১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লোকসভা নির্বাচন ইন্ডিয়া জোটের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে : মোদি

➤ ‘৪০০ আসন না পেলেও জিতবে মোদির জোট’
➤ ‘ইন্ডিয়া জোট ৩৫০ আসন প্রাপ্তির দিকে এগোচ্ছে’
➤ ভোট দিতে পারলেন না মমতার ভাই স্বপন
➤ রেকর্ড করল কাশ্মীরের বারামুলা
➤ দিল্লিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি, তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত সোমবার সকাল ৭টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় এই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এদিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাত আসনেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে ব্যারাকপুর, হুগলি ও হাওড়াতে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও দিতে থাকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে প্রায় এক হাজারটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এবার লোকসভা নির্বাচনের ভোটই দিতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, হাওড়া লোকসভা আসনের ভোটার তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ হয়ে গেছে তার নাম। স্বপনের নামের উপরে লেখা ‘ডিলিটেড’। তাই ভোট আর দেওয়া হয়নি তার। ভোট না দিতে পেরে মমতার ভাই বলেন, হাওড়ায় নাম লেখার পর এটাই ছিল আমার প্রথম ভোট। কিন্তু তা আমি দিতে পারলাম না। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। তবে এর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করেননি। স্বপন নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তৃণমূলের হাওড়া জেলা নেতৃত্বকেও বিষয়টি বলেছেন। মধ্য হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তিনি। ২০২২ সাল থেকে এই কেন্দ্রের ভোটার হয়েছেন তিনি।

পঞ্চম পর্বে রেকর্ড করল কাশ্মীরের বারামুলা। এখানে ৫৪ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বারামুলায় গত চার দশকে কখনো এত ভোট পড়েনি। এবার এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন জোকেপিডিপির ফৈয়াজ আহমেদ মির এবং জেকেওপির সাজ্জাদ লোন। বিজেপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। কংগ্রেস ওমরকে সমর্থন করছে। এদিকে লাদাখে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৭ শতাংশের বেশি। পশ্চিমবঙ্গের সাতটি কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৭৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আরামবাগে প্রায় ৭৭ শতাংশ। তারপরই আছে বনগাঁ, প্রায় ৭৬ শতাংশ। কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের তালিকাতেও এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। ১৯১৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি করেছে সিপিএম, মোট ২৪৫টি।

গত সোমবার পশ্চিমঙ্গের ঝাড়গ্রামে এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, লোকসভার পাঁচ দফার ভোটেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। কংগ্রেস এখন ডুবন্ত এক জাহাজ। তৃণমূল কংগ্রেসের জাহাজও ফুটো। কংগ্রেসের শাসনামলে দেশ পিছিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নিত্য সঙ্গী। গত ১০ বছরের ২৫ কোটি মানুষকে মোদি সরকার দারিদ্র্যমুক্ত করেছে। পশ্চিমঙ্গের মানুষের কাছে তৃণমূল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের মদদ দিচ্ছে। এর আগে, পুরুলিয়ায় এক জনসভায় মোদি বলেন, আগামী ৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। কোনো দুর্নীতিবাজকে জেলের বাইরে থাকতে দেওয়া হবে না। তৃণমূল মা, মাটি ও মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন মা, মাটি ও মানুষের অধিকার লুট করছে। শিক্ষক নিয়োগে দুনীতি করে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।

 

৪০০ আসন না পেলেও জিতবে মোদির জোট : প্রশান্ত কিশোর ভারতের চলমান ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল প্রসঙ্গে ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০টি আসন যেমন পাবে না, তেমনি দলটির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সও (এনডিএ) ৪০০ আসন পার করতে পারবে না। কখনো কখনো তাদের দলগুলোর আসন পাওয়ার বিষয়ে একটি সংখ্যা উল্লেখ করতে জোর করা হয়। কিন্তু তিনি যা বলেন, তা কেবলই অনুমান। ২০১৯-এর নির্বাচনে কোনো দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি। বিজেপি পেয়েছিল ৪০ শতাংশের মতো ভোট। এনডিএ জোট ৪০০ আসন না জিতলেও এবারও তারাই ক্ষমতায় আসবে। কারণ, বিরোধীরা ততটা কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। এবার এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা কমতে পারে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মুসলমানরা ভোট না দিলেও বিজেপি সারা দেশে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপি দেশের ৮০ শতাংশ হিন্দু জনসংখ্যার মধ্যে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এর অর্থ হলো, বিজেপি অর্ধেকেরও কম হিন্দুর ভোট পেয়েছে।

