আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পটি পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে আঘাত হানে।
এ খবর জানিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
রোববার গভীর রাতে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ সময় দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
দেশটির কর্মকর্তারা সোমবার জানান, এ ভূমিকম্পের আঘাতে ২৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আনাদোলুকে জানান, ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না, তাই প্রশাসন আহতদের উদ্ধার ও বিমানে তোলার জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কমপক্ষে ৫০০ জন আহত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, আফগানিস্তানের স্থানীয় কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, নাঙ্গারহার ও কুনার প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ইতোমধ্যেই ১১৫ জনের বেশি আহতকে ভর্তি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এরপর অন্তত আরও তিনটি কম্পন হয়েছে, সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২ পর্যন্ত।
ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি কয়েক সেকেন্ড ধরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে (যা উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে) এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও (প্রায় ৪০০ কিমি দূরে) অনুভূত হয়।
তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে বলেন, বন্যা ও ভূমিকম্প-পরবর্তী ধসের কারণে সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ এখন কেবল আকাশপথে করা সম্ভব।
তালেবান কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তাদের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে হেলিকপ্টারসহ সাহায্য চেয়েছেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো যায়।
এমআর/সবা


























