ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৮৬ জন। এর আগে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। মাঠপর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য পাওয়া গেছে বলেন তিনি।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সংবিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচন করার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং বয়স ২৫ বছরের বেশি হতে হবে। আদালত থেকে কোনো ব্যক্তি যদি ‘অপ্রকৃতিস্থ’ বলে ঘোষিত হলে তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক হলে বা আনুগত্য স্বীকার করলে নির্বাচন করতে পারবেন না। তাছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জামানতের টাকা, হলফনামা বা নির্দিষ্টসংখ্যক সমর্থক না থাকার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। এদিকে, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, দ্বিতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ এপ্রিল। মনোনয়ন বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল।
অন্যদিকে, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই দফার নির্বাচনে ২১টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে। চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।


























