০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিবাসীদের ফেরত না নিলে সম্পর্ক ছিন্নের হুমকি ট্রাম্পের

  • ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ
  •  ভারতসহ ৭ দেশকে অসহযোগী ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

 

একটি মানহানির মামলায় নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়েছে এবিসি নিউজ। এদিকে, রাশিয়া ও ভারতসহ সাত দেশকে অসহযোগী ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও অভিবাসীদের ফেরত নিতে যেসব দেশ অস্বীকার করবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এবিসি নিউজের তারকা সঞ্চালক জর্জ স্টেফানোপোলোস একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছিলেন। তিনি অনুষ্ঠানে বারবার ট্রাম্পকে ধর্ষণের দায়ে দোষী বলছিলেন। চলতি বছর ১০ মার্চ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এক নারী সদস্যের সাক্ষাৎকার নেন জর্জ স্টেফানোপোলোস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওই নারী সদস্য কেন ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন, তা নিয়ে কথা বলার সময় স্টেফানোপোলোস বারবার বিচারক ও দুই জুরিবোর্ড ট্রাম্পকে ধর্ষণের অভিযোগ দোষী হয়েছেন বলে দাবি করেন।
গত বছর একটি দেওয়ানি মামলায় জুরিরা তাকে যৌন নিপীড়নকারী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। নিউইয়র্কের আইনে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। তিনি এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই মামলা নিষ্পত্তির জন্য গত শনিবার উভয়পক্ষ একটি সমঝোতায় আসে বলে প্রথম খবর প্রকাশ করে ফক্স নিউজ ডিজিটাল।
এবিসি শুধু আর্থিক দণ্ডই দেবে না, বরং তাদের একটি বিবৃতি দিয়ে স্টেফানোপোলোসের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ের খরচ হিসেবে এবিসি নিউজ আরও ১০ লাখ মার্কিন ডলার দেবে। ১০ মার্চ ২০২৪ এবিসি নিউজের অনলাইনে ট্রাম্পের বিষয়ে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেটির নিচেও সংশোধনী দিতে হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ও কলাম লেখক ই জা ক্যারল তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন। ক্যারলের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৬ সালে একটি দোকানে কেনাকাটা করার সময় পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে ট্রাম্প তার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করেছিলেন এবং তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কের একটি ফৌজদারি আদালত তার বিরুদ্ধে করা ক্যারলের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। আদালত ক্যারলের সম্মানহানি করার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
এদিকে, ভারতসহ সাতটি দেশকে অসহযোগী (আন-কোঅপারেটিভ) দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। বাকি দেশগুলো হলো রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, ভুটান, কিউবা ও ভেনিজুয়েলা। এসব দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৈধতার নথি না থাকা অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় তারা যথাযথ সহযোগিতা করে না। এ ধরনের অসহযোগিতা কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। গত শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতোমধ্যেই অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটা ছিল তার অন্যতম অস্ত্র। আইসিইর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈধতার কাগজপত্র না থাকা ১৪ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। এদের মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয় আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্পই সবচেয়ে বড় অভিবাসীবিরোধী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি জানান, নিজ দেশে বৈধতার নথি না থাকা অভিবাসীদের খোঁজ পেতে তিনি সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগাবেন। পাশাপাশি মেক্সিকো সীমান্তেও নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলেন তিনি। শুধু অভিবাসীই নয়, আরেকটি বিষয়ে ভারতের প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করলেও তিনি বলেছেন, ভারত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এ জন্য তিনি পাল্টা তাদের ওপর বড় শুল্ক আরোপ করবেন। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন জানায়, গত তিন বছরে ৯০ হাজার ভারতীয় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই গুজরাট, পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার নথিপত্র না থাকা অভিবাসীর তালিকায় ভারতীয়রা শীর্ষে নয়। সবচেয়ে বেশি হন্ডুরাস ও গুয়েতেমালার অবৈধ অভিবাসী সেখানে রয়েছেন। এ সংখ্যা যথাক্রমে ২ লাখ ৬১ হাজার ও ২ লাখ ৫৩ হাজার।
এছাড়াও, অভিবাসীদের ফেরত নিতে যেসব দেশ অস্বীকার করবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হওয়ার পর দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি তাদের প্রত্যেকটি দেশে ফেরত পাঠাব নতুবা আমরা সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেব। যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর বিষয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের বের করে দিতে চাই এবং দেশগুলোকে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। আর তারা যদি অভিবাসীদের ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে আমরা সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা করব না। আমরা সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে চড়া শুল্ক আরোপ করবো।
অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়াতে সবকিছু করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য যা কিছু করতে হোক না কেন, তা-ই করব। আমি কোনো পরোয়া করি না। যাই ঘটুক আমি তাদের বের করবই। আবারও আমি এটা একেবারে আইনের মধ্যেই করবো, যদি নতুন শিবির খোলার প্রয়োজনও হয়। তবে আমি আশা করছি, আমাদের এর খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। কারণ আমি তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। আমি চাই না, তারা আগামী ২০ বছর শিবিরে বসে থাকুক।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