‘ইন্ডিয়া জোট ৩৫০ আসন প্রাপ্তির দিকে এগোচ্ছে’ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চম দফার ভোটের পরে গতবারের জেতা আসনগুলো দল ধরে রাখতে পারবে বলে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। জবাবে দিনের শেষে কংগ্রেসের দাবি, পরিবর্তনের হাওয়ায় ভর করে অনায়াসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলবে বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া। কংগ্রেসের পক্ষে গতকাল জয়রাম রমেশ বলেন, দেশজুড়ে পরিবর্তনের ঝড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে হাওয়ায় ভর করে ৩৫০ আসন প্রাপ্তির দিকে এগোচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। মোদির গদি ছাড়তে আর পনেরো দিন বাকি। বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব আর সংবিধান পরিবর্তনের হুমকি বিজেপির হারের কারণ হতে যাচ্ছে। জয়রামের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা বলছেন, কার পক্ষে যে আসলে ঝড় রয়েছে তা ওই পনেরো দিন পরেই বুঝতে পারবেন ইন্ডিয়ার নেতারা। দেশবাসী যে তাদের জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তা ভোটের ফল প্রকাশ হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

দিল্লিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৭ ডিগ্রি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অধিকাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ দিনের রেড অ্যালার্ট জারি করেছে দিল্লির রাজ্য সরকার। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই রেড অ্যালার্টের মেয়াদ। গত রোববার দিল্লির নজফগড় জেলায় ৪৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটিই দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কারণে এরই মধ্যে দিল্লিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বিদ্যুতের চাহিদা। যেসব স্কুল এখনো গ্রীষ্ককালীন ছুটি ঘোষণা করেনি, গত সোমবার রেড অ্যালার্ট জারির পাশাপাশি অবিলম্বে সেসব স্কুলকে ছুটি ঘোষণা করতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার। গ্রীষ্মকালে সাধারণত দিল্লিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার কিছু ওপরে থাকে। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মে যে গরম পড়েছে, তা স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন নয়াদিল্লির আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) কর্মকর্তারা। বিশেষ করে গত চার দিনের প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়েছে ভারতের রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

লোকসভা নির্বাচন ইন্ডিয়া জোটের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে : মোদি

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

➤ ‘৪০০ আসন না পেলেও জিতবে মোদির জোট’
➤ ‘ইন্ডিয়া জোট ৩৫০ আসন প্রাপ্তির দিকে এগোচ্ছে’
➤ ভোট দিতে পারলেন না মমতার ভাই স্বপন
➤ রেকর্ড করল কাশ্মীরের বারামুলা
➤ দিল্লিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি, তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত সোমবার সকাল ৭টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় এই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এদিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাত আসনেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে ব্যারাকপুর, হুগলি ও হাওড়াতে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও দিতে থাকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে প্রায় এক হাজারটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এবার লোকসভা নির্বাচনের ভোটই দিতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, হাওড়া লোকসভা আসনের ভোটার তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ হয়ে গেছে তার নাম। স্বপনের নামের উপরে লেখা ‘ডিলিটেড’। তাই ভোট আর দেওয়া হয়নি তার। ভোট না দিতে পেরে মমতার ভাই বলেন, হাওড়ায় নাম লেখার পর এটাই ছিল আমার প্রথম ভোট। কিন্তু তা আমি দিতে পারলাম না। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। তবে এর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করেননি। স্বপন নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তৃণমূলের হাওড়া জেলা নেতৃত্বকেও বিষয়টি বলেছেন। মধ্য হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তিনি। ২০২২ সাল থেকে এই কেন্দ্রের ভোটার হয়েছেন তিনি।

পঞ্চম পর্বে রেকর্ড করল কাশ্মীরের বারামুলা। এখানে ৫৪ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বারামুলায় গত চার দশকে কখনো এত ভোট পড়েনি। এবার এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন জোকেপিডিপির ফৈয়াজ আহমেদ মির এবং জেকেওপির সাজ্জাদ লোন। বিজেপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। কংগ্রেস ওমরকে সমর্থন করছে। এদিকে লাদাখে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৭ শতাংশের বেশি। পশ্চিমবঙ্গের সাতটি কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৭৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আরামবাগে প্রায় ৭৭ শতাংশ। তারপরই আছে বনগাঁ, প্রায় ৭৬ শতাংশ। কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের তালিকাতেও এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। ১৯১৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি করেছে সিপিএম, মোট ২৪৫টি।

