চীন কোনো না কোনো সুবিধা নিতে চাইবে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্নভাবে অন্য দেশের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চীন। এভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নির্বাচনের ফলাফলে আপাতত কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও এই বিষয়ে চীন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে। কোনো রাষ্ট্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এভাবে অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে- তাইওয়ানের নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা এর আগে তাদের চোখে পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, শুধু তাইওয়ানের নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েই ক্ষান্ত হবে না চীন। তাদের লক্ষ্য আরো অনেক দূর। এর জন্য তারা ক্রমাগত উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৩ সালের জুন থেকে চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে টানা সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই সাইবার হামলার লক্ষ্য মূলত তিনটি ক্ষেত্র। এর মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ চীন সাগর এলাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা-প্রযুক্তি ঘাঁটিগুলো। এই তিন ক্ষেত্র লক্ষ্য করে চীন আগামী দিনগুলোতে সাইবার নজরদারি চালিয়ে যাবে। মাঝেমধ্যেই এসব এলাকায় সাইবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি আরো বাড়াতে গত বছরের শেষ দিকে ভারত, ফিলিপাইন, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক মহড়ায়ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু করেছিল চীন।
এদিকে গত শনিবার রাজস্থানের পুষ্করে এক সমাবেশে ভারতের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ইশতেহারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কংগ্রেসের ইশতেহার মুসলিম লীগের একটি শক্তিশালী ছাপ বহন করে। আবার এর কিছু অংশ বামপন্থীদের দ্বারা প্রভাবিত। কংগ্রেসের ইশতেহারে এমন সব কাজকর্মের প্রতিফলন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামকালে মুসলিম লীগের আচরণের মতো। কংগ্রেস জাতির ওপর মুসলিম লীগের আদর্শ চাপিয়ে দিচ্ছে। দলটির ইশতেহার দেশকে এক শতাব্দী পিছিয়ে দেওয়ার অ্যাজেন্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।

এর আগে সাহারানপুরে মোদি বলেন, মহাত্মা গান্ধীসহ অন্যদের যে কংগ্রেস, যেটি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তা কয়েক দশক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আজকের কংগ্রেসের দেশ গড়ার নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গি কোনোটিই নেই।

এর আগে গত জানুয়ারিতে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালীতে আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন ভারতের আর্থিক অনিয়মের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। ২০২২ সালের একটি বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত করতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ভূপতিনগরে যান এনআইএর কর্মকর্তারা। সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁরা। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বরের বিস্ফোরণে ভূপতিনগর থানার অর্জুন নগর গ্রামের একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামের তিনজন মারা যান। কলকাতা হাইকোর্ট ওই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয় এনআইএকে।

তদন্তের অংশ হিসেবে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বলাইচন্দ্র মাইতি ও মনোব্রত জানা নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় এনআইএ। তাঁরা দুজনই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা। দুই দফায় তাদের এনআইএ দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও হাজির না হলে রাতে তাদের গ্রেপ্তার করতে ভূপতিনগরে যায় এনআইএর একটি প্রতিনিধিদল। তাদের গ্রেপ্তার করে ফেরার সময় ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ এনআইএর গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে এনআইএর এক কর্মকর্তা আহত হন। ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় এনআইএ। এই ঘটনার পর ভূপতিনগরে তৃণমূলের সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তারা।

অন্যদিকে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমবারের মতো রোববার দেশে ও বিদেশে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। আম আদমি পার্টির নেতা গোপাল রাই বলেছেন, ভারতজুড়ে এবং বিদেশেও দলের সামুহিক উপবাসে অংশ নিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমর্থকরা। রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই গণ অনশন চলবে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আপের সব বিধায়ক ও পদাধিকারীরা দিনব্যাপী অনশনের জন্য যন্তর মন্তরে জড়ো হয়েছেন।

প্রতিবাদস্থলের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সড়কে ব্যাপক ব্যারিকেড বসানোর কারণে মধ্য-দিল্লির কিছু অংশে যানজট দেখা দিতে পারে। এর আগে, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। ওই সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আম আদমি পার্টির কিছু নেতা-কর্মীকে আটকের পর টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে দিল্লির বিভিন্ন থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

এআই দিয়ে ভোট প্রভাবিত করতে চায় চীন

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

❖কংগ্রেসের ইশতেহার মিথ্যার ফুলঝুড়ি : মোদি
❖হামলার শিকার এনআইএর কর্মকর্তারা
❖কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে ভারতজুড়ে গণ অনশন

