নীলফামারীর সৈয়দপুরে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কবলে বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তরণের কোন উপায় না পেয়ে হতাশায় কৃষকরা। আবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন তারা। সৈয়দপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা অর্জনের জন্য আপাতত মোট ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে কুয়াশা আর তীব্র শীতে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। গতকাল শনিবারও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় কুয়াশা শিশির আকারে হালকা বৃষ্টির মত ঝরছে। এতে রাস্তা, গাছপালাসহ বীজতলা ভিজে যাচ্ছে। কুয়াশা থেকে বাঁচতে বীজতলায় পলিথিন এর ব্যবহার করেও লাভ করতে পারছে না কৃষকরা। বীজতলা নষ্ট হলে চলতি মৌসুমে অধিকাংশ কৃষককেই চারা কিনে ধান রোপন করতে হবে। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা না করলে অনেক কৃষকই লোকসানের কবলে পড়বেন।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ৩০ ডিসেম্বর থেকে সৈয়দপুরে প্রচন্ড শীত হলেও গত ৫ দিন থেকে সারা আকাশ কুয়াশাছন্ন থাকায় সুর্যের দেখা মেলেনি।কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো শিশির পড়ে বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এবারে চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। বাংগালীপুর ইউনিয়নের কৃষক হেলাল ও বেলাল জানান, এবারে ১ বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু গত ৭-৮ দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় বীজতলার করুন অবস্থা। পলিথিন মোড়া দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এই কয়েক দিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় বীজতলার গোড়া পঁচে যাচ্ছে। এভাবে আরো ২-১ দিন তাপমাত্রা উঠানামা করলে আবাদ করা মুশকিল হয়ে পড়বে। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, এবারে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব বীজতলা কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সেগুলোতে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে বিকালে পানি বের করে দিতে হবে। এতে ক্ষতির আশংকা থাকবেনা। প্রয়োজনে এবিষয়ে কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।


























