০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবিতে ফুটল দুর্লভ প্রজাতির ফুল ‘রোজ অব ভেনেজুয়েলা’ 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ফুটেছে মনোমুগ্ধকর দুর্লভ ফুল ‘রোজ অব ভেনেজুয়েলা’ বা ‘পাখি ফুল’। লোকমুখে ফুলটির নাম পাখিফুল হলেও দেখতে এটি ঠিক পাখির মত নয়। তবে এ ফুল গাছের কচি পাতা যখন ছোট নরম ডাল থেকে ঝুলে থাকে, তখন তা দেখতে পাখির লেজ বা পালকের মত মনে হয়। আর তাই অনেকে এই ফুলটিকে পাখি ফুল নামে চেনেন।
অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার ‘ফুলগুলি যেন কথা’ এবং নিসর্গী বিপ্রদাশ বডূয়ার ‘গাছ-পালা- তরুলতা’ ও ‘নগরে নিসর্গ’ গ্রন্থে এ ফুলটিকে পাখি ফুল (Brownea coccinea) হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
পাখিফুল গাছের সবুজ পাতার ওপর গোলাকার লাল ফুল আমাদের লাল-সবুজের  জাতীয় পতাকার কথাই ম্মরণ করিয়ে দেয়। আবার ফুলটি ম্বাধীনতার মাস মার্চ মাসেই প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলে, এ যেন লাল-সবুজের বাংলাদেশ। গুচ্ছে গুচ্ছে সারা গাছে ফোটে এই ফুল।
মনোমুগ্ধকর এই ফুলটিকে স্কারলেট ফ্রেম, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মাউন্টেন রোজ অথবা ব্রাউনিয়া বলে থাকেন অনেকে। বাংলাদেশে কেউ কেউ এই ফুলটিকে ডাকে ‘পাখিফুল’, আবার কেউ  কেউ ডাকে ‘সুপ্তি’ নামে।আবার কেউ কেউ এই ফুলটিকে পারিজাত ফুল বলে মনে করেন।
জানা যায়, ক্যাম্পাসে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ফুলটি পারিজাত ফুল নয়। এই ফুলটির আদি জন্মস্থান ভেনিজুয়েলা বলে এর প্রচলিত নাম  ‘রোজ অব ভেনেজুয়েলা’ পাখি ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘Brownea coccinea’।  পাখিফুল বাংলাদেশে বেশ দুর্লভ। ঢাকার প্রাচীনতম পাখি ফুলের গাছটি রয়েছে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  মধুর ক্যান্টিনের পাশে। এ ছাডাও  বর্তমানে ঢাকার  রমনা পার্ক, উত্তরা গণভবনে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  বোটানিক্যাল  গার্ডেন, রাজশাহী কলেজ, মহেশখালির আদিনাথ মন্দিরসহ চট্টগ্রামের বৌদ্ধবিহারগুলোতেও এই ফুল গাছটি দেখা যায়।
এই ফুলটির বিষয়ে নোয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বেবিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান  ড. সুবোধ কুমার সরকার বলেন, আমাদের দেশে বসন্তকালে যে কয়টি ফুল চারপাশ আলোকিত করে ফোটে, পাখিফুল তাদের মধ্যে অন্যতম। পাখিফুলের যৌগপত্র ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। ফুলের রং আগুনের মত উজ্জ্বল লাল। পাখিফুলের গাছ ৫ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালা দিক থেকে এটি অশোক গাছের সঙ্গে  সাদৃশ্যপূর্ণ। বড় গোলাকার যে ফুলটি আমরা দেখি সেটি আসলে একটি ফুলের  মঞ্জরি। ছোট ছোট সিঁদুর লালফুল একটি মঞ্জরিতে ফুটে গোলাকার আকার ধারণ করে এবং ফুলটিতে কোন গন্ধ নেই। ফুল গাছটি ২০১৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে আমার রোপণ করার সুযোগ হয়েছিল।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

