খাগড়াছড়ির পাহাড়ি অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাসব্যাপী প্রধান উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান। দীঘিনালা ও পার্বত্য অঞ্চলের ৮টি বন বিহার ও ৩৯টি বৌদ্ধ বিহারে হাজারো ভক্ত অংশ নিচ্ছেন। তারা পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, চীবর দান ও কল্পতরু দানসহ নানা পূণ্যকর্ম সম্পাদন করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বিহার পরিদর্শন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভদন্ত শ্রদ্ধা লঙ্কার মহাথেরো জানান, গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় প্রধান সেবিকা বিশাখা একদিনের মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি, রং ও বয়ন শেষে চীবর দান করেছিলেন—আজও সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়।
কামাকুছড়া ধর্ম্মাংকুর (ধলাইমা) বৌদ্ধ বিহারের ভক্ত সুজাতা চাকমা বলেন, “আমরা নারীরা সারা রাত জেগে তুলা থেকে সুতা তৈরি ও বয়ন করি, তা ভিক্ষুদের দান করি। কাজটি কঠিন হলেও পূণ্যবতী।”
শান্তি, পূণ্য ও ভক্তির আলোয় পাহাড় জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে এ মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
এমআর/সবা




















