০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে হামাস

06 June 2024, Palestinian Territories, Deir el-Balah: Palestinians inspect damages after an Israeli airstrike on a school for displaced people run by the United Nations Relief and Works Agency for Palestine Refugees in the Near East (UNRWA) in Nuseirat refugee camp in the middle of the Gaza Strip. Photo by: Omar Naaman/picture-alliance/dpa/AP Images Palestinians inspect damage after an Israeli airstrike on a United Nations-run school in Deir El-Balah, Gaza, on June 6. Omar Naaman/dpa/AP

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিজেদের যোদ্ধাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে হারিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর আগে হামাসের সামরিক শাখায় ছিল ২০ থেকে ২৫ হাজার যোদ্ধা। আট মাস পর বর্তমানে গোষ্ঠীটির যোদ্ধা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা নেমে এসেছে ৯ থেকে ১২ হাজারে। এই সময়সীমায় অবশ্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিহত হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা মাত্র ৩০০ বা তার কিছু বেশি। জনবল কমে যাওয়ায় এখন রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন আর সরাসরি সম্মুখ সমরে আসছেন না হামাস যোদ্ধারা। তার পরিবর্তে তারা অ্যামবুশ এবং ইম্প্রোভাইজড বোমার ওপর নির্ভর করছেন বেশি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, আমদের ধারণা, মুখে যা ই বলুক- হামাস এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। এ কারণে তারা এই কৌশল নিয়েছে। যোদ্ধাদের সংখ্যা কমলেও আপাতত অস্ত্র-গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে না হামাস। গোপন সুড়ঙ্গ ও অন্যান্য চোরাপথে তাদের কাছে অস্ত্র আসছে।

 

 

 

এ ইস্যুতে আরো তথ্য জানতে হামাসের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু তাদের কেউই কথা বলতে রাজি হননি। তবে মার্কিন ওই কর্মকর্তার অনুমান যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে তা হলো- গাজায় দীর্ঘ দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই। কারণ গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জাশি হানেগবি বলেছিলেন, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।

 

 

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরয়েলের সীমান্তে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা এবং সেখানকার ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১২০০ সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই যুদ্ধ। হত্যার পাশাপাশি অন্তত ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত এই হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় আট মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত তাদের ৬৪৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। সেখানে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৮৩ হাজার ৭৪ জন।

 

 

 

জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২৭ :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর।

গতকাল এ ঘটনায় একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, নুসেইরাত এলাকায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো। হামলায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীর প্রাণ গেছে। বিদ্যালয়টি ‘হামাসের প্রাঙ্গণ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ওই বিদ্যালয় উদ্বাস্তুদের আবাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার গণমাধ্যম দপ্তর এ কথা জানিয়েছে। তবে হতাহতের বিষয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি। রয়টার্সের পক্ষ থেকেও এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

 

 

 

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান কলম্বিয়ার :
গতকাল অভ্যন্তরীণ নথি ও এক ব্যক্তির বরাতে ব্লুমবার্গ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে কয়লা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক ও বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি কমিটির কাছে কয়লার চালান সীমাবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে কলম্বিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ গাজায় গণহত্যা অভিযোগে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোকে দ্রুত ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ‘দ্য অ্যানাটমি অব আ জেনোসাইড’ নামের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। তিনি অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার। তিনি বলেন, মানবতার সবচেয়ে খারাপ অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং প্রাপ্ত ফলাফলগুলো উপস্থাপন করা আমার দায়িত্ব। গাজায় একটি গোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অপরাধের সীমা অতিক্রম করা হয়েছে বলে আমি দেখতে পেয়েছি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় যোগ দিচ্ছে স্পেন

 

গতকাল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস জানান, গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন। এই সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কামূলক পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। শুধুমাত্র গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসাই নয়, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতি থেকেও স্পেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হল যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।

 

