০২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিএসজিকে হারিয়ে ব্রাজিলের ক্লাবের চমক

এই গোলেই ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও ফেভারিট পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে বড় অঘটনের জন্ম দিল ব্রাজিলের ক্লাব বতাফোগো।

শক্তি-সামর্থ্য, নামের ধার-ভার, কোনো দিক থেকেই দুই দলের তুলনাই চলে না। কিছুদিন আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে পিএসজি, অপ্রতিরোধ্য মৌসুমে জিতেছে ট্রেবল। ক্লাব বিশ্বকাপেও ফেভারিটদের ছোট্ট তালিকায় আছে দলটি। সেই দলকেই কিনা হারিয়ে দিল ব্রাজিলের ক্লাব বতাফোগো!

ক্লাব বিশ্বকাপে এবার চমকপ্রদ ফল হয়েছে কয়েকটি ম্যাচেই। তবে সবচেয়ে বড় অঘটন বলা যায় এটিকেই। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বতাফোগো।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে ৩৬তম মিনিটে ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইগো জেজুস।

অথচ ব্রাজিলিয়ালি লিগে এবার ধুঁকছে দলটি। পয়েন্ট তালিকায় এখন তারা আছে আট নম্বরে। সেই দলই এবার উপহার দিল চোখ কপালে তোলা ফলাফল।

প্রথম ম্যাচে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এবার স্তম্ভিত হয়ে গেল।

বল নিয়ন্ত্রণে রাখার লড়াইয়ে প্রত্যাশিতভাবেই একচেটিয়া দাপট ছিল পিএসজির। ম্যাচর ৭৫ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছেই। তবে গোলমুখে কার্যকারিতায় ছিল বড় পার্থক্য। গোলে ১৬টি শট নিয়ে স্রেফ দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে পিএসজি। দুটিই ঠেকিয়ে দেন বতাফোগোর গোলকিপার জন।

আগের পাঁচ ম্যাচে ১৯ গোল করা দলটি তাই এবার জালের দেখা পায়নি একবারও।

বতাফোগো গোটা ম্যাচে গোলে শট নেয় চারটি। প্রতিটিই ছিল লক্ষ্যে। পিএসজির গোলকিপার জানলুইজি দোন্নারুম্মা ঠেকিয়ে দেন তিনটি। বাকি একটিতেই কাজের কাজ হয়ে যায় ব্রাজিলিয়ান দলটির।

ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে বতাফোগোকে কাঁপিয়ে দেয় পিএসজি। প্রথম পাঁচ মিনিটেই দুই দফায় দলকে রক্ষা করেন গোলকিপার জন। এরপর অবশ্য তাদের রক্ষণভাগ একটু গুছিয়ে নেয়। পিএসজির আক্রমণ ফিরিয়ে দিতে থাকে তারা।

এর মধ্যেই ৩৬তম মিনিটে ওই গোল। মাঝমাঠ থেকে দারুণ পাস বাড়ান জেফারসন সাভারিনো। পিএসজির দুই ডিফেন্ডারের মাঝে বল ধরে দারুণ গতিতে এগিয়ে দুজনকেই বিভ্রান্ত করে বক্সের একটু বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নেন জেজুস। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছু করতে পারেননি গোলকিপার দোন্নারুম্মা।

এরপর আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় পিএসজি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ চালায় তারা। কিন্তু বতাফোগোর রক্ষণভাগ সামলে নেয় সব। গত মার্চের পর তাই প্রথমবার গোল করতে ব্যর্থ হলো পিএসজি। স্মরণীয় জয়ের আনন্দে মেতে উঠল বতাফোগো।

প্রথম ম্যাচে সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বতাফোগো। টানা দুই জয়ে এখন তারা গ্রুপের শীর্ষে।

ক্লাব বিশ্বকাপে ৩২ দলের মধ্যে ব্রাজিলের ক্লাব চারটি। চার ক্লাবই এখনও পর্যন্ত অপরাজিত।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

