১০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোক্তা ব্যয় কমে স্থবিরতা অর্থনীতিতে

  • মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার সাশ্রয়ী প্রবণতা
  • খুচরা বাজার, ফার্নিচার ও গাড়ির বিক্রিতে ধস
  • সংকটে খুচরা বিক্রি ও শিল্প উৎপাদন, ঝুঁকিতে কর্মসংস্থান

দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় দেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.০৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯.৫৮ শতাংশ ও অ-খাদ্যপণ্যে ৮.৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে। উচ্চমূল্যের বাস্তবতায় আয় না বাড়ায় জনগণের হাতে খরচ করার অর্থ থাকছে না। ফলে প্রয়োজনের বাইরের খরচ ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন তারা। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজার, শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল-রেস্তোরাঁ এমনকি পশুর হাটেও।
রাজধানীর নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, দোকানিরা দিন পার করছেন হাত গুটিয়ে। এমনকি দুটি ঈদেও আশানুরূপ বিক্রি হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, বিশেষ করে পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বিক্রি কমার হার বেশি। অনেকেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন। এফএমসিজি খাতে বিক্রি কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ভোক্তারা এখন ছোট প্যাকেজ ও কম দামের পণ্য বেছে নিচ্ছেন। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, পাঁচ লিটারের তেলের বদলে দুই লিটারের বোতল, বড় পাউরুটির বদলে ছোট প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও এবারের রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদে পোশাক বিক্রি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ক্রেতারাও খরচ কমিয়ে সীমিত কেনাকাটায় মনোযোগ দিয়েছেন। কোরবানির পশুর বাজারেও চাহিদা কমেছে। এ বছর কোরবানি হয়েছে ৯১ লাখ পশু, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ লাখ কম। বড় গরুর চাহিদা কমে গেছে ‘ছাগলকাণ্ড’ ও ব্রাহ্মা জাতের গরু নিয়ে বিতর্কের কারণে। খামারিরা পড়েছেন বড় ক্ষতিতে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ফার্নিচার শিল্পে অভাবনীয় মন্দা তৈরি করেছে। ঢাকা শহরের বড় বড় ফার্নিচার মার্কেটে বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেক ওয়ার্কশপ কর্মী ছাঁটাই করেছে। ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আউয়াল বলেন, বর্তমান সংকট করোনাকালের থেকেও বড়। আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ক্রেতারা অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকছেন। নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ধানমন্ডির সান্তুর রেস্টুরেন্ট আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর আর চালু হয়নি। ফেসবুকে রেস্তোরাঁ ও আসবাবপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রতিদিনই দেখা যায়, যা ব্যবসায় সংকটের পরিচায়ক। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জানায়, ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁ ব্যবসা অন্তত ৩০ শতাংশ কমেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও মূল্যস্ফীতি ব্যবসার বড় বাধা। অনেক মালিক ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
নির্মাণ খাতও থমকে গেছে। বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, রড উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে নির্মাণ খাতের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ চক্র। বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রডের চাহিদা হঠাৎ কমে গেছে। উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। তেজগাঁও, মনিপুরীপাড়া ও মিরপুরের গাড়ির শোরুমে বিক্রি ৪০ শতাংশ কমেছে। আগের মতো মাসে ৫-৭টি গাড়ি বিক্রি হচ্ছে না। কম দামের গাড়ির দিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ (পিইবি) বলছে, এপ্রিল মাসে দেশের অর্থনীতির সম্প্রসারণের গতি কমেছে। পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচক ৮.৮ পয়েন্ট কমে ৫২.৯ হয়েছে যা গত অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন। মার্চে এ সূচক ছিল ৬১.৯। অবশ্য গত মে মাসে দেশের অর্থনীতির বেশ কিছু খাতে গতি ফিরেছে। বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন ও সেবা খাতে গতিশীলতা বেড়েছে। তবে নির্মাণ খাত স্থবির অবস্থায়ই রয়েছে। এছাড়া মে মাসে নতুন ব্যবসা সূচক এবং কর্মসংস্থান সূচক আবারও সংকোচনে ফিরে গেছে— যা ভবিষ্যতে অর্থনীতির গতিকে সীমিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ সক্ষমতা কমে যাচ্ছে, যার ফলে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ঋণের অভাবে সংকটে পড়ছেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় যা তারল্য সংকটকে আরও বাড়াবে। এতে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের সুযোগ সংকুচিত হবে এবং সুদহার চড়াই থাকবে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাসরুর রিয়াজ বলেন, তিন বছর ধরে অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনেক দুর্বল যার মূল কারণ দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, তারা সঞ্চয় ভেঙে খরচ করছে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও বছরখানেক স্থবিরতা ছিল, যার ফলে রেমিট্যান্সনির্ভর ভোগ ব্যয় কমে যায়। সব মিলিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা এখন দুর্বল। এই বাস্তবতায় নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না বললেই চলে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোক্তা ব্যয় কমে স্থবিরতা অর্থনীতিতে

