০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ 

আগস্টের মধ্যে স্নাতক পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদভুক্ত ‘আল ফিকহ এন্ড ল’ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের নীচতলায় বিভাগের গেট তালা দিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় আজকের মধ্যে পরীক্ষার রুটিন, এই মাসের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা এক্সাম এক্সাম এক্সাম চাই, ফোর টু এর এক্সাম চাই; আজকে নাকি কালকে, আজকে আজকে; দাবি মোদের একটাই, ফোর টু এর এক্সাম চাই; ডেট নিয়ে প্রহসন, চলবে না চলবে না; ধৈর্য ধরার স্বান্তনা, আর না আর না; সবাই যখন কেন, আল ফিকহ কেন মর্গে; মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, বন্দি থেকে মুক্তি চাই ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বিভাগ সংস্কারের অংশ হিসেবে ১৭ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষকরা একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করেন। সে অনুযায়ী ৪.১ সেমিস্টারের পরীক্ষা এপ্রিলে হওয়ার কথা থাকলেও তা সময়মতো শুরু হয়নি৷ পরবর্তীতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। বারবার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানালেও শিক্ষকরা নানা অজুহাতে ফল প্রকাশে দেরি করে৷ এতে আমাদের শিক্ষাজীবন ব্যহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন বিভাগেই ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা আটকে নেই আল ফিকহ ব্যতীত।

শিক্ষার্থী আনারুল ইসলাম বলেন, স্যার আমাদের বলেছিলেন জুনের মধ্যে শেষ করে দিবে কিন্তু আগস্ট মাস চলে আসলেও তারা আমাদের সাথে টালবাহানা করছে। তারা বলছেন এখনো নাকি তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে ৪.১ সেমিস্টারের খাতাই যায়নি। খাতা যাবে, তিনি খাতা দেখে নাম্বার দিবেন তারপর রিটেক নিবেন তারপর তাদের সুবিধাজনক সময়ে ৪.২ সেমিস্টারের পরীক্ষা নিবে। সামনেই আমাদের জুডিসিয়ার সার্কুলার আছে। স্যাররা যদি এমন করতে থাকে তাহলে আমরা বহুল আকাঙ্ক্ষিত সার্কুলার টা মিস করবো। এমন প্রহসন আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না।

শিক্ষার্থী সুমাইয়া আহমেদ বলেন, ল ফ্যাকাল্টির অন্য দুটি বিভাগের অনেক আগেই ১৯-২০ সেশনের অনার্স শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আমরা এখনো শেষ করতে পারছি না। ক্যাম্পাসের যে গুটিকয়েক বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এখনো অনার্স শেষ হয়নি তাদের মধ্যে আমরা অন্যতম। সামনে আমাদের সার্কুলার আছে কিন্তু সেটা আমরা পাবো কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যে আমাদের শেষ করে দেয়া হবে কিন্তু তার কোন বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি। তাই আমরা আজকে এখানে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ 

আপডেট সময় : ০৩:৪২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

আগস্টের মধ্যে স্নাতক পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদভুক্ত ‘আল ফিকহ এন্ড ল’ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের নীচতলায় বিভাগের গেট তালা দিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় আজকের মধ্যে পরীক্ষার রুটিন, এই মাসের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা এক্সাম এক্সাম এক্সাম চাই, ফোর টু এর এক্সাম চাই; আজকে নাকি কালকে, আজকে আজকে; দাবি মোদের একটাই, ফোর টু এর এক্সাম চাই; ডেট নিয়ে প্রহসন, চলবে না চলবে না; ধৈর্য ধরার স্বান্তনা, আর না আর না; সবাই যখন কেন, আল ফিকহ কেন মর্গে; মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, বন্দি থেকে মুক্তি চাই ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বিভাগ সংস্কারের অংশ হিসেবে ১৭ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষকরা একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করেন। সে অনুযায়ী ৪.১ সেমিস্টারের পরীক্ষা এপ্রিলে হওয়ার কথা থাকলেও তা সময়মতো শুরু হয়নি৷ পরবর্তীতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। বারবার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানালেও শিক্ষকরা নানা অজুহাতে ফল প্রকাশে দেরি করে৷ এতে আমাদের শিক্ষাজীবন ব্যহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন বিভাগেই ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা আটকে নেই আল ফিকহ ব্যতীত।

শিক্ষার্থী আনারুল ইসলাম বলেন, স্যার আমাদের বলেছিলেন জুনের মধ্যে শেষ করে দিবে কিন্তু আগস্ট মাস চলে আসলেও তারা আমাদের সাথে টালবাহানা করছে। তারা বলছেন এখনো নাকি তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে ৪.১ সেমিস্টারের খাতাই যায়নি। খাতা যাবে, তিনি খাতা দেখে নাম্বার দিবেন তারপর রিটেক নিবেন তারপর তাদের সুবিধাজনক সময়ে ৪.২ সেমিস্টারের পরীক্ষা নিবে। সামনেই আমাদের জুডিসিয়ার সার্কুলার আছে। স্যাররা যদি এমন করতে থাকে তাহলে আমরা বহুল আকাঙ্ক্ষিত সার্কুলার টা মিস করবো। এমন প্রহসন আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না।

শিক্ষার্থী সুমাইয়া আহমেদ বলেন, ল ফ্যাকাল্টির অন্য দুটি বিভাগের অনেক আগেই ১৯-২০ সেশনের অনার্স শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আমরা এখনো শেষ করতে পারছি না। ক্যাম্পাসের যে গুটিকয়েক বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এখনো অনার্স শেষ হয়নি তাদের মধ্যে আমরা অন্যতম। সামনে আমাদের সার্কুলার আছে কিন্তু সেটা আমরা পাবো কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যে আমাদের শেষ করে দেয়া হবে কিন্তু তার কোন বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি। তাই আমরা আজকে এখানে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে।