০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরির আশ্বাসে ভুয়া নিয়োগপত্র, ধরা পড়লেন নকল এপিএস!

চাকরি দেয়ার আশ্বাসে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক চক্রের এক প্রতারক  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে লালমনিরহাট থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গত ৩০ এপ্রিল বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিবলু লোমান চৌধুরী নামের এই প্রতারককে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ঢাকা থেকে লালমনিরহাট নিয়ে আসে  শুক্রবার ৩ মে বিকেলে।
তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর লালমনিরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট  আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেফতার হওয়া শিবলুর বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকায় বলে জানা যায়।
জানা যায়, প্রতারক শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ডিজির এপিএস পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদ পাতে। এমন পরিচয়ে  সুকৌশলে লালমনিরহাট ও পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং বিভিন্ন জনের  মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, চাকরি দেয়ার কথা বলে কৌশলে টাকা নিয়ে ঢাকা কৃষি অধিদপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকে। পরে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া হয়। কিন্তু যোগদানের দিন নিয়োগপত্র নিয়ে গেলে আজ কাল করে হয়রানি করেন। তাই গ্রেফতারকৃত শিবলুকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান।
 এ  মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার স্বর্ণগড়া এলাকার মৃত আ. জলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম আফজাল (৪৩), ঢাকার বাড্ডা থানার মতিঝিল বনশ্রী ই ব্লকের কামাল হোসেন (৪০), নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বসন্তবাগ এলাকার দলিলুর রহমানের ছেলে বাপ্পী (৩৫), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার আমিনটারী এলাকার আ. খালেকের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০) ও দলিলুর রহমান (৬০) যার পরিচয় জানা যায়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাদের সাথে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে শিবলু নামে এই মামলায় প্রতারক শিবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে সাবেক সেনা সদস্য বলেও দাবি করেন।

ভুয়া নথিপত্রে মিলছে ঋণ, সঠিকে জটিলতা

চাকরির আশ্বাসে ভুয়া নিয়োগপত্র, ধরা পড়লেন নকল এপিএস!

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
চাকরি দেয়ার আশ্বাসে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক চক্রের এক প্রতারক  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে লালমনিরহাট থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গত ৩০ এপ্রিল বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিবলু লোমান চৌধুরী নামের এই প্রতারককে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ঢাকা থেকে লালমনিরহাট নিয়ে আসে  শুক্রবার ৩ মে বিকেলে।
তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর লালমনিরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট  আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেফতার হওয়া শিবলুর বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকায় বলে জানা যায়।
জানা যায়, প্রতারক শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ডিজির এপিএস পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদ পাতে। এমন পরিচয়ে  সুকৌশলে লালমনিরহাট ও পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং বিভিন্ন জনের  মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, চাকরি দেয়ার কথা বলে কৌশলে টাকা নিয়ে ঢাকা কৃষি অধিদপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকে। পরে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া হয়। কিন্তু যোগদানের দিন নিয়োগপত্র নিয়ে গেলে আজ কাল করে হয়রানি করেন। তাই গ্রেফতারকৃত শিবলুকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান।
 এ  মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার স্বর্ণগড়া এলাকার মৃত আ. জলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম আফজাল (৪৩), ঢাকার বাড্ডা থানার মতিঝিল বনশ্রী ই ব্লকের কামাল হোসেন (৪০), নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বসন্তবাগ এলাকার দলিলুর রহমানের ছেলে বাপ্পী (৩৫), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার আমিনটারী এলাকার আ. খালেকের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০) ও দলিলুর রহমান (৬০) যার পরিচয় জানা যায়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাদের সাথে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে শিবলু নামে এই মামলায় প্রতারক শিবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে সাবেক সেনা সদস্য বলেও দাবি করেন।