০৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় মাধ্যমিকের ৪ লাখ ৫৩ হাজার বই  পৌঁছেনি

খুলনায় নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়েছে। সোমবার নতুন বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে খুলনা জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫২টি বই এখনো পৌঁছায়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৫টি স্কুল এ্যান্ড কলেজের ২৬ হাজার ৯৬৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৫টি। পাওয়া গেছে ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৩টি বই। এখনো বাকি রয়েছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫২টি বই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ বলেন, আমরা ৮৫ শতাংশ বই পেয়েছি। বাকি বই খুব দ্রুতই পেয়ে যাব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, জেলার ১ হাজার ৫৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থীর চাহিদা ১০ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৭টি বই। চাহিদার সব বই ইতিমধ্যে চলে এসেছে।
এর আগে সোমবার খুলনা জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব খুলনা জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
বই বিতরণের মধ্যে খুলনা জেলার মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ি স্তরের ৫৪৫টি স্কুলের প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৯৬৩ শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৫টি নতুন বই এবং প্রাথমিক স্তরের এক হাজার ৫৭৬টি বিদ্যালয়ের দুই লাখ ১৪ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১০ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৭টি নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক স্তরের এক হাজার ৫৬৮টি বিদ্যালয়ের ৩৯ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যেখানে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। এবছরও এর কোন ব্যত্যয় হয়নি। এ কার্যক্রম সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে। বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটছে। এই বই কিন্তু বিনামূল্যে নয়। এটা সরকার কর্তৃক রাষ্টীয় উপহার। এই উপহার গ্রহণ করে রাষ্ট্র গঠনের কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যায়। যার সুফল আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ঐতিহাসিক নিদর্শন

খুলনায় মাধ্যমিকের ৪ লাখ ৫৩ হাজার বই  পৌঁছেনি

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
খুলনায় নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়েছে। সোমবার নতুন বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে খুলনা জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫২টি বই এখনো পৌঁছায়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৫টি স্কুল এ্যান্ড কলেজের ২৬ হাজার ৯৬৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৫টি। পাওয়া গেছে ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৩টি বই। এখনো বাকি রয়েছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫২টি বই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ বলেন, আমরা ৮৫ শতাংশ বই পেয়েছি। বাকি বই খুব দ্রুতই পেয়ে যাব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, জেলার ১ হাজার ৫৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থীর চাহিদা ১০ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৭টি বই। চাহিদার সব বই ইতিমধ্যে চলে এসেছে।
এর আগে সোমবার খুলনা জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব খুলনা জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
বই বিতরণের মধ্যে খুলনা জেলার মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ি স্তরের ৫৪৫টি স্কুলের প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৯৬৩ শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৫টি নতুন বই এবং প্রাথমিক স্তরের এক হাজার ৫৭৬টি বিদ্যালয়ের দুই লাখ ১৪ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১০ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৭টি নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক স্তরের এক হাজার ৫৬৮টি বিদ্যালয়ের ৩৯ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যেখানে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। এবছরও এর কোন ব্যত্যয় হয়নি। এ কার্যক্রম সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে। বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটছে। এই বই কিন্তু বিনামূল্যে নয়। এটা সরকার কর্তৃক রাষ্টীয় উপহার। এই উপহার গ্রহণ করে রাষ্ট্র গঠনের কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যায়। যার সুফল আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে।