১২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাল ক্রয় সংগ্রহ হবে পুরো লক্ষ্যমাত্রা

উল্লাপাড়ায় ধান বেচতে গুদামে আনছেন না কৃষক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারের চলমান মৌসুমে সরকারী খাদ্য গুদামে এক মাসে এক কেজি আমন ধান ক্রয় সংগ্রহ হয়নি। এক জন কৃষক উৎপাদিত ধান বেচতে গুদামে আনেন নি। তবে একই সময়ে চাল ক্রয় সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩২ ভাগ পূরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকার হাটগুলোয় এক মণ রোপা আমন ধান সাড়ে ১১শ থেকে ১২শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্রে , এবারের মৌসুমে উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে রোপা আমন ধান ৪ শ ২২ মেট্রিক টন এবং মিলারদের কাছ থেকে ১ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন রোপা আমন চাউল ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা এবং ৪৪ টাকা কেজি চাউল দর বেধে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। আর চুক্তিবদ্ধ চাউলকল মালিকদের কাছ থেকে চাউল ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। এবারে মোট ২৪ জন চাউলকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ২৩ জন হাসকিং চাউল কল ও এক জন অটো চাউল কল মালিক বলে জানা গেছে। ধান ও চাউল ক্রয় সংগ্রহ শুরু গত ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলবে।

এলাকার হাটগুলোয় এখন মোটা জাতের হালকা ভেজা থাকা এক মণ রোপা আমন ধান সাড়ে ১১শ থেকে ১২শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে। সরকারী খাদ্য গুদামে এ ধান বেচতে হলে পুরোপুরি শুকাতে হচ্ছে । কৃষকেরা বাড়ী থেকে কিংবা এলাকার হাটে নিয়ে ধান বিক্রি করছেন। উল্লাপাড়া ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবু তোরাব জানান রবিবার অবধি চুক্তিবদ্ধ চাউলকল মালিকদের কাছ থেকে ৩ শ ৫৬ দশমিক ১৬০ মেট্রিক টন চাউল ক্রয় সংগ্রহ হয়েছে। এদিকে আজ রবিবার অবধি ধান নিয়ে একজন কৃষক গুদামে বেচতে আনেন নি। তিনি আশা করছেন আমন ধানের চাউল ক্রয় সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান চাউল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূরণ হবে বলে পুরো আশা করছেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। এলাকার কৃষক কিংবা কৃষকেরা ধান বেচতে গুদামে আনলে তাদের কাছ থেকে তা ক্রয় সংগ্রহ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাল ক্রয় সংগ্রহ হবে পুরো লক্ষ্যমাত্রা

উল্লাপাড়ায় ধান বেচতে গুদামে আনছেন না কৃষক

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারের চলমান মৌসুমে সরকারী খাদ্য গুদামে এক মাসে এক কেজি আমন ধান ক্রয় সংগ্রহ হয়নি। এক জন কৃষক উৎপাদিত ধান বেচতে গুদামে আনেন নি। তবে একই সময়ে চাল ক্রয় সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩২ ভাগ পূরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকার হাটগুলোয় এক মণ রোপা আমন ধান সাড়ে ১১শ থেকে ১২শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্রে , এবারের মৌসুমে উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে রোপা আমন ধান ৪ শ ২২ মেট্রিক টন এবং মিলারদের কাছ থেকে ১ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন রোপা আমন চাউল ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা এবং ৪৪ টাকা কেজি চাউল দর বেধে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। আর চুক্তিবদ্ধ চাউলকল মালিকদের কাছ থেকে চাউল ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। এবারে মোট ২৪ জন চাউলকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ২৩ জন হাসকিং চাউল কল ও এক জন অটো চাউল কল মালিক বলে জানা গেছে। ধান ও চাউল ক্রয় সংগ্রহ শুরু গত ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলবে।

এলাকার হাটগুলোয় এখন মোটা জাতের হালকা ভেজা থাকা এক মণ রোপা আমন ধান সাড়ে ১১শ থেকে ১২শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে। সরকারী খাদ্য গুদামে এ ধান বেচতে হলে পুরোপুরি শুকাতে হচ্ছে । কৃষকেরা বাড়ী থেকে কিংবা এলাকার হাটে নিয়ে ধান বিক্রি করছেন। উল্লাপাড়া ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবু তোরাব জানান রবিবার অবধি চুক্তিবদ্ধ চাউলকল মালিকদের কাছ থেকে ৩ শ ৫৬ দশমিক ১৬০ মেট্রিক টন চাউল ক্রয় সংগ্রহ হয়েছে। এদিকে আজ রবিবার অবধি ধান নিয়ে একজন কৃষক গুদামে বেচতে আনেন নি। তিনি আশা করছেন আমন ধানের চাউল ক্রয় সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান চাউল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূরণ হবে বলে পুরো আশা করছেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। এলাকার কৃষক কিংবা কৃষকেরা ধান বেচতে গুদামে আনলে তাদের কাছ থেকে তা ক্রয় সংগ্রহ করা হবে।