১০:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশি বিনিয়োগ সংকটে ধসের মুখে শেয়ারবাজার

  • আস্থা হারিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও ছাড়ছে বিদেশিরা
  • বিক্রি করে দিচ্ছে কোম্পানির শেয়ার
  • বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার বড় কারণ ডলারের দাম বৃদ্ধি

দেশের পুঁজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার মানেই ছিল বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়। আন্তর্জাতিক মান, স্থিতিশীল আয় ও আকর্ষণীয় লভ্যাংশের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল এসব কোম্পানির ওপর। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই থাকতো বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই আস্থাও এখন টালমাটাল। আস্থা সংকটে শক্ত মৌলভিত্তির বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও বিক্রি করে দিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আস্থা হারিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও ছাড়ছে বিদেশিরা। বিক্রি করে দিচ্ছে কোম্পানির শেয়ার। এদিকে, বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার বড় কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ডলারের দাম বৃদ্ধির কথা। এতে বিদেশি বিনিয়োগ সংকটে ধসের মুখে পড়েছে শেয়ারবাজার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল নয়। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ফান্ড তুলে নিয়েছেন এছাড়া ফ্লোর প্রাইস এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তারা বলছেন, বিদেশীরা মনে করছেন এটা একটা অসুস্থ মার্কেট। যে মার্কেটে এন্ট্রি আছে কিন্তু এক্সিট নেই, সেই মার্কেটে আমাদের এন্ট্রি নেওয়ার দরকার নেই। এ কারণে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বড় আকারে কমে গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের পাঁচ মাসে আট কোম্পানির শেয়ারের একটি অংশ তারা বিক্রি করে দিয়েছেন। গত ২৯ জুনের বাজারদর অনুযায়ী তাদের বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ১০৩ কোটি ৫৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার বেশি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেসব বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেন, তার মধ্যে রয়েছে- রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বাটা সু, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আরএকে সিরামিকস, সিঙ্গার বাংলাদেশ এবং গ্রামীণফোন। অপরদিকে বার্জার পেইন্টস, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্টে বিদেশিদের বিনিয়োগ থাকলেও চলতি বছর শেয়ার ধারণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থার সংকটে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছেন। এর অর্থ এই নয় যে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বরং বেশির ভাগ বহুজাতিক কোম্পানি ভালো মুনাফার ধারা ও লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতা ধরে রেখেছে। কিন্তু ডলারের দামের অস্থিরতা, দেশের ভিতরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বিদেশিদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে আস্থা নষ্ট করে দিয়েছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
এদিকে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলতি বছর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৮২ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশিরা। বর্তমান বাজারদর হিসেবে এই শেয়ারের মূল্য ৫০ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করলেও ১৯৭৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের বড় লভ্যাংশ দিচ্ছে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা রেকিট বেনকিজারের ৪৮ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। সিঙ্গার বাংলাদেশেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছরে কোম্পানিটির ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৯টি শেয়ার বিক্রি করেছেন ম্যারিকো বাংলাদেশের ৩৭ হাজার ৮০০ শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এই শেয়ারের দাম ৯ কোটি ১৮ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার বিক্রি করেছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৯টি। বর্তমান বাজারদরে এই শেয়ারের মূল্য ২ কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ টাকা। বিদেশিরা গ্রামীণফোনেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছেন। চলতি বছর এ কোম্পানিটির দুই লাখ ৭০ হাজার ৬০টি শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এই শেয়ারের মূল্য ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ২১০ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক মো. আশিকুর রহমান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার প্রধান কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়া। তবে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার সবচেয়ে বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা না থাকা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রিচার্ড ডি’ রোজারিও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই ছিল বহুজাতিক কোম্পানিতে। যখন ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়, তারপর আমাদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে বিদেশিদের সম্পূর্ণরূপে একটা অনাস্থা চলে আসে। যার কারণে অনেকে হিউজ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে তখন থেকেই। অনেকেই দাম দেখেননি। তারা মনে করছেন এটা একটা অসুস্থ মার্কেট। যে মার্কেটে এন্ট্রি আছে কিন্তু এক্সিট নেই, সেই মার্কেটে আমাদের এন্ট্রি নেওয়ার দরকার নেই। এ কারণে আমাদের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বড় আকারে কমে গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদেশি বিনিয়োগ সংকটে ধসের মুখে শেয়ারবাজার