পিএসজিকে হারিয়ে ব্রাজিলের ক্লাবের চমক

আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও ফেভারিট পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে বড় অঘটনের জন্ম দিল ব্রাজিলের ক্লাব বতাফোগো।

শক্তি-সামর্থ্য, নামের ধার-ভার, কোনো দিক থেকেই দুই দলের তুলনাই চলে না। কিছুদিন আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে পিএসজি, অপ্রতিরোধ্য মৌসুমে জিতেছে ট্রেবল। ক্লাব বিশ্বকাপেও ফেভারিটদের ছোট্ট তালিকায় আছে দলটি। সেই দলকেই কিনা হারিয়ে দিল ব্রাজিলের ক্লাব বতাফোগো!

ক্লাব বিশ্বকাপে এবার চমকপ্রদ ফল হয়েছে কয়েকটি ম্যাচেই। তবে সবচেয়ে বড় অঘটন বলা যায় এটিকেই। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বতাফোগো।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে ৩৬তম মিনিটে ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইগো জেজুস।

অথচ ব্রাজিলিয়ালি লিগে এবার ধুঁকছে দলটি। পয়েন্ট তালিকায় এখন তারা আছে আট নম্বরে। সেই দলই এবার উপহার দিল চোখ কপালে তোলা ফলাফল।

প্রথম ম্যাচে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এবার স্তম্ভিত হয়ে গেল।

বল নিয়ন্ত্রণে রাখার লড়াইয়ে প্রত্যাশিতভাবেই একচেটিয়া দাপট ছিল পিএসজির। ম্যাচর ৭৫ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছেই। তবে গোলমুখে কার্যকারিতায় ছিল বড় পার্থক্য। গোলে ১৬টি শট নিয়ে স্রেফ দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে পিএসজি। দুটিই ঠেকিয়ে দেন বতাফোগোর গোলকিপার জন।

আগের পাঁচ ম্যাচে ১৯ গোল করা দলটি তাই এবার জালের দেখা পায়নি একবারও।

বতাফোগো গোটা ম্যাচে গোলে শট নেয় চারটি। প্রতিটিই ছিল লক্ষ্যে। পিএসজির গোলকিপার জানলুইজি দোন্নারুম্মা ঠেকিয়ে দেন তিনটি। বাকি একটিতেই কাজের কাজ হয়ে যায় ব্রাজিলিয়ান দলটির।

ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে বতাফোগোকে কাঁপিয়ে দেয় পিএসজি। প্রথম পাঁচ মিনিটেই দুই দফায় দলকে রক্ষা করেন গোলকিপার জন। এরপর অবশ্য তাদের রক্ষণভাগ একটু গুছিয়ে নেয়। পিএসজির আক্রমণ ফিরিয়ে দিতে থাকে তারা।

এর মধ্যেই ৩৬তম মিনিটে ওই গোল। মাঝমাঠ থেকে দারুণ পাস বাড়ান জেফারসন সাভারিনো। পিএসজির দুই ডিফেন্ডারের মাঝে বল ধরে দারুণ গতিতে এগিয়ে দুজনকেই বিভ্রান্ত করে বক্সের একটু বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নেন জেজুস। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছু করতে পারেননি গোলকিপার দোন্নারুম্মা।

এরপর আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় পিএসজি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ চালায় তারা। কিন্তু বতাফোগোর রক্ষণভাগ সামলে নেয় সব। গত মার্চের পর তাই প্রথমবার গোল করতে ব্যর্থ হলো পিএসজি। স্মরণীয় জয়ের আনন্দে মেতে উঠল বতাফোগো।

প্রথম ম্যাচে সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বতাফোগো। টানা দুই জয়ে এখন তারা গ্রুপের শীর্ষে।

ক্লাব বিশ্বকাপে ৩২ দলের মধ্যে ব্রাজিলের ক্লাব চারটি। চার ক্লাবই এখনও পর্যন্ত অপরাজিত।