০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টরে স্বস্তি

●চাঁদাবাজমুক্ত থাকার প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের
●রয়েছে নতুন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের শঙ্কাও

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। কয়েকদিন দেশের অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করলেও এখন কিছুটা স্বস্তিতে ফিরছে সবকিছু। সবচেয়ে বেশি স্বস্তি ফিরছে ক্ষুদ্রব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টরে। তারা বলছেন, বর্তমানে আমাদের কোনো ধরনের চাঁদা দিতে হয় না। আগে আমাদের একটা ভয় কাজ করতো এখন স্বাধীনভাবে নিজেরা ব্যবসা করতে পারছি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বায়তুল মুকাররম এলাকায় ব্যবসা করছেন মো. সেলিম। তিনি বলেন, আগে আমাকে প্রতিদিন চাঁদা দেওয়া লাগতো কিন্তু এখন এই ঝামেলা থেকে মুক্ত। আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। সারা দিন ব্যবসা করে যা আয় করতাম তার মধ্যে অর্ধেক এই চাঁদার পেছনে চলে যেত।

মতিঝিল এলকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ী মো. আমিন বলেন, এখন আমাদের মাঝে একটি স্বস্তি কাজ করছে। আশাকরি, এখন আমাদের মতো সব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজস্ব স্বাধীনতায় ব্যবসা করতে পারবে। দেশজুড়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন আমাদের দোকান বন্ধ ছিল। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতি হলেও এখন আশাকরি এই ক্ষতি কেটে যাবে।
গুলিস্তান এলাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ব্যবসা করছেন সুমন। তিনি বলেন, আশাকরি এখন আমাদের আগের মতো কোনো সমস্যা হবে না। আমরা দীর্ঘদিন বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতাম। আমাদের করার তেমন কিছু ছিল না। আমাদের দাবি এখন যেভাবে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতেছি চাঁদামুক্ত এই পরিবেশ যাতে নিশ্চিত থাকে।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রমজান বলেন, প্রতিদিন আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেওয়া লাগতো এখন তা থেকে আমার মুক্ত। আমরা সাধারণ ব্যবসায়ী ছোট ব্যবসা করে কোনো রকম আমাদের সংসারের খরচ বহন করতাম। আগে আমাদের কোন উপায় ছিল না বাধ্য হয়ে আমাদের চাঁদা দেওয়া লাগত এখন আমাদের অনেক ভালো লাগতেছে। আমাদের দাবি এই চাঁদাবাজি যেন একেবারে বন্ধ করা হয়।
সাধারণ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্বস্তি বিরাজ করছে পরিবহন খাতে। বর্তমানে রাস্তায় খণ্ডকালীন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। গাড়িচালকরা বলছেন আগে আমাদের মোড়ে মোড়ে চাঁদা দেওয়া লাগতো এখন তা থেকে আমরা মুক্ত। বাস চালক রহমান বলেন, এখন আমাদের আর কোনো ধরনের হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে না। ছাত্ররা আমাদের কাগজ যাচাই করে। এখন রাস্তায় সুন্দর পরিবেশে সবাই নিজেদের মতো করে নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টরে স্বস্তি

আপডেট সময় : ০৮:০০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

●চাঁদাবাজমুক্ত থাকার প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের
●রয়েছে নতুন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের শঙ্কাও

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। কয়েকদিন দেশের অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করলেও এখন কিছুটা স্বস্তিতে ফিরছে সবকিছু। সবচেয়ে বেশি স্বস্তি ফিরছে ক্ষুদ্রব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টরে। তারা বলছেন, বর্তমানে আমাদের কোনো ধরনের চাঁদা দিতে হয় না। আগে আমাদের একটা ভয় কাজ করতো এখন স্বাধীনভাবে নিজেরা ব্যবসা করতে পারছি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বায়তুল মুকাররম এলাকায় ব্যবসা করছেন মো. সেলিম। তিনি বলেন, আগে আমাকে প্রতিদিন চাঁদা দেওয়া লাগতো কিন্তু এখন এই ঝামেলা থেকে মুক্ত। আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। সারা দিন ব্যবসা করে যা আয় করতাম তার মধ্যে অর্ধেক এই চাঁদার পেছনে চলে যেত।

মতিঝিল এলকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ী মো. আমিন বলেন, এখন আমাদের মাঝে একটি স্বস্তি কাজ করছে। আশাকরি, এখন আমাদের মতো সব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজস্ব স্বাধীনতায় ব্যবসা করতে পারবে। দেশজুড়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন আমাদের দোকান বন্ধ ছিল। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতি হলেও এখন আশাকরি এই ক্ষতি কেটে যাবে।
গুলিস্তান এলাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ব্যবসা করছেন সুমন। তিনি বলেন, আশাকরি এখন আমাদের আগের মতো কোনো সমস্যা হবে না। আমরা দীর্ঘদিন বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতাম। আমাদের করার তেমন কিছু ছিল না। আমাদের দাবি এখন যেভাবে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতেছি চাঁদামুক্ত এই পরিবেশ যাতে নিশ্চিত থাকে।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রমজান বলেন, প্রতিদিন আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেওয়া লাগতো এখন তা থেকে আমার মুক্ত। আমরা সাধারণ ব্যবসায়ী ছোট ব্যবসা করে কোনো রকম আমাদের সংসারের খরচ বহন করতাম। আগে আমাদের কোন উপায় ছিল না বাধ্য হয়ে আমাদের চাঁদা দেওয়া লাগত এখন আমাদের অনেক ভালো লাগতেছে। আমাদের দাবি এই চাঁদাবাজি যেন একেবারে বন্ধ করা হয়।
সাধারণ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্বস্তি বিরাজ করছে পরিবহন খাতে। বর্তমানে রাস্তায় খণ্ডকালীন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। গাড়িচালকরা বলছেন আগে আমাদের মোড়ে মোড়ে চাঁদা দেওয়া লাগতো এখন তা থেকে আমরা মুক্ত। বাস চালক রহমান বলেন, এখন আমাদের আর কোনো ধরনের হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে না। ছাত্ররা আমাদের কাগজ যাচাই করে। এখন রাস্তায় সুন্দর পরিবেশে সবাই নিজেদের মতো করে নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছি।