০৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাবি আদায় হলে ক্লাসে ফিরবো: শিক্ষক সমিতি

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি এবং দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

অবস্থান কর্মসূচীর মাঝে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘আমার সাথে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন তিনি আমাদের সাথে কথা বলবেন। এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা হয়েছে। আগামীকাল সকালেই ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের নিয়ে তার সাথে আলোচনায় বসবো আমরা।’

আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে তিনি সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘ আমাদের জায়গা থেকে আমরা ক্লিয়ার , প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা বারবার আন্দোলনে যাবো না। আমাদের তিনটি দাবি : প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় হবে। ‘ দাবি আদায় হয়ে গেলেই আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো’ যুক্ত করেন নিজামুল হক ভূঁইয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রত্যাখ্যান করছে। এবং শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অর্থমন্ত্রী অযৌক্তিক বলেছেন, আমরা সেটিও প্রত্যাখ্যান করছি।

এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন , আপনারা আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না।’ তিনি আরো যুক্ত করেন, আমরা ছাত্রদের জিম্মি করিনি, উল্টো অর্থ মত্রণালয় আমাদের(শিক্ষকদের) জিম্মি করেছে। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। পাশাপাশি আমাদের কাছে যদি আলোচনায় বসার আহবান আসে, সেক্ষেত্রে আমরা আলোচনায় বসবো। তবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এর আগে গত ২০ মে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরবর্তী ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। ২৫-২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি (৮-১ টা) পালন করবেন তারা। উল্লেখিত তারিখ সমূহে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবে। এরপর আগামী ৩০ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। তবে, এ কর্মসূচিতে পরীক্ষাসমূহ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এরপর গত ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এ সময় পরীক্ষা, ক্লাস, দাপ্তরিক কাজসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার না হওয়া পর্যন্ত, আমরা রাজপথ ছাড়ব না: জুমা

দাবি আদায় হলে ক্লাসে ফিরবো: শিক্ষক সমিতি

আপডেট সময় : ০৪:০৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি এবং দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

অবস্থান কর্মসূচীর মাঝে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘আমার সাথে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন তিনি আমাদের সাথে কথা বলবেন। এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা হয়েছে। আগামীকাল সকালেই ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের নিয়ে তার সাথে আলোচনায় বসবো আমরা।’

আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে তিনি সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘ আমাদের জায়গা থেকে আমরা ক্লিয়ার , প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা বারবার আন্দোলনে যাবো না। আমাদের তিনটি দাবি : প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় হবে। ‘ দাবি আদায় হয়ে গেলেই আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো’ যুক্ত করেন নিজামুল হক ভূঁইয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রত্যাখ্যান করছে। এবং শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অর্থমন্ত্রী অযৌক্তিক বলেছেন, আমরা সেটিও প্রত্যাখ্যান করছি।

এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন , আপনারা আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না।’ তিনি আরো যুক্ত করেন, আমরা ছাত্রদের জিম্মি করিনি, উল্টো অর্থ মত্রণালয় আমাদের(শিক্ষকদের) জিম্মি করেছে। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। পাশাপাশি আমাদের কাছে যদি আলোচনায় বসার আহবান আসে, সেক্ষেত্রে আমরা আলোচনায় বসবো। তবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এর আগে গত ২০ মে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরবর্তী ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। ২৫-২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি (৮-১ টা) পালন করবেন তারা। উল্লেখিত তারিখ সমূহে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবে। এরপর আগামী ৩০ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। তবে, এ কর্মসূচিতে পরীক্ষাসমূহ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এরপর গত ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এ সময় পরীক্ষা, ক্লাস, দাপ্তরিক কাজসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।