০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এনবিআর আন্দোলন

সংকটে দেশের অর্থনীতি

  • আজও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
  • চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • স্থবির রাজস্ব আদায় কার্ক্রমও

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার দাবিতে ‘কমপ্লট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে তারা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিও জানিয়ে আসছেন। গতকাল শনিবার তাদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে অচল হয়ে পড়েছে পুরো দেশের আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। আজ রোববারও এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাদের এই আন্দোলনের ফলে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় সংকটের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এদিকে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া ঘরে ফিরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তারা সমস্যা নিরসনে আর সময় ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেতৃত্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা অতীব জরুরি বলে মনে করেন। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি/কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন সকালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হন। এছাড়া দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিও পালন করায় এবং এনবিআর কর্মকর্তাদের লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশী ও রপ্তানিকারকরা। এদিকে, এনবিআর চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ, কর্তৃত্ববাদী আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা করছেন বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ। তারা বলেন, সমস্যার সমাধান না করে এনবিআর চেয়ারম্যান মিথ্যাচার করছেন। কর প্রশাসনের সংস্কার ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুনও এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে গেট বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে গতকাল অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বললেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সারা দেশের শুল্ক কর কার্যালয়েও শুরু হয়েছে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি।
ঐক্য পরিষদের মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার মিস সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, আগামী মঙ্গলবার আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। আলোচনার সদিচ্ছা থাকলে আজকেই এ কর্মসূচির মধ্যেই ডাকা যেত। মঙ্গলবার অনেক লম্বা সময়। তাদের আলোচনার আদৌ কতটা ইচ্ছা আছে আমরা জানি না। যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ডাকলে আমরা নিশ্চয়ই আলোচনায় যাব। কিন্তু আলোচনায় যাব কী নিয়ে? আমরা যৌক্তিক রাজস্ব সংস্কারের দাবি নিয়ে যাব। এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের মধ্যদিয়ে এ প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। ব্যবসায়ীরা এনবিআরের কাছে জিম্মি এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, তারা এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি হওয়ার কথা।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা সমস্যা নিরসনে আর সময় ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেতৃত্বে সরকারের সংশ্লষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা অতীব জরুরি বলে মনে করেন। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি/কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সব দপ্তরের কমর্র্কতা-কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই সময়ে ওই দপ্তরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হলে তা আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত। সুতরাং ওই আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট স্থবিরতা ও চলমান সংকট দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা অতীব জরুরি। ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একটি দক্ষ, হয়রানিমুক্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ সার্বিক সংস্কার বা আধুনিকায়নকে সমর্থন করে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা ও আমদানি-রপ্তানিতে যথাযথ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণ কোনো মতেই কাম্য নয় এবং তা কোনো প্রকার সফলতা নিয়ে আসবে বলে আমরা মনে করি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

এনবিআর আন্দোলন

সংকটে দেশের অর্থনীতি

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • আজও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
  • চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • স্থবির রাজস্ব আদায় কার্ক্রমও

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার দাবিতে ‘কমপ্লট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে তারা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিও জানিয়ে আসছেন। গতকাল শনিবার তাদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে অচল হয়ে পড়েছে পুরো দেশের আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। আজ রোববারও এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাদের এই আন্দোলনের ফলে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় সংকটের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এদিকে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া ঘরে ফিরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তারা সমস্যা নিরসনে আর সময় ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেতৃত্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা অতীব জরুরি বলে মনে করেন। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি/কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন সকালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হন। এছাড়া দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিও পালন করায় এবং এনবিআর কর্মকর্তাদের লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশী ও রপ্তানিকারকরা। এদিকে, এনবিআর চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ, কর্তৃত্ববাদী আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা করছেন বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ। তারা বলেন, সমস্যার সমাধান না করে এনবিআর চেয়ারম্যান মিথ্যাচার করছেন। কর প্রশাসনের সংস্কার ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুনও এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে গেট বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে গতকাল অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বললেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সারা দেশের শুল্ক কর কার্যালয়েও শুরু হয়েছে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি।
ঐক্য পরিষদের মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার মিস সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, আগামী মঙ্গলবার আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। আলোচনার সদিচ্ছা থাকলে আজকেই এ কর্মসূচির মধ্যেই ডাকা যেত। মঙ্গলবার অনেক লম্বা সময়। তাদের আলোচনার আদৌ কতটা ইচ্ছা আছে আমরা জানি না। যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ডাকলে আমরা নিশ্চয়ই আলোচনায় যাব। কিন্তু আলোচনায় যাব কী নিয়ে? আমরা যৌক্তিক রাজস্ব সংস্কারের দাবি নিয়ে যাব। এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের মধ্যদিয়ে এ প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। ব্যবসায়ীরা এনবিআরের কাছে জিম্মি এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, তারা এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি হওয়ার কথা।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা সমস্যা নিরসনে আর সময় ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেতৃত্বে সরকারের সংশ্লষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা অতীব জরুরি বলে মনে করেন। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি/কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সব দপ্তরের কমর্র্কতা-কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই সময়ে ওই দপ্তরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হলে তা আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত। সুতরাং ওই আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট স্থবিরতা ও চলমান সংকট দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা অতীব জরুরি। ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একটি দক্ষ, হয়রানিমুক্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ সার্বিক সংস্কার বা আধুনিকায়নকে সমর্থন করে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা ও আমদানি-রপ্তানিতে যথাযথ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণ কোনো মতেই কাম্য নয় এবং তা কোনো প্রকার সফলতা নিয়ে আসবে বলে আমরা মনে করি না।