➤ইসরায়েলে অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান
➤ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা পরিকল্পিত : ডব্লিউসিকে
➤পশ্চিম তীরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে ইরান
➤ ত্রাণ সরবরাহে বাধা, নিহতদের ২৪ হাজারই নারী-শিশু
গাজা উপত্যকায় বয়ে যাচ্ছে নারী-শিশুর রক্তের স্রোত। রক্তগঙ্গা বয়ে দেওয়া ভয়ংকর সব বোমা হামলা চালাতে ইসরায়েলি বাহিনীকে সাহায্য করছে ‘ল্যাভেন্ডার’ নামের গোপন এক এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর টার্গেটিং সিস্টেম। ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারকে এক চিঠি দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক তিনজন বিচারপতিও রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠাতা জোসে আন্দ্রেজ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠনটির ত্রাণকর্মীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনাটি ‘ভুল’ ছিল না। এটা ‘পরিকল্পিত’ হামলা।
সম্প্রতি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি ম্যাগাজিন ‘+৯৭২’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ল্যাভেন্ডার’ ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করছে। প্রাণঘাতী অভিযানের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করতে বাহিনীটি ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ডাটাবেস। গোপন ও অপরীক্ষিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ডাটাবেস ব্যবহারের বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে মানবাধিকার এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের। এআইয়ের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
গতকাল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক ররি চ্যাল্যান্ডস জানান, টার্গেট করে হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনির তালিকা তৈরির জন্য দায়ী এই এআই-নির্ভর ল্যাভেন্ডার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ল্যাভেন্ডারের ত্রুটির হার মাত্র ১০ শতাংশের মতো।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দলের চাপের মুখে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এরই মধ্যে তাকে ওই চিঠি পাঠানো হলো। ১৭ পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে সই করেছেন ৬০০ জনের বেশি আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। তাদের মধ্যে আছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সভাপতি লেডি হ্যালেও। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্টজনের মধ্যে আরো রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি লর্ড সাম্পশন ও লর্ড উইলসন। আছেন আরো নয়জন বিচারক ও ৬৯ জন কেসি। চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে যুক্তরাজ্য। গাজায় ‘সম্ভাব্য গণহত্যার ঝুঁকি’র প্রেক্ষাপটে দেশটিতে অবশ্যই অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে। গণহত্যা সনদের সম্ভাব্য লঙ্ঘনসহ আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনজনিত জটিলতা যুক্তরাজ্যকে এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে ডব্লিউসিকে জানিয়েছে, ত্রাণকর্মীরা দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি ওয়্যারহাউসে ত্রাণ নামিয়ে বের হওয়ার পর পর হামলার শিকার হন। ওই সময় সমুদ্রপথে গাজায় পাঠানো ১০০ টনের বেশি ত্রাণ তাঁরা সেখানে পৌঁছে দেন। ওই ত্রাণবহরে তিনটি গাড়ি ছিল। এর মধ্যে দুটি ছিল সশস্ত্র। গাড়ির দৃশ্যমান জায়গায় বড় করে ডব্লিউসিকের লোগো দেওয়া ছিল। এর পরও তিনটি গাড়িতেই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, এমনটাই দাবি সংগঠনটির। তবে এ হামলাকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ বলে মন্তব্য করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। আর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হেরজি হালেভি বলেছেন, এটা একটি গুরুতর ভুল। এটা ঘটা উচিত হয়নি। ত্রাণকর্মীদের গাড়িতে হামলা ও হতাহতের ঘটনায় সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘটনাটি নিয়ে সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ডসহ অনেক দেশ।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থানবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ করতে দিচ্ছে না। এছাড়া ত্রাণকর্মী হত্যার ঘটনায় গাজায় ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ আরো কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। গাজায় এখন প্রতিদিন গড়ে ১৬১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। এটি দৈনিক ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাকের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিজেদের ১৭৬ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। গত বুধবার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্পর্কহীন বহিরাগত যেকোনো তৎপরতার প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে থাকা ফাতাহ বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে। আমরা আমাদের পবিত্র ভূমি এবং আমাদের মানুষদের রক্ত শোষণ করতে দেব না। নিরাপত্তা বাহিনী বা জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার লক্ষ্যে বাইরের যে কোনো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৫০০। অন্যদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ২৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ২৯২২টি গণহত্যা চালিয়েছে। আর এর জেরে গাজায় মোট ১৪৫০০ শিশু এবং ৯৫৬০ জন নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো সাত হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন এবং ইসরায়েলি হামলায় ৭৫ ৫৭৭ জন আহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি হামলার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা উভয়ের যেকোনো একজন ছাড়াই বসবাস করছে।
