সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ-বিরোধী ক্যাম্পেইন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সচেতন ছাত্রসমাজ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অবস্থান করে শিক্ষারীরা। এসময় প্লাকার্ড হাতে ধর্ষণ বিরোধী ও ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লেগান দেয় তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে বলতে চাই যে নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ,সেই নিরাপদ ও সাম্যের বাংলাদেশ আমরা এখনো পাইনি। সারা দেশে ধর্ষণের পরিমাণ যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। সরকার ও প্রশাসন এ বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। আজকের অবস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যদি ধর্ষণের মত এমন মারাত্মক অপরাধ নিরসনে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা পুনরায় আমাদের বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাস্তায় নামবো।
ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ বলেন, আজকের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে আমরা প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আমার বোনের নিরাপত্তা দেন আর না হয় পদত্যাগ করুন। ধর্ষণ আইনের সংস্কার করতে হবে।
ধর্ষনের শাস্তি হবে ফাসিঁ অথবা ফাঁসি। আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা চাই।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এফ পি বাবর বলেন, বাংলাদেশে ক্রমাগত ধর্ষনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়েও অনেকগুলো ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতির সময় দুজন নারী ধর্ষণের শিকার হলেও আমরা দেখেছি দুই থানা সেই মামলা নিতে গড়িমসি করেছে, তিনদিন পর মামলা নেয়া হয়েছে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকান্ড কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে দাবি করছি অবিলম্বে ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনতে হবে, প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল করে অতিদ্রুত এদের বিচার করতে হবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।


























