০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফটিকছড়ির ইন্ডিলের বিলের কৃষিচিত্র- “আগাম চিচিঙ্গা-লাউয়ের বাম্পার ফলন”

 

মাচাজুড়ে ঝুলছে চিচিঙ্গা। একেকটি লতায় পাঁচ থেকে দশটি বিক্রয় উপযোগী চিচিঙ্গা ধরেছে। উচু জমি হওয়ায় আগাম রোপন করা হয় চিচিঙ্গার চারা। সঠিক পরিচার্যার ফলে দেড় মাসের মাথায় ভালো দামে চিচিঙ্গা বিক্রি করছেন এক কৃষক। অন্তত দুই কানি জমিতে চিচিঙ্গা চাষাবাদ করেছেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন নামের এক কৃষক।
সরেজমিনে দেখা, ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের রায়পুর মোজাফফর চৌধুরী বাড়ী লাগোয়া বিস্তৃত ইন্ডিলের বিলে এ চিচিঙ্গা ক্ষেত করেছেন কৃষক কামাল। শুধু চিচিঙ্গা নয়, শশা, লাউ, ধুন্দুল, খিরা, মূলা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন সহ নানা জাতের শাক ও সবজীর চাষ করেছেন তিনি। অর্থকড়ি এ শাক-সবজীতে ভাগ্য বদল হয়েছে কামালের। তাঁর দেখা-দেখিতে অনেক কৃষক এখন আগাম চাষাবাদে ঝুঁকছেন।
একযুগ আগে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাশঁখালী থেকে কর্মের আশায় ফটিকছড়ি আসেন কামাল। ছোট পরিসরে চাষাবাদ আরম্ভ করলেও বর্তমানে কৃষক কামাল একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। ক্রমশঃ বাড়ছে তাঁর কৃষি সাম্রাজ্য। শীতকালীন শাক-সবজী ছাড়াও রুপা আমান ও বোরো ধান করে থাকেন তিনি।
কৃষক কামাল হোসেন সবুজ বাংলাকে বলেন, এবারের আকস্মিক বন্যায় আগাম শীতকালীন সবজী চাষে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলেও আল্লাহর রহমতে ফলন ভালো হয়েছে। আগামী বছর থেকে আগাম চিচিঙ্গা, লাউ ও শশা চাষাবাদ করার পরিকল্পনা আছে।
লেলাং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, কামাল একজন কর্মঠ মানুষ। তিনি জমিতে সোনা ফলাতে পারেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে বিষয়ে কৃষক ভাইদের নজর রাখতে হবে। উচু জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজী চাষাবাদ করা গেলে ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ফটিকছড়ির ইন্ডিলের বিলের কৃষিচিত্র- “আগাম চিচিঙ্গা-লাউয়ের বাম্পার ফলন”

আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

মাচাজুড়ে ঝুলছে চিচিঙ্গা। একেকটি লতায় পাঁচ থেকে দশটি বিক্রয় উপযোগী চিচিঙ্গা ধরেছে। উচু জমি হওয়ায় আগাম রোপন করা হয় চিচিঙ্গার চারা। সঠিক পরিচার্যার ফলে দেড় মাসের মাথায় ভালো দামে চিচিঙ্গা বিক্রি করছেন এক কৃষক। অন্তত দুই কানি জমিতে চিচিঙ্গা চাষাবাদ করেছেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন নামের এক কৃষক।
সরেজমিনে দেখা, ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের রায়পুর মোজাফফর চৌধুরী বাড়ী লাগোয়া বিস্তৃত ইন্ডিলের বিলে এ চিচিঙ্গা ক্ষেত করেছেন কৃষক কামাল। শুধু চিচিঙ্গা নয়, শশা, লাউ, ধুন্দুল, খিরা, মূলা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন সহ নানা জাতের শাক ও সবজীর চাষ করেছেন তিনি। অর্থকড়ি এ শাক-সবজীতে ভাগ্য বদল হয়েছে কামালের। তাঁর দেখা-দেখিতে অনেক কৃষক এখন আগাম চাষাবাদে ঝুঁকছেন।
একযুগ আগে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাশঁখালী থেকে কর্মের আশায় ফটিকছড়ি আসেন কামাল। ছোট পরিসরে চাষাবাদ আরম্ভ করলেও বর্তমানে কৃষক কামাল একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। ক্রমশঃ বাড়ছে তাঁর কৃষি সাম্রাজ্য। শীতকালীন শাক-সবজী ছাড়াও রুপা আমান ও বোরো ধান করে থাকেন তিনি।
কৃষক কামাল হোসেন সবুজ বাংলাকে বলেন, এবারের আকস্মিক বন্যায় আগাম শীতকালীন সবজী চাষে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলেও আল্লাহর রহমতে ফলন ভালো হয়েছে। আগামী বছর থেকে আগাম চিচিঙ্গা, লাউ ও শশা চাষাবাদ করার পরিকল্পনা আছে।
লেলাং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, কামাল একজন কর্মঠ মানুষ। তিনি জমিতে সোনা ফলাতে পারেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে বিষয়ে কৃষক ভাইদের নজর রাখতে হবে। উচু জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজী চাষাবাদ করা গেলে ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।