০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার

➤ পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা
➤ রুমায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার
➤ ব্যাংক লুটের সময় ৪০ জনকে জিম্মি করে অস্ত্রধারীরা : পুলিশ
➤ কেএনএফের সঙ্গে সংলাপ সম্ভব নয় : শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি

 

 

বান্দরবানে সশস্ত্র ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় যৌথবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এতে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে টহল ও অভিযান পরিচালনা করছেন। ঘটনার পর থেকে বান্দরবানের তিন উপজেলার সোনালী ব্যাংকে কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এসব শাখার গ্রাহকরা অন্য শাখা থেকে লেনদেন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে। তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে হেঁটে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।

রুমার ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে দুটি ব্যাংক থেকে টাকা লুট হওয়ার সময় বাধা দিতে যাচ্ছিল ওসিসহ পুলিশের একটি দল। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে দুই দফা গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। তারা ব্যাংক কর্মকর্তা, ২ বিজিবি সদস্য, ৯ জন পুলিশ সদস্য ও ব্যাংকে আসা লোকজনসহ প্রায় ৪০ জনকে জিম্মি করে। পুলিশ গুলি চালালে জিম্মিদের গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। অপহরণ করে নিয়ে যায় ব্যাংক ম্যানেজারকে।

মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ার সময় মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নেজাম উদ্দীনকে।
এদিকে একদিন পর বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় অপহৃত ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাবের পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, ‘র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’

তাকে কখন, কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রুমা বাজারের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করি।’ তবে সমঝোতার বিষয়টি স্পষ্ট করেননি এ র‌্যাব কর্মকর্তা। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিতে হয়েছে কি না জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে হামলার এমন ঘটনায় হতভম্ব স্থানীয় জনগণ। ওই ঘটনার পর পুরো বান্দরবান জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় না দিলে অনেক লাশ পড়ত। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে থানচি উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখার সামনে গিয়ে দেখা যায়, সতর্ক পাহারায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। ব্যাংক দুটি থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে পাহাড়ের ওপর থানচি থানা।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জসীমউদ্দীন বলেন, ‘ব্যাংক লুটের খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ ফোর্স নিয়ে যখন যাচ্ছিলাম, তখন থানার প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। একই সঙ্গে থানার পেছন দিক থেকেও গুলি করা হয়। পরে বিকল্প পথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ব্যাংকের সামনে যখন যাই, ততক্ষণে অস্ত্রধারীরা টাকা নিয়ে চলে যায়।’

ঘটনার সময় সোনালী ব্যাংক থানচি শাখায় দায়িত্বরত একজন পুলিশ কনস্টেবল আজ বলেন, হঠাৎ করে চাঁদের গাড়িতে এসে চার থেকে পাঁচজন অস্ত্রধারী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। ঢোকার আগে তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তারা ব্যাংকে ঢুকে কর্মকর্তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে। পুলিশ অ্যাকশনে গেলেই সবার লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এই দুই দিনে বান্দরবানের তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফের নাম আসায়, সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া আর ‘সম্ভব নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের নিয়ে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা মারমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।’

কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ২০২৩ সালের ৩০ মে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। ওই বছরের জুলাই ও অগাস্টে কমিটির সঙ্গে কেএনএফের দুইবার ভার্চুয়াল আলোচনাও হয়।

উল্লেখ্য, কেএনএফ পাহাড়ের অপেক্ষাকৃত নতুন সশস্ত্র সংগঠন। তারা ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে তৎপরতা শুরু করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিপূর্বে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। সেই আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছর অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে কেএনএফের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ আলোচনা হয় গত ৫ মার্চ। এরপর হামলার ঘটনা ঘটল।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

তিন উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার

আপডেট সময় : ০৫:২৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

➤ পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা
➤ রুমায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার
➤ ব্যাংক লুটের সময় ৪০ জনকে জিম্মি করে অস্ত্রধারীরা : পুলিশ
➤ কেএনএফের সঙ্গে সংলাপ সম্ভব নয় : শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি

 

 

বান্দরবানে সশস্ত্র ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় যৌথবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এতে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে টহল ও অভিযান পরিচালনা করছেন। ঘটনার পর থেকে বান্দরবানের তিন উপজেলার সোনালী ব্যাংকে কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এসব শাখার গ্রাহকরা অন্য শাখা থেকে লেনদেন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে। তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে হেঁটে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।

রুমার ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে দুটি ব্যাংক থেকে টাকা লুট হওয়ার সময় বাধা দিতে যাচ্ছিল ওসিসহ পুলিশের একটি দল। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে দুই দফা গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। তারা ব্যাংক কর্মকর্তা, ২ বিজিবি সদস্য, ৯ জন পুলিশ সদস্য ও ব্যাংকে আসা লোকজনসহ প্রায় ৪০ জনকে জিম্মি করে। পুলিশ গুলি চালালে জিম্মিদের গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। অপহরণ করে নিয়ে যায় ব্যাংক ম্যানেজারকে।

মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ার সময় মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নেজাম উদ্দীনকে।
এদিকে একদিন পর বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় অপহৃত ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাবের পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, ‘র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’

তাকে কখন, কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রুমা বাজারের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করি।’ তবে সমঝোতার বিষয়টি স্পষ্ট করেননি এ র‌্যাব কর্মকর্তা। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিতে হয়েছে কি না জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে হামলার এমন ঘটনায় হতভম্ব স্থানীয় জনগণ। ওই ঘটনার পর পুরো বান্দরবান জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় না দিলে অনেক লাশ পড়ত। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে থানচি উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখার সামনে গিয়ে দেখা যায়, সতর্ক পাহারায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। ব্যাংক দুটি থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে পাহাড়ের ওপর থানচি থানা।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জসীমউদ্দীন বলেন, ‘ব্যাংক লুটের খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ ফোর্স নিয়ে যখন যাচ্ছিলাম, তখন থানার প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। একই সঙ্গে থানার পেছন দিক থেকেও গুলি করা হয়। পরে বিকল্প পথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ব্যাংকের সামনে যখন যাই, ততক্ষণে অস্ত্রধারীরা টাকা নিয়ে চলে যায়।’

ঘটনার সময় সোনালী ব্যাংক থানচি শাখায় দায়িত্বরত একজন পুলিশ কনস্টেবল আজ বলেন, হঠাৎ করে চাঁদের গাড়িতে এসে চার থেকে পাঁচজন অস্ত্রধারী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। ঢোকার আগে তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তারা ব্যাংকে ঢুকে কর্মকর্তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে। পুলিশ অ্যাকশনে গেলেই সবার লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এই দুই দিনে বান্দরবানের তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফের নাম আসায়, সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া আর ‘সম্ভব নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের নিয়ে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা মারমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।’

কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ২০২৩ সালের ৩০ মে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। ওই বছরের জুলাই ও অগাস্টে কমিটির সঙ্গে কেএনএফের দুইবার ভার্চুয়াল আলোচনাও হয়।

উল্লেখ্য, কেএনএফ পাহাড়ের অপেক্ষাকৃত নতুন সশস্ত্র সংগঠন। তারা ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে তৎপরতা শুরু করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিপূর্বে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। সেই আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছর অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে কেএনএফের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ আলোচনা হয় গত ৫ মার্চ। এরপর হামলার ঘটনা ঘটল।