স্বাধীনতার যুদ্ধ সুকৌশলে বদলে দিচ্ছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় বিরামহীন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা বেঁচে আছেন তারা ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম খাদ্য সংকটে অভুক্ত দিন পার করছেন। এ অভুক্তদের যেসব সংস্থা খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে এবার তারাও প্রবল আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এতে দাতব্য কাজ থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা ঘটছে। অবস্থা এমন যে, স্বাধীনতাকামীদের অস্ত্রের লড়াই পরিণত হচ্ছে কেবল ‘ক্ষুধার লড়াইয়ে’।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন আগে থেকে অভিযোগ করছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশে পরিকল্পিতভাবে বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। তার চাক্ষুস প্রমাণ পাওয়া গেল সোমবারের হামলায়। অভুক্ত মানুষদের মুখে একটু খাবার তুলে দিতে ‘ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন’ সমুদ্রপথে ত্রাণসহায়তা নিয়ে গাজায় পৌঁছায়। কিন্তু তারাও ইসরায়েলের বর্বরতার শিকার হয়ে খাদ্যসামগ্রী না দিয়েই ফিরে গেছে।
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের মতো গাজায় কাজ করা অনেকে ভীত হয়ে পড়েছেন। আরো অনেকে ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে পারে। নিজেদের জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবীরা স্বভাবতই হতাশ হয়ে পড়বেন। এসব কারণে সেখানে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি আরো তীব্র হতে পারে। অবস্থা এমন যে, ফিলিস্তিনিরা আসলে কীসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? ইসরায়েল সুকৌশলে অস্ত্রধারী ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ বদলে দিচ্ছে। এমনিতেই পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ, গাজার মোট জনসংখ্যার অন্তত এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় ছয় লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছেন। এরই মধ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী খালাস বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। এরপর আর তা চালু করা হয়নি। অবশিষ্ট মালামাল নিয়েই সাইপ্রাসে ফিরে যাচ্ছে জাহাজটি। গত মঙ্গলবার সাইপ্রাসের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে জাহাজ থেকে ১০০ টন খাদ্য খালাস করেছিলেন কর্মীরা। সেসব দেইর আল বালাহ গুদামে রেখে ওই কর্মীরা স্থান ত্যাগ করছিলেন। ঠিক সে সময়ই তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গত সোমবার এ হামলা হয়। জাহাজটিতে ২৪০ টন খাবার ছিল।
শরণার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণের দায়িত্বে থাকাদের উদ্দেশ্য করেই এ হামলা করা হয় বলে বিশ্ব অনেকটা নিশ্চিত। কারণ, ওই কর্মীদের বহনকারী দুটি গাড়ির একটিতে সংস্থাটির লোগো ছিল। এ ছাড়া সংস্থাটি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা। এর প্রধান অর্থদাতা ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। নিহতরা ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, কানাডার নাগরিক। তাদের মধ্যে দ্বৈত নাগরিকও রয়েছেন।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিন গোর বলেন, এটি শুধু ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ওপর হামলা নয়, এটি মানবিক সাহায্যকারী সংস্থার ওপর হামলা। খাদ্যকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এ আক্রমণ তাই নির্দেশ করে। এ ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য।
সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডৌলিডেস বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। কিন্তু তা যেন গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে আমাদের নিরুৎসাহিত না করে। এ প্রচেষ্টা আমাদের দ্বিগুণ করতে হবে।
এদিকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে বিবৃতিতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। পরিস্থিতি বোঝার জন্য সর্বোচ্চ স্তর থেকে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা চলছে। একটি স্বাধীন, পেশাদার ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ঘটনার তদন্ত করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য বাহিনীটি সব সময়ই দিয়ে থাকে। কার্যত কোনো পদক্ষেপ কখনোই চোখে পড়ে না।
আলজাজিরা জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে। এরপর থেকে ৩২ হাজার ৮৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৩৯২ জন।
যারা বেঁচে আছেন তারা খাদ্য সংকটে অস্থির। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) উপপ্রধান রমেশ রাজাসিংহাম বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এসে গাজায় অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে অবস্থান করছেন।
সে সময় গাজায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে রমেশ আরো বলেন, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী ছয়জনের মধ্যে একজন শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। কার্যত ফিলিস্তিনি এই উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষ দুঃখজনকভাবে অপর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন। তিনি বলেন, যদি কিছু করা না হয় তাহলে আমরা আশঙ্কা করি গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য। সংঘাতে আরো অনেক মানুষ হতাহত হবে।
অন্যদিকে জেনেভায় ওসিএইচএর আরেক মুখপাত্র জেনস লায়েরকে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কারণে গাজায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ত্রাণবাহী গাড়িবহর হামলার শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনারা পরিকল্পিতভাবে যাদের ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন তাদের কাছে সেগুলো পাঠাতে বাধা দিচ্ছে। মানবিক কর্মীদের হয়রানি, ভয়-ভীতি ও আটক করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটির গাড়িতে হামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্তব্য ছিল, এ ধরনের হামলা মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে থামিয়ে দিচ্ছে। তারা ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেছেন। তা না হলে ফিলিস্তিন তথা গাজাবাসীর সামনে ভয়াবহ দুর্দিন যে অপেক্ষা করছে তা অনুমেয়।


