নোবিপ্রবিতে ফুটল দুর্লভ প্রজাতির ফুল ‘রোজ অব ভেনেজুয়েলা’ 

আপডেট সময় : ১০:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ফুটেছে মনোমুগ্ধকর দুর্লভ ফুল ‘রোজ অব ভেনেজুয়েলা’ বা ‘পাখি ফুল’। লোকমুখে ফুলটির নাম পাখিফুল হলেও দেখতে এটি ঠিক পাখির মত নয়। তবে এ ফুল গাছের কচি পাতা যখন ছোট নরম ডাল থেকে ঝুলে থাকে, তখন তা দেখতে পাখির লেজ বা পালকের মত মনে হয়। আর তাই অনেকে এই ফুলটিকে পাখি ফুল নামে চেনেন।
অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার ‘ফুলগুলি যেন কথা’ এবং নিসর্গী বিপ্রদাশ বডূয়ার ‘গাছ-পালা- তরুলতা’ ও ‘নগরে নিসর্গ’ গ্রন্থে এ ফুলটিকে পাখি ফুল (Brownea coccinea) হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
পাখিফুল গাছের সবুজ পাতার ওপর গোলাকার লাল ফুল আমাদের লাল-সবুজের  জাতীয় পতাকার কথাই ম্মরণ করিয়ে দেয়। আবার ফুলটি ম্বাধীনতার মাস মার্চ মাসেই প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলে, এ যেন লাল-সবুজের বাংলাদেশ। গুচ্ছে গুচ্ছে সারা গাছে ফোটে এই ফুল।
মনোমুগ্ধকর এই ফুলটিকে স্কারলেট ফ্রেম, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মাউন্টেন রোজ অথবা ব্রাউনিয়া বলে থাকেন অনেকে। বাংলাদেশে কেউ কেউ এই ফুলটিকে ডাকে ‘পাখিফুল’, আবার কেউ  কেউ ডাকে ‘সুপ্তি’ নামে।আবার কেউ কেউ এই ফুলটিকে পারিজাত ফুল বলে মনে করেন।
জানা যায়, ক্যাম্পাসে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ফুলটি পারিজাত ফুল নয়। এই ফুলটির আদি জন্মস্থান ভেনিজুয়েলা বলে এর প্রচলিত নাম  ‘রোজ অব ভেনেজুয়েলা’ পাখি ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘Brownea coccinea’।  পাখিফুল বাংলাদেশে বেশ দুর্লভ। ঢাকার প্রাচীনতম পাখি ফুলের গাছটি রয়েছে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  মধুর ক্যান্টিনের পাশে। এ ছাডাও  বর্তমানে ঢাকার  রমনা পার্ক, উত্তরা গণভবনে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  বোটানিক্যাল  গার্ডেন, রাজশাহী কলেজ, মহেশখালির আদিনাথ মন্দিরসহ চট্টগ্রামের বৌদ্ধবিহারগুলোতেও এই ফুল গাছটি দেখা যায়।
এই ফুলটির বিষয়ে নোয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বেবিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান  ড. সুবোধ কুমার সরকার বলেন, আমাদের দেশে বসন্তকালে যে কয়টি ফুল চারপাশ আলোকিত করে ফোটে, পাখিফুল তাদের মধ্যে অন্যতম। পাখিফুলের যৌগপত্র ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। ফুলের রং আগুনের মত উজ্জ্বল লাল। পাখিফুলের গাছ ৫ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালা দিক থেকে এটি অশোক গাছের সঙ্গে  সাদৃশ্যপূর্ণ। বড় গোলাকার যে ফুলটি আমরা দেখি সেটি আসলে একটি ফুলের  মঞ্জরি। ছোট ছোট সিঁদুর লালফুল একটি মঞ্জরিতে ফুটে গোলাকার আকার ধারণ করে এবং ফুলটিতে কোন গন্ধ নেই। ফুল গাছটি ২০১৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে আমার রোপণ করার সুযোগ হয়েছিল।