আপডেট সময় : ০৭:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • আস্থা হারিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও ছাড়ছে বিদেশিরা
  • বিক্রি করে দিচ্ছে কোম্পানির শেয়ার
  • বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার বড় কারণ ডলারের দাম বৃদ্ধি

দেশের পুঁজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার মানেই ছিল বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়। আন্তর্জাতিক মান, স্থিতিশীল আয় ও আকর্ষণীয় লভ্যাংশের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল এসব কোম্পানির ওপর। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই থাকতো বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই আস্থাও এখন টালমাটাল। আস্থা সংকটে শক্ত মৌলভিত্তির বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও বিক্রি করে দিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আস্থা হারিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও ছাড়ছে বিদেশিরা। বিক্রি করে দিচ্ছে কোম্পানির শেয়ার। এদিকে, বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার বড় কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ডলারের দাম বৃদ্ধির কথা। এতে বিদেশি বিনিয়োগ সংকটে ধসের মুখে পড়েছে শেয়ারবাজার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল নয়। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ফান্ড তুলে নিয়েছেন এছাড়া ফ্লোর প্রাইস এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তারা বলছেন, বিদেশীরা মনে করছেন এটা একটা অসুস্থ মার্কেট। যে মার্কেটে এন্ট্রি আছে কিন্তু এক্সিট নেই, সেই মার্কেটে আমাদের এন্ট্রি নেওয়ার দরকার নেই। এ কারণে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বড় আকারে কমে গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের পাঁচ মাসে আট কোম্পানির শেয়ারের একটি অংশ তারা বিক্রি করে দিয়েছেন। গত ২৯ জুনের বাজারদর অনুযায়ী তাদের বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ১০৩ কোটি ৫৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার বেশি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেসব বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেন, তার মধ্যে রয়েছে- রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বাটা সু, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আরএকে সিরামিকস, সিঙ্গার বাংলাদেশ এবং গ্রামীণফোন। অপরদিকে বার্জার পেইন্টস, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্টে বিদেশিদের বিনিয়োগ থাকলেও চলতি বছর শেয়ার ধারণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থার সংকটে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছেন। এর অর্থ এই নয় যে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বরং বেশির ভাগ বহুজাতিক কোম্পানি ভালো মুনাফার ধারা ও লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতা ধরে রেখেছে। কিন্তু ডলারের দামের অস্থিরতা, দেশের ভিতরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বিদেশিদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে আস্থা নষ্ট করে দিয়েছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
এদিকে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলতি বছর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৮২ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশিরা। বর্তমান বাজারদর হিসেবে এই শেয়ারের মূল্য ৫০ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করলেও ১৯৭৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের বড় লভ্যাংশ দিচ্ছে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা রেকিট বেনকিজারের ৪৮ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। সিঙ্গার বাংলাদেশেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছরে কোম্পানিটির ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৯টি শেয়ার বিক্রি করেছেন ম্যারিকো বাংলাদেশের ৩৭ হাজার ৮০০ শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এই শেয়ারের দাম ৯ কোটি ১৮ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার বিক্রি করেছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৯টি। বর্তমান বাজারদরে এই শেয়ারের মূল্য ২ কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ টাকা। বিদেশিরা গ্রামীণফোনেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছেন। চলতি বছর এ কোম্পানিটির দুই লাখ ৭০ হাজার ৬০টি শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এই শেয়ারের মূল্য ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ২১০ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক মো. আশিকুর রহমান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার প্রধান কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়া। তবে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার সবচেয়ে বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা না থাকা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রিচার্ড ডি’ রোজারিও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই ছিল বহুজাতিক কোম্পানিতে। যখন ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়, তারপর আমাদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে বিদেশিদের সম্পূর্ণরূপে একটা অনাস্থা চলে আসে। যার কারণে অনেকে হিউজ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে তখন থেকেই। অনেকেই দাম দেখেননি। তারা মনে করছেন এটা একটা অসুস্থ মার্কেট। যে মার্কেটে এন্ট্রি আছে কিন্তু এক্সিট নেই, সেই মার্কেটে আমাদের এন্ট্রি নেওয়ার দরকার নেই। এ কারণে আমাদের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বড় আকারে কমে গেছে।