০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ৬ হলে অনিয়মের অভিযোগে পাবিপ্রবির ৫ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) জুলাই ৬ হলের সিট বণ্টনে অনিয়ম ও প্রশাসনের জন্য সংরক্ষিত ১০% কোটা বাতিলের দাবিতে পাঁচ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। অনশনরতরা হলেন— বাংলা বিভাগের মিকাইল হোসেন, গণিত বিভাগের তৌফিক হায়াত ওয়াসিম ও সাখাওয়াত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের সোহেল রানা এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবু জিহাদ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৬ আগস্ট প্রকাশিত হলে ওঠার ফলাফলে নানা অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দেখা গেছে। অনেকে উচ্চ সিজিপিএ ও আর্থিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও সিট পাননি, অথচ তুলনামূলকভাবে কম যোগ্য প্রার্থীরা রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট পেয়েছেন। তারা বলেন, প্রশাসন নীতিমালার মাধ্যমে ১০% সিট নিজেদের জন্য সংরক্ষণ করেছে, যা পরে রাজনৈতিক দল ও এক সমন্বয়কের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এর ফলে প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বিতর্কিত ফলাফল বাতিল করে স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে সিট বণ্টন করতে হবে। বিশেষ করে দূরবর্তী এলাকার শিক্ষার্থী, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, পিতা-হারা ও টিউশনি করে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জুলাই ৬ হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ভিসি স্যার ঢাকায় আছেন, তিনি ফিরে এলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

জুলাই ৬ হলে অনিয়মের অভিযোগে পাবিপ্রবির ৫ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

আপডেট সময় : ০৫:০৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) জুলাই ৬ হলের সিট বণ্টনে অনিয়ম ও প্রশাসনের জন্য সংরক্ষিত ১০% কোটা বাতিলের দাবিতে পাঁচ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। অনশনরতরা হলেন— বাংলা বিভাগের মিকাইল হোসেন, গণিত বিভাগের তৌফিক হায়াত ওয়াসিম ও সাখাওয়াত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের সোহেল রানা এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবু জিহাদ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৬ আগস্ট প্রকাশিত হলে ওঠার ফলাফলে নানা অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দেখা গেছে। অনেকে উচ্চ সিজিপিএ ও আর্থিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও সিট পাননি, অথচ তুলনামূলকভাবে কম যোগ্য প্রার্থীরা রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট পেয়েছেন। তারা বলেন, প্রশাসন নীতিমালার মাধ্যমে ১০% সিট নিজেদের জন্য সংরক্ষণ করেছে, যা পরে রাজনৈতিক দল ও এক সমন্বয়কের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এর ফলে প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বিতর্কিত ফলাফল বাতিল করে স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে সিট বণ্টন করতে হবে। বিশেষ করে দূরবর্তী এলাকার শিক্ষার্থী, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, পিতা-হারা ও টিউশনি করে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জুলাই ৬ হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ভিসি স্যার ঢাকায় আছেন, তিনি ফিরে এলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।