আপডেট সময় : ০৭:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার সাশ্রয়ী প্রবণতা
  • খুচরা বাজার, ফার্নিচার ও গাড়ির বিক্রিতে ধস
  • সংকটে খুচরা বিক্রি ও শিল্প উৎপাদন, ঝুঁকিতে কর্মসংস্থান

দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় দেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.০৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯.৫৮ শতাংশ ও অ-খাদ্যপণ্যে ৮.৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে। উচ্চমূল্যের বাস্তবতায় আয় না বাড়ায় জনগণের হাতে খরচ করার অর্থ থাকছে না। ফলে প্রয়োজনের বাইরের খরচ ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন তারা। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজার, শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল-রেস্তোরাঁ এমনকি পশুর হাটেও।
রাজধানীর নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, দোকানিরা দিন পার করছেন হাত গুটিয়ে। এমনকি দুটি ঈদেও আশানুরূপ বিক্রি হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, বিশেষ করে পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বিক্রি কমার হার বেশি। অনেকেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন। এফএমসিজি খাতে বিক্রি কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ভোক্তারা এখন ছোট প্যাকেজ ও কম দামের পণ্য বেছে নিচ্ছেন। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, পাঁচ লিটারের তেলের বদলে দুই লিটারের বোতল, বড় পাউরুটির বদলে ছোট প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও এবারের রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদে পোশাক বিক্রি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ক্রেতারাও খরচ কমিয়ে সীমিত কেনাকাটায় মনোযোগ দিয়েছেন। কোরবানির পশুর বাজারেও চাহিদা কমেছে। এ বছর কোরবানি হয়েছে ৯১ লাখ পশু, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ লাখ কম। বড় গরুর চাহিদা কমে গেছে ‘ছাগলকাণ্ড’ ও ব্রাহ্মা জাতের গরু নিয়ে বিতর্কের কারণে। খামারিরা পড়েছেন বড় ক্ষতিতে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ফার্নিচার শিল্পে অভাবনীয় মন্দা তৈরি করেছে। ঢাকা শহরের বড় বড় ফার্নিচার মার্কেটে বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেক ওয়ার্কশপ কর্মী ছাঁটাই করেছে। ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আউয়াল বলেন, বর্তমান সংকট করোনাকালের থেকেও বড়। আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ক্রেতারা অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকছেন। নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ধানমন্ডির সান্তুর রেস্টুরেন্ট আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর আর চালু হয়নি। ফেসবুকে রেস্তোরাঁ ও আসবাবপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রতিদিনই দেখা যায়, যা ব্যবসায় সংকটের পরিচায়ক। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জানায়, ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁ ব্যবসা অন্তত ৩০ শতাংশ কমেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও মূল্যস্ফীতি ব্যবসার বড় বাধা। অনেক মালিক ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
নির্মাণ খাতও থমকে গেছে। বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, রড উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে নির্মাণ খাতের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ চক্র। বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রডের চাহিদা হঠাৎ কমে গেছে। উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। তেজগাঁও, মনিপুরীপাড়া ও মিরপুরের গাড়ির শোরুমে বিক্রি ৪০ শতাংশ কমেছে। আগের মতো মাসে ৫-৭টি গাড়ি বিক্রি হচ্ছে না। কম দামের গাড়ির দিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ (পিইবি) বলছে, এপ্রিল মাসে দেশের অর্থনীতির সম্প্রসারণের গতি কমেছে। পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচক ৮.৮ পয়েন্ট কমে ৫২.৯ হয়েছে যা গত অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন। মার্চে এ সূচক ছিল ৬১.৯। অবশ্য গত মে মাসে দেশের অর্থনীতির বেশ কিছু খাতে গতি ফিরেছে। বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন ও সেবা খাতে গতিশীলতা বেড়েছে। তবে নির্মাণ খাত স্থবির অবস্থায়ই রয়েছে। এছাড়া মে মাসে নতুন ব্যবসা সূচক এবং কর্মসংস্থান সূচক আবারও সংকোচনে ফিরে গেছে— যা ভবিষ্যতে অর্থনীতির গতিকে সীমিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ সক্ষমতা কমে যাচ্ছে, যার ফলে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ঋণের অভাবে সংকটে পড়ছেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় যা তারল্য সংকটকে আরও বাড়াবে। এতে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের সুযোগ সংকুচিত হবে এবং সুদহার চড়াই থাকবে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাসরুর রিয়াজ বলেন, তিন বছর ধরে অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনেক দুর্বল যার মূল কারণ দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, তারা সঞ্চয় ভেঙে খরচ করছে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও বছরখানেক স্থবিরতা ছিল, যার ফলে রেমিট্যান্সনির্ভর ভোগ ব্যয় কমে যায়। সব মিলিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা এখন দুর্বল। এই বাস্তবতায় নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না বললেই চলে।