অভিবাসীদের ফেরত না নিলে সম্পর্ক ছিন্নের হুমকি ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

  • ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ
  •  ভারতসহ ৭ দেশকে অসহযোগী ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

 

একটি মানহানির মামলায় নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়েছে এবিসি নিউজ। এদিকে, রাশিয়া ও ভারতসহ সাত দেশকে অসহযোগী ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও অভিবাসীদের ফেরত নিতে যেসব দেশ অস্বীকার করবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এবিসি নিউজের তারকা সঞ্চালক জর্জ স্টেফানোপোলোস একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছিলেন। তিনি অনুষ্ঠানে বারবার ট্রাম্পকে ধর্ষণের দায়ে দোষী বলছিলেন। চলতি বছর ১০ মার্চ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এক নারী সদস্যের সাক্ষাৎকার নেন জর্জ স্টেফানোপোলোস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওই নারী সদস্য কেন ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন, তা নিয়ে কথা বলার সময় স্টেফানোপোলোস বারবার বিচারক ও দুই জুরিবোর্ড ট্রাম্পকে ধর্ষণের অভিযোগ দোষী হয়েছেন বলে দাবি করেন।
গত বছর একটি দেওয়ানি মামলায় জুরিরা তাকে যৌন নিপীড়নকারী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। নিউইয়র্কের আইনে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। তিনি এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই মামলা নিষ্পত্তির জন্য গত শনিবার উভয়পক্ষ একটি সমঝোতায় আসে বলে প্রথম খবর প্রকাশ করে ফক্স নিউজ ডিজিটাল।
এবিসি শুধু আর্থিক দণ্ডই দেবে না, বরং তাদের একটি বিবৃতি দিয়ে স্টেফানোপোলোসের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ের খরচ হিসেবে এবিসি নিউজ আরও ১০ লাখ মার্কিন ডলার দেবে। ১০ মার্চ ২০২৪ এবিসি নিউজের অনলাইনে ট্রাম্পের বিষয়ে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেটির নিচেও সংশোধনী দিতে হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ও কলাম লেখক ই জা ক্যারল তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন। ক্যারলের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৬ সালে একটি দোকানে কেনাকাটা করার সময় পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে ট্রাম্প তার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করেছিলেন এবং তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কের একটি ফৌজদারি আদালত তার বিরুদ্ধে করা ক্যারলের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। আদালত ক্যারলের সম্মানহানি করার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
এদিকে, ভারতসহ সাতটি দেশকে অসহযোগী (আন-কোঅপারেটিভ) দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। বাকি দেশগুলো হলো রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, ভুটান, কিউবা ও ভেনিজুয়েলা। এসব দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৈধতার নথি না থাকা অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় তারা যথাযথ সহযোগিতা করে না। এ ধরনের অসহযোগিতা কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। গত শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতোমধ্যেই অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটা ছিল তার অন্যতম অস্ত্র। আইসিইর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈধতার কাগজপত্র না থাকা ১৪ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। এদের মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয় আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্পই সবচেয়ে বড় অভিবাসীবিরোধী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি জানান, নিজ দেশে বৈধতার নথি না থাকা অভিবাসীদের খোঁজ পেতে তিনি সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগাবেন। পাশাপাশি মেক্সিকো সীমান্তেও নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলেন তিনি। শুধু অভিবাসীই নয়, আরেকটি বিষয়ে ভারতের প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করলেও তিনি বলেছেন, ভারত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এ জন্য তিনি পাল্টা তাদের ওপর বড় শুল্ক আরোপ করবেন। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন জানায়, গত তিন বছরে ৯০ হাজার ভারতীয় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই গুজরাট, পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার নথিপত্র না থাকা অভিবাসীর তালিকায় ভারতীয়রা শীর্ষে নয়। সবচেয়ে বেশি হন্ডুরাস ও গুয়েতেমালার অবৈধ অভিবাসী সেখানে রয়েছেন। এ সংখ্যা যথাক্রমে ২ লাখ ৬১ হাজার ও ২ লাখ ৫৩ হাজার।
এছাড়াও, অভিবাসীদের ফেরত নিতে যেসব দেশ অস্বীকার করবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হওয়ার পর দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি তাদের প্রত্যেকটি দেশে ফেরত পাঠাব নতুবা আমরা সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেব। যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর বিষয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের বের করে দিতে চাই এবং দেশগুলোকে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। আর তারা যদি অভিবাসীদের ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে আমরা সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা করব না। আমরা সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে চড়া শুল্ক আরোপ করবো।
অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়াতে সবকিছু করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য যা কিছু করতে হোক না কেন, তা-ই করব। আমি কোনো পরোয়া করি না। যাই ঘটুক আমি তাদের বের করবই। আবারও আমি এটা একেবারে আইনের মধ্যেই করবো, যদি নতুন শিবির খোলার প্রয়োজনও হয়। তবে আমি আশা করছি, আমাদের এর খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। কারণ আমি তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। আমি চাই না, তারা আগামী ২০ বছর শিবিরে বসে থাকুক।