০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাবাডি ক্লাবগুলো কেন হতাশ?

স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের খেলাধুলার গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ফেডারেশন পুনর্গঠন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। কিন্তু দুঃখের বিষয়—সময়ের পরিক্রমায় খেলাটি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে তার সত্বা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মতো ঘরোয়া আসরেও শৃঙ্খখলহীন। তিন বছর ধরে নেই প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগ। দুই বছর হতে চললো সবশেষ ম্যাটে গড়িয়েছে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ। কিছু কাবাডি টেস্ট সিরিজ আর নেপাল কাবাডি লিগে খেলেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে শুরু করেছে বর্তমান অ্যাডহক কমিটি! ফলে লিগ নিয়মিত না হওয়ায় ধুঁকছে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলো।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগ। পরের বছর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিভাগ। সেখানে আনসার চ্যাম্পিয়ন ও বিকেএসপি রানার্সআপ হয়েছিল। ২০২৪ সালের নভেম্বরে কাবাডিতে নতুন কমিটি এলেও লিগ আয়োজনের কোন সংবাদ দিতে পারেননি। বরং তারা ব্যস্ত ছিল কাবাডি টেস্ট সিরিজ ও নেপাল কাবাডি লিগে খেলা নিয়ে।
প্রায় বছর তিনেক লিগ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় গভীর সমস্যায় পড়েছে ক্লাবগুলো। প্রিমিয়ারে ৮টি এবং প্রথম বিভাগে ১০টি ক্লাব ও তাদের খেলোয়াড়রা গভীর উদ্বেগে ভুগছেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘আমরা প্রথম অর্ধবর্ষ পঞ্জিকা দিয়েছিলাম। নতুন অর্ধবার্ষিকী পঞ্জিকাতে দ্বিতীয় বিভাগ কাবাডি দিয়েই শুরু করতে চাই।’
তবে এতে দ্বিমত পোষণ করছেন অন্যরা। প্রিমিয়ার কাবাডি লিগে ক্লাব আজাদ স্পোর্টিংয়ের সদস্য সচিব এসএমএ মান্নানের মতে, ‘এটা কোনভাবেই হতে পারে না। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম বিভাগ লিগ হওয়ার কথা এখন। নইলে লিগ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। কারণ দীর্ঘদিন খেলতে না পেরে খেলোয়াড় ও ক্লাবগুলো আশাহত হয়ে পড়েছে।’
প্রথম বিভাগের ক্লাব আইডিয়াল ক্রীড়া চক্রের কর্ণধার মেহেদী হাসান সুমনের কথা, ‘প্রথম বিভাগ এবং প্রিমিয়ার বিভাগের পরেই আবারও দ্বিতীয় বিভাগ হওয়া উচিত। এটাই নিয়ম। নইলে সঙ্কটে পড়তে হবে আমাদেরকে।’
এদিকে ঈদুল আযহায় রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত কাবাডি উৎসবে রেফারি আবু আউয়াল সিদ্দিকী ও জুবায়ের জুম্মন হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু আউয়ালের কথা, ‘আমরা যাতে ঈদ উৎসবে রেফারিং করতে না পারি, সেই জন্য ফেডারেশনের রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল হক হুমকি দিয়েছেন। যা কোনভাবেই ঠিক হয়নি।’
এখন দেখার বিষয়, কাবাডি নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কটের সুরাহা কিভাবে ও কতদিনে হয়।
আরকে/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদগাঁওয়ে ৪৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরু

কাবাডি ক্লাবগুলো কেন হতাশ?

আপডেট সময় : ০১:৪০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের খেলাধুলার গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ফেডারেশন পুনর্গঠন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। কিন্তু দুঃখের বিষয়—সময়ের পরিক্রমায় খেলাটি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে তার সত্বা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মতো ঘরোয়া আসরেও শৃঙ্খখলহীন। তিন বছর ধরে নেই প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগ। দুই বছর হতে চললো সবশেষ ম্যাটে গড়িয়েছে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ। কিছু কাবাডি টেস্ট সিরিজ আর নেপাল কাবাডি লিগে খেলেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে শুরু করেছে বর্তমান অ্যাডহক কমিটি! ফলে লিগ নিয়মিত না হওয়ায় ধুঁকছে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলো।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগ। পরের বছর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিভাগ। সেখানে আনসার চ্যাম্পিয়ন ও বিকেএসপি রানার্সআপ হয়েছিল। ২০২৪ সালের নভেম্বরে কাবাডিতে নতুন কমিটি এলেও লিগ আয়োজনের কোন সংবাদ দিতে পারেননি। বরং তারা ব্যস্ত ছিল কাবাডি টেস্ট সিরিজ ও নেপাল কাবাডি লিগে খেলা নিয়ে।
প্রায় বছর তিনেক লিগ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় গভীর সমস্যায় পড়েছে ক্লাবগুলো। প্রিমিয়ারে ৮টি এবং প্রথম বিভাগে ১০টি ক্লাব ও তাদের খেলোয়াড়রা গভীর উদ্বেগে ভুগছেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘আমরা প্রথম অর্ধবর্ষ পঞ্জিকা দিয়েছিলাম। নতুন অর্ধবার্ষিকী পঞ্জিকাতে দ্বিতীয় বিভাগ কাবাডি দিয়েই শুরু করতে চাই।’
তবে এতে দ্বিমত পোষণ করছেন অন্যরা। প্রিমিয়ার কাবাডি লিগে ক্লাব আজাদ স্পোর্টিংয়ের সদস্য সচিব এসএমএ মান্নানের মতে, ‘এটা কোনভাবেই হতে পারে না। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম বিভাগ লিগ হওয়ার কথা এখন। নইলে লিগ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। কারণ দীর্ঘদিন খেলতে না পেরে খেলোয়াড় ও ক্লাবগুলো আশাহত হয়ে পড়েছে।’
প্রথম বিভাগের ক্লাব আইডিয়াল ক্রীড়া চক্রের কর্ণধার মেহেদী হাসান সুমনের কথা, ‘প্রথম বিভাগ এবং প্রিমিয়ার বিভাগের পরেই আবারও দ্বিতীয় বিভাগ হওয়া উচিত। এটাই নিয়ম। নইলে সঙ্কটে পড়তে হবে আমাদেরকে।’
এদিকে ঈদুল আযহায় রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত কাবাডি উৎসবে রেফারি আবু আউয়াল সিদ্দিকী ও জুবায়ের জুম্মন হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু আউয়ালের কথা, ‘আমরা যাতে ঈদ উৎসবে রেফারিং করতে না পারি, সেই জন্য ফেডারেশনের রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল হক হুমকি দিয়েছেন। যা কোনভাবেই ঠিক হয়নি।’
এখন দেখার বিষয়, কাবাডি নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কটের সুরাহা কিভাবে ও কতদিনে হয়।
আরকে/সবা