০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাংলাদেশসহ আরো পাঁচটি দেশে সরকারিভাবে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশ্যে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য যেসব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত, সেসব দেশ হলো নেপাল, ভুটান, বাহরাইন এবং মৌরিশাস।

এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজের অনুমতি দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। গত রোববার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, রোজার আগেই ভারত থেকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির বৃহত্তর অংশ আসে ভারত থেকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। পরে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কারণ ভারত চেয়েছিল তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে।

ভারত তার রপ্তানি আটকাতে প্রথমে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। কিন্তু এই পদক্ষেপে আশানুরূপ ফল না আসায় তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার বিষয়ে সুপারিশ করার আগে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।

 

 

স/মিফা

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

আপডেট সময় : ১০:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাংলাদেশসহ আরো পাঁচটি দেশে সরকারিভাবে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশ্যে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য যেসব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত, সেসব দেশ হলো নেপাল, ভুটান, বাহরাইন এবং মৌরিশাস।

এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজের অনুমতি দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। গত রোববার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, রোজার আগেই ভারত থেকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির বৃহত্তর অংশ আসে ভারত থেকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। পরে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কারণ ভারত চেয়েছিল তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে।

ভারত তার রপ্তানি আটকাতে প্রথমে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। কিন্তু এই পদক্ষেপে আশানুরূপ ফল না আসায় তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার বিষয়ে সুপারিশ করার আগে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।

 

 

স/মিফা