বিল্লাল হোসেন,যশোর
কুয়াশায় ধূসর প্রান্তর, চারদিকে হলুদের সমাহার। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ রঙ। মনে হয় যেন রূপকথার রাজকুমারীর গায়ে হলুদ। প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে যশোরের চৌগাছায় উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। যেনো হলুদের গালিচা মোড়ানো হয়েছে। লাভজনক হওয়ায় গত মৌসুমের তুলনায় এবার ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চার হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। প্রনোদনা সুবিধার পাশাপাশি লাভজনক হওয়ায় সরিষার আবাদে ঝুঁকেছেন এখানকার চাষিরা।
সিংহঝুলি গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গত দুই বছর ধরে সরিষার চাষ করছি। গতবারও ভালো ফলন হয়েছিল। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আরো কিছু সরিষা বিক্রি করেছিলাম। এ বছরও দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। আমন ধানের জমিতে সরিষা চাষ করতে কোনো সেচ, সার ও পরিচর্যা ছাড়াই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি জহির উদ্দীন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে সরিষার চাষ করছি। ফলনও ভালো হচ্ছে। নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজন মিটিয়ে সরিষা বিক্রি করে লাভও হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পর নিজের উৎপাদিত সরিষা ভাঙিয়ে তেল তৈরি করিয়ে নিচ্ছি। এতে অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হুসাইন বলেন, সরিষা চাষের জন্য উপজেলার প্রায় এক হাজার চাষিকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এসব চাষিরা বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও তিন রকমের রাসায়নিক সার পেয়েছেন।


