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চীন। শুধু ভারত নয়, এই পরিকল্পনায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনও। মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কংগ্রেসের ইশতেহার মিথ্যার ফুলঝুড়ি। এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় ‘জাতিকে টুকরা টুকরা করার’ অভিপ্রায় স্পষ্ট হয়েছে। অন্যেিদক পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে হামলার শিকার হয়েছেন ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা। অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে ভারতজুড়ে গণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে দলের নেতাকর্মীরা।

‘সেম টার্গেটস, নিউ প্লেবুকস’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে চীন কোনো না কোনো সুবিধা নিতে চাইবে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্নভাবে অন্য দেশের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চীন। এভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নির্বাচনের ফলাফলে আপাতত কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও এই বিষয়ে চীন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে। কোনো রাষ্ট্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এভাবে অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে- তাইওয়ানের নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা এর আগে তাদের চোখে পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, শুধু তাইওয়ানের নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েই ক্ষান্ত হবে না চীন। তাদের লক্ষ্য আরো অনেক দূর। এর জন্য তারা ক্রমাগত উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৩ সালের জুন থেকে চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে টানা সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই সাইবার হামলার লক্ষ্য মূলত তিনটি ক্ষেত্র। এর মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ চীন সাগর এলাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা-প্রযুক্তি ঘাঁটিগুলো। এই তিন ক্ষেত্র লক্ষ্য করে চীন আগামী দিনগুলোতে সাইবার নজরদারি চালিয়ে যাবে। মাঝেমধ্যেই এসব এলাকায় সাইবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি আরো বাড়াতে গত বছরের শেষ দিকে ভারত, ফিলিপাইন, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক মহড়ায়ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু করেছিল চীন।
এদিকে গত শনিবার রাজস্থানের পুষ্করে এক সমাবেশে ভারতের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ইশতেহারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কংগ্রেসের ইশতেহার মুসলিম লীগের একটি শক্তিশালী ছাপ বহন করে। আবার এর কিছু অংশ বামপন্থীদের দ্বারা প্রভাবিত। কংগ্রেসের ইশতেহারে এমন সব কাজকর্মের প্রতিফলন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামকালে মুসলিম লীগের আচরণের মতো। কংগ্রেস জাতির ওপর মুসলিম লীগের আদর্শ চাপিয়ে দিচ্ছে। দলটির ইশতেহার দেশকে এক শতাব্দী পিছিয়ে দেওয়ার অ্যাজেন্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।

এর আগে সাহারানপুরে মোদি বলেন, মহাত্মা গান্ধীসহ অন্যদের যে কংগ্রেস, যেটি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তা কয়েক দশক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আজকের কংগ্রেসের দেশ গড়ার নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গি কোনোটিই নেই।

এর আগে গত জানুয়ারিতে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালীতে আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন ভারতের আর্থিক অনিয়মের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। ২০২২ সালের একটি বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত করতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ভূপতিনগরে যান এনআইএর কর্মকর্তারা। সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁরা। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বরের বিস্ফোরণে ভূপতিনগর থানার অর্জুন নগর গ্রামের একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামের তিনজন মারা যান। কলকাতা হাইকোর্ট ওই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয় এনআইএকে।

তদন্তের অংশ হিসেবে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বলাইচন্দ্র মাইতি ও মনোব্রত জানা নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় এনআইএ। তাঁরা দুজনই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা। দুই দফায় তাদের এনআইএ দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও হাজির না হলে রাতে তাদের গ্রেপ্তার করতে ভূপতিনগরে যায় এনআইএর একটি প্রতিনিধিদল। তাদের গ্রেপ্তার করে ফেরার সময় ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ এনআইএর গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে এনআইএর এক কর্মকর্তা আহত হন। ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় এনআইএ। এই ঘটনার পর ভূপতিনগরে তৃণমূলের সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তারা।

অন্যদিকে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমবারের মতো রোববার দেশে ও বিদেশে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। আম আদমি পার্টির নেতা গোপাল রাই বলেছেন, ভারতজুড়ে এবং বিদেশেও দলের সামুহিক উপবাসে অংশ নিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমর্থকরা। রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই গণ অনশন চলবে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আপের সব বিধায়ক ও পদাধিকারীরা দিনব্যাপী অনশনের জন্য যন্তর মন্তরে জড়ো হয়েছেন।

প্রতিবাদস্থলের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সড়কে ব্যাপক ব্যারিকেড বসানোর কারণে মধ্য-দিল্লির কিছু অংশে যানজট দেখা দিতে পারে। এর আগে, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। ওই সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আম আদমি পার্টির কিছু নেতা-কর্মীকে আটকের পর টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে দিল্লির বিভিন্ন থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।