গত সোমবার পশ্চিমঙ্গের ঝাড়গ্রামে এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, লোকসভার পাঁচ দফার ভোটেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। কংগ্রেস এখন ডুবন্ত এক জাহাজ। তৃণমূল কংগ্রেসের জাহাজও ফুটো। কংগ্রেসের শাসনামলে দেশ পিছিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নিত্য সঙ্গী। গত ১০ বছরের ২৫ কোটি মানুষকে মোদি সরকার দারিদ্র্যমুক্ত করেছে। পশ্চিমঙ্গের মানুষের কাছে তৃণমূল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের মদদ দিচ্ছে। এর আগে, পুরুলিয়ায় এক জনসভায় মোদি বলেন, আগামী ৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। কোনো দুর্নীতিবাজকে জেলের বাইরে থাকতে দেওয়া হবে না। তৃণমূল মা, মাটি ও মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন মা, মাটি ও মানুষের অধিকার লুট করছে। শিক্ষক নিয়োগে দুনীতি করে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।

 

৪০০ আসন না পেলেও জিতবে মোদির জোট : প্রশান্ত কিশোর ভারতের চলমান ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল প্রসঙ্গে ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০টি আসন যেমন পাবে না, তেমনি দলটির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সও (এনডিএ) ৪০০ আসন পার করতে পারবে না। কখনো কখনো তাদের দলগুলোর আসন পাওয়ার বিষয়ে একটি সংখ্যা উল্লেখ করতে জোর করা হয়। কিন্তু তিনি যা বলেন, তা কেবলই অনুমান। ২০১৯-এর নির্বাচনে কোনো দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি। বিজেপি পেয়েছিল ৪০ শতাংশের মতো ভোট। এনডিএ জোট ৪০০ আসন না জিতলেও এবারও তারাই ক্ষমতায় আসবে। কারণ, বিরোধীরা ততটা কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। এবার এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা কমতে পারে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মুসলমানরা ভোট না দিলেও বিজেপি সারা দেশে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপি দেশের ৮০ শতাংশ হিন্দু জনসংখ্যার মধ্যে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এর অর্থ হলো, বিজেপি অর্ধেকেরও কম হিন্দুর ভোট পেয়েছে।

‘ইন্ডিয়া জোট ৩৫০ আসন প্রাপ্তির দিকে এগোচ্ছে’ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চম দফার ভোটের পরে গতবারের জেতা আসনগুলো দল ধরে রাখতে পারবে বলে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। জবাবে দিনের শেষে কংগ্রেসের দাবি, পরিবর্তনের হাওয়ায় ভর করে অনায়াসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলবে বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া। কংগ্রেসের পক্ষে গতকাল জয়রাম রমেশ বলেন, দেশজুড়ে পরিবর্তনের ঝড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে হাওয়ায় ভর করে ৩৫০ আসন প্রাপ্তির দিকে এগোচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। মোদির গদি ছাড়তে আর পনেরো দিন বাকি। বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব আর সংবিধান পরিবর্তনের হুমকি বিজেপির হারের কারণ হতে যাচ্ছে। জয়রামের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা বলছেন, কার পক্ষে যে আসলে ঝড় রয়েছে তা ওই পনেরো দিন পরেই বুঝতে পারবেন ইন্ডিয়ার নেতারা। দেশবাসী যে তাদের জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তা ভোটের ফল প্রকাশ হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

দিল্লিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৭ ডিগ্রি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অধিকাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ দিনের রেড অ্যালার্ট জারি করেছে দিল্লির রাজ্য সরকার। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই রেড অ্যালার্টের মেয়াদ। গত রোববার দিল্লির নজফগড় জেলায় ৪৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটিই দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কারণে এরই মধ্যে দিল্লিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বিদ্যুতের চাহিদা। যেসব স্কুল এখনো গ্রীষ্ককালীন ছুটি ঘোষণা করেনি, গত সোমবার রেড অ্যালার্ট জারির পাশাপাশি অবিলম্বে সেসব স্কুলকে ছুটি ঘোষণা করতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার। গ্রীষ্মকালে সাধারণত দিল্লিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার কিছু ওপরে থাকে। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মে যে গরম পড়েছে, তা স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন নয়াদিল্লির আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) কর্মকর্তারা। বিশেষ করে গত চার দিনের প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়েছে ভারতের রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে।