১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিচালকের পদবি না পাওয়ায় পবিপ্রবি শিক্ষকের হতাশা, তালাবদ্ধ অফিসকক্ষ নিয়ে বিতর্ক

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ শাখার পরিচালকের পদবি নিয়ে শিক্ষক মহলে চলছে আলোচনার ঝড়। দায়িত্ব না পেয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, যিনি কার্যালয়ের দরজায় নিজস্ব তালা লাগিয়ে দেন—যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, প্রয়াত অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া পদে গত ৪ আগস্ট অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে ছাত্র নির্দেশনা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে পদটি না পাওয়ায় ড. সাইফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন—তাঁর জুনিয়রকে পদ দেওয়া হয়েছে।

তবে নথিপত্র অনুযায়ী, উভয়েই ২০০৭ সালের ১ মার্চ যোগ দিলেও বর্তমানে ড. সুজাহাঙ্গীর অধ্যাপক (গ্রেড-২) এবং ড. সাইফুল সহযোগী অধ্যাপক (গ্রেড-৪) হিসেবে কর্মরত আছেন। ড. সাইফুল পূর্বে একবার বরখাস্ত হয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব না পেয়ে তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর পরিচালকের অফিসকক্ষে তালা দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সাড়া না মেলায় প্রক্টরিয়াল বডি হস্তক্ষেপ করে।

নবনিযুক্ত পরিচালক ড. সুজাহাঙ্গীর বলেন, “পদ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষকের মধ্যে রেষারেষি কাম্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের কল্যাণ।”

এদিকে, ড. সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, “আমি শুধুমাত্র প্রয়াত ড. জিল্লুর রহমানের জিনিসপত্র সুরক্ষার জন্য তালা দিয়েছি এবং একটি ইনভেন্টরি কমিটি ছাড়া চাবি দেব না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

পরিচালকের পদবি না পাওয়ায় পবিপ্রবি শিক্ষকের হতাশা, তালাবদ্ধ অফিসকক্ষ নিয়ে বিতর্ক

আপডেট সময় : ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ শাখার পরিচালকের পদবি নিয়ে শিক্ষক মহলে চলছে আলোচনার ঝড়। দায়িত্ব না পেয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, যিনি কার্যালয়ের দরজায় নিজস্ব তালা লাগিয়ে দেন—যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, প্রয়াত অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া পদে গত ৪ আগস্ট অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে ছাত্র নির্দেশনা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে পদটি না পাওয়ায় ড. সাইফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন—তাঁর জুনিয়রকে পদ দেওয়া হয়েছে।

তবে নথিপত্র অনুযায়ী, উভয়েই ২০০৭ সালের ১ মার্চ যোগ দিলেও বর্তমানে ড. সুজাহাঙ্গীর অধ্যাপক (গ্রেড-২) এবং ড. সাইফুল সহযোগী অধ্যাপক (গ্রেড-৪) হিসেবে কর্মরত আছেন। ড. সাইফুল পূর্বে একবার বরখাস্ত হয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব না পেয়ে তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর পরিচালকের অফিসকক্ষে তালা দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সাড়া না মেলায় প্রক্টরিয়াল বডি হস্তক্ষেপ করে।

নবনিযুক্ত পরিচালক ড. সুজাহাঙ্গীর বলেন, “পদ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষকের মধ্যে রেষারেষি কাম্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের কল্যাণ।”

এদিকে, ড. সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, “আমি শুধুমাত্র প্রয়াত ড. জিল্লুর রহমানের জিনিসপত্র সুরক্ষার জন্য তালা দিয়েছি এবং একটি ইনভেন্টরি কমিটি ছাড়া চাবি দেব না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।