গত জানুয়ারিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করে। ইসরায়েল বলে আসছে তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ করছে। গণহত্যা মামলাটিকে ভিত্তিহীন অভিহিত করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘হামাসের আইনি সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করছে তারা। এই গণহত্যা মামলার রায় দিতে আইসিজের কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। এই রায় বাধ্যতামূলক এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না, যদিও জাতিসংঘের এই শীর্ষ আদালতের কাছে রায় বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর উপায় নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইয়েমেনের দক্ষিণে সৌদি বিমান হামলার অভিযোগ, নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা

রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে হামাস

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিজেদের যোদ্ধাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে হারিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর আগে হামাসের সামরিক শাখায় ছিল ২০ থেকে ২৫ হাজার যোদ্ধা। আট মাস পর বর্তমানে গোষ্ঠীটির যোদ্ধা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা নেমে এসেছে ৯ থেকে ১২ হাজারে। এই সময়সীমায় অবশ্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিহত হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা মাত্র ৩০০ বা তার কিছু বেশি। জনবল কমে যাওয়ায় এখন রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন আর সরাসরি সম্মুখ সমরে আসছেন না হামাস যোদ্ধারা। তার পরিবর্তে তারা অ্যামবুশ এবং ইম্প্রোভাইজড বোমার ওপর নির্ভর করছেন বেশি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, আমদের ধারণা, মুখে যা ই বলুক- হামাস এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। এ কারণে তারা এই কৌশল নিয়েছে। যোদ্ধাদের সংখ্যা কমলেও আপাতত অস্ত্র-গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে না হামাস। গোপন সুড়ঙ্গ ও অন্যান্য চোরাপথে তাদের কাছে অস্ত্র আসছে।

 

 

 

এ ইস্যুতে আরো তথ্য জানতে হামাসের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু তাদের কেউই কথা বলতে রাজি হননি। তবে মার্কিন ওই কর্মকর্তার অনুমান যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে তা হলো- গাজায় দীর্ঘ দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই। কারণ গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জাশি হানেগবি বলেছিলেন, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।

 

 

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরয়েলের সীমান্তে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা এবং সেখানকার ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১২০০ সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই যুদ্ধ। হত্যার পাশাপাশি অন্তত ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত এই হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় আট মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত তাদের ৬৪৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। সেখানে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৮৩ হাজার ৭৪ জন।

 

 

 

জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২৭ :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর।

গতকাল এ ঘটনায় একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, নুসেইরাত এলাকায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো। হামলায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীর প্রাণ গেছে। বিদ্যালয়টি ‘হামাসের প্রাঙ্গণ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ওই বিদ্যালয় উদ্বাস্তুদের আবাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার গণমাধ্যম দপ্তর এ কথা জানিয়েছে। তবে হতাহতের বিষয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি। রয়টার্সের পক্ষ থেকেও এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

 

 

 

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান কলম্বিয়ার :
গতকাল অভ্যন্তরীণ নথি ও এক ব্যক্তির বরাতে ব্লুমবার্গ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে কয়লা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক ও বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি কমিটির কাছে কয়লার চালান সীমাবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে কলম্বিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ গাজায় গণহত্যা অভিযোগে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোকে দ্রুত ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ‘দ্য অ্যানাটমি অব আ জেনোসাইড’ নামের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। তিনি অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার। তিনি বলেন, মানবতার সবচেয়ে খারাপ অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং প্রাপ্ত ফলাফলগুলো উপস্থাপন করা আমার দায়িত্ব। গাজায় একটি গোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অপরাধের সীমা অতিক্রম করা হয়েছে বলে আমি দেখতে পেয়েছি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় যোগ দিচ্ছে স্পেন

 

গতকাল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস জানান, গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন। এই সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কামূলক পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। শুধুমাত্র গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসাই নয়, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতি থেকেও স্পেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হল যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।

 

গত জানুয়ারিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করে। ইসরায়েল বলে আসছে তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ করছে। গণহত্যা মামলাটিকে ভিত্তিহীন অভিহিত করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘হামাসের আইনি সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করছে তারা। এই গণহত্যা মামলার রায় দিতে আইসিজের কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। এই রায় বাধ্যতামূলক এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না, যদিও জাতিসংঘের এই শীর্ষ আদালতের কাছে রায় বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর উপায় নেই।