ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর কারণ নিছক দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করছে সারাবিশ্ব। এরই মধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা নিয়ে এরই মধ্যে সন্দেহ জাগছে অনেকের মধ্যে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ মধ্যপ্রাচ্য, ইরান বা অন্যান্য ইসরায়েলবিরোধী রাষ্ট্রগুলোর উপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছিল। রাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক সুরক্ষা প্রদান এবং সে অনুযায়ী সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো নজর বিছিয়ে রাখার মাধ্যমে ইসরায়েলের স্বার্থরক্ষা করে মোসাদ। কিন্তু কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার সঙ্গে সংস্থাটির আগের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

ইকোনমিস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈরিতার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে ধারণা অনুমান করছেন যে- এই দুর্ঘটনার পেছনে ইসরায়েল থাকতে পারে। দামেস্কে ইসরায়েল কর্তৃক একজন ইরানি জেনারেলকে হত্যা এবং পরবর্তীতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাইসির মৃত্যুর পেছনে ইসরায়েলের হাত থাকার ধারণা জোরদার হয়েছে। যদিও ইসরায়েল ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে কার্যক্রমের সঙ্গে তবুও তারা কখনো কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে লক্ষ্যবস্তু করেনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ করার জোরালো কারণ রয়েছে। কারণ, ইসরায়েল কখনো কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করার দিকে ধাবিত যায়নি। এমন কিছু করতে যাওয়া মানে ইরানকে যুদ্ধের দিকে আমন্ত্রণ জানানো। তবে এমন একটি সময়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে, যা এই অঞ্চলের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনজুড়ে ইরানের প্রক্সি যুদ্ধ ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। ইরানের নেতৃত্বের মধ্যে যেকোনো অস্থিরতা-সংঘাত এই গোষ্ঠীগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।


























