১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বজয়ী হাফেজ বশিরকে সংবর্ধনা দিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

বিশ্বের ৮০ টি দেশকে হারিয়ে ইরানে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমাদকে মুধর ক্যান্টিনে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এ সময় ছাত্রলীগের মাদ্রাসা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় বশির আহমাদ ও তাঁর শিক্ষক নেছার আহমাদ নেছারীর হাতে ফুলের তোড়া ও গিফট বক্স তুলে দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত বশির ও তাঁর শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমাদ নেছারী।

অনুভূতি প্রকাশ করে হাফেজ বশির বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দেশবাসীর দোয়ায় আমি ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। কিছুদিন আগ আমি আলজেরিয়াতেও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলাম। কোরআনী হাফেজদেরকে সম্মানিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ।

নিজের জীবনের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন “আমি  বড়  হয়ে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআনিক সাইন্স বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাই এবং কাবা শরীফ ইমাম হতে চাই”।

সংবর্ধনাকালে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এটি ছাত্রলীগের নতুন কোনো উদ্যোগ নয়। হাফেজ বশিরের মত আরো অনেক সুপ্ত মেধাকে বিকশিত করার জন্য ছাত্রলীগ কাজ করে যাবে। হাফেজ বশির আমাদের গর্ব।

তিনি আরো বলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা  ও কওমি মাদ্রাসা গুলো যাতে পর্যাপ্ত বাজেট পায় সে লক্ষ্যে কাজ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারা যেন প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের বিশস্ত বন্ধু হয়ে কাজ করবে। এসময় তিনি বশির ও তাঁর মাদ্রাসা শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বশির আহমাদের জন্য অনেক বেশি শুভকামনা। আমরা চাই বশির আহমাদ শুধু নয়, এরকম অসংখ্য বশির বিশ্ব দরবারে ইসলামিক ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশের জন্য আরও গৌরবান্বিত মুকুট ছিনিয়ে আনবে।

শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমাদ নেছারী বলেন, বশির মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে খুব ভয় পাচ্ছিল। আমি তাকে বলেছি তুমি ১৮ কোটি মানুষের ভার নিয়ে এসেছো। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মানিত করতে হবে। তার স্বপ্ন হচ্ছে ইসলামিক স্কলার হওয়া এবং পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম হওয়া। সে বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তাকে বিভিন্ন মহল থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে হাফেজরা আরও অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হবে, দেশের সম্মান বাড়বে।

বিশ্বজয়ী এই হাফেজ ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামে। তাঁর বাবা সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ  আবদুর রশিদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

বিশ্বজয়ী হাফেজ বশিরকে সংবর্ধনা দিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশ্বের ৮০ টি দেশকে হারিয়ে ইরানে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমাদকে মুধর ক্যান্টিনে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এ সময় ছাত্রলীগের মাদ্রাসা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় বশির আহমাদ ও তাঁর শিক্ষক নেছার আহমাদ নেছারীর হাতে ফুলের তোড়া ও গিফট বক্স তুলে দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত বশির ও তাঁর শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমাদ নেছারী।

অনুভূতি প্রকাশ করে হাফেজ বশির বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দেশবাসীর দোয়ায় আমি ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। কিছুদিন আগ আমি আলজেরিয়াতেও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলাম। কোরআনী হাফেজদেরকে সম্মানিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ।

নিজের জীবনের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন “আমি  বড়  হয়ে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআনিক সাইন্স বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাই এবং কাবা শরীফ ইমাম হতে চাই”।

সংবর্ধনাকালে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এটি ছাত্রলীগের নতুন কোনো উদ্যোগ নয়। হাফেজ বশিরের মত আরো অনেক সুপ্ত মেধাকে বিকশিত করার জন্য ছাত্রলীগ কাজ করে যাবে। হাফেজ বশির আমাদের গর্ব।

তিনি আরো বলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা  ও কওমি মাদ্রাসা গুলো যাতে পর্যাপ্ত বাজেট পায় সে লক্ষ্যে কাজ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারা যেন প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের বিশস্ত বন্ধু হয়ে কাজ করবে। এসময় তিনি বশির ও তাঁর মাদ্রাসা শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বশির আহমাদের জন্য অনেক বেশি শুভকামনা। আমরা চাই বশির আহমাদ শুধু নয়, এরকম অসংখ্য বশির বিশ্ব দরবারে ইসলামিক ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশের জন্য আরও গৌরবান্বিত মুকুট ছিনিয়ে আনবে।

শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমাদ নেছারী বলেন, বশির মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে খুব ভয় পাচ্ছিল। আমি তাকে বলেছি তুমি ১৮ কোটি মানুষের ভার নিয়ে এসেছো। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মানিত করতে হবে। তার স্বপ্ন হচ্ছে ইসলামিক স্কলার হওয়া এবং পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম হওয়া। সে বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তাকে বিভিন্ন মহল থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে হাফেজরা আরও অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হবে, দেশের সম্মান বাড়বে।

বিশ্বজয়ী এই হাফেজ ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামে। তাঁর বাবা সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ  আবদুর রশিদ।