০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হুমকির মুখে পোল্ট্রি শিল্প

টানা তাপদাহ ও তীব্র লোডশেডিং

❖ হিটস্ট্রোকে মরছে মুরগি, ব্যাহত ডিম উৎপাদন
❖ ব্রয়লার মুরগির জন্য সহনীয় তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি
❖ বর্তমানে দেশে দিনের তাপমাত্রা ৩৮-৪২.৬ ডিগ্রি
❖ ৮০ হাজারের বেশি পোল্ট্রি খামার, বন্ধের শঙ্কায় ২০ হাজার
❖ পোলট্রিশিল্পের বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার

সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খাতেও। গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে বহু মুরগি, ব্যাহত হচ্ছে ডিম উৎপাদন। পানি ছিটানোসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার পরও ঠেকানো যাচ্ছে না মৃত্যু। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন খামারিরা। দেশের ৮০ হাজারের বেশি পোল্ট্রি খামারের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার সাময়িকভাবে বন্ধের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পোলট্রি খামারিদের ভাষ্য, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। কারণ প্রতিটি খামারের চাল টিনের। আর রোদের তাপ টিনে বেশি লাগছে। যে কারণে মুরগির গরমও লাগছে বেশি। এই গরমে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। স্ট্রোক করেই মারা যাচ্ছে মুরগি।

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, গরম শুরুর পর থেকেই খামারে মুরগির ছটফটানি শুরু হয়েছে। ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। প্রতিদিন কয়েকবার করে মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। গত ক’দিনের গরমে তার খামারে প্রতিদিন গড়ে মারা গেছে ৫০ থেকে ৬০টি মুরগি। গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারও কম দেওয়া হচ্ছে। এতে ডিমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তাপমাত্রার প্রভাব পড়েছে মাংস ও ডিম উৎপাদনে।

কুমিল্লার লাকসামের উদ্যোক্তা সাখাওয়াত হোসেনের লেয়ার মুরগির সংখ্যা ২২ হাজার। এ থেকে প্রতিদিন ৯৩-৯৫ শতাংশ ডিম পাওয়া যেত, যেটি এখন ৮০-৮৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ডিম উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এই উদ্যোক্তা জানান, মুরগি পর্যাপ্ত খাবার খাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি আরো কিছুদিন চলতে থাকলে প্রডাকশন আরো বড় আকারে কমতে পারে।

বরিশালের আমানতগঞ্জের সেলিনা হোসেন বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস আমার এ মুরগির খামার। করোনার সময় একবার বড় লোকসান হয়। অনেক মুরগি মারা গিয়েছিল তখন। অনেক কষ্টে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। ৮০০ ব্রয়লার মুরগি তুলেছিলাম। সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহ ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার প্রায় ৭০০ মুরগি। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্বামীহারা এ খামারি। আবার মুরগি ওঠানোর ক্ষমতা আমার নেই।

খামারিরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির জন্য স্বাভাবিক সহনীয় তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সারা দেশে এখন দিনের তাপমাত্রা থাকছে ৩৮-৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত ফ্যান ব্যবহার করেও হিট স্ট্রোকের হাত থেকে মুরগিকে বাঁচানো যাচ্ছে না। যাদের জেনারেটর ব্যবস্থা রয়েছে এবং যাদের নেই দুই ধরনের খামারই অতি তাপমাত্রার সমস্যায় ভুগছে। কারণ ফ্যান চালিয়ে বাড়তি এই তাপ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। কেবল যেসব প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রোলড শেড রয়েছে তাদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে না।

বরিশালে গত কয়েক দিনে ৬১৭টি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পোলট্রি মুরগির খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তিনি জানান, জেলায় ১ হাজার ৬০৮টি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ৬১৭টি, লেয়ার ৫৩৫টি ও সোনালি মুরগির ৪৫৬টি। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পোলট্রি খামারে দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোক। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। ফলে পোলট্রি খামারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) তথ্য বলছে, সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এর প্রতিটিতে পড়ছে চলমান তাপপ্রবাহের বিরূপ প্রভাব। তাপমাত্রা কমাতে ঘরের চালে পানি ছিটানোসহ নানা উদ্যোগেও ঠেকানো যাচ্ছে না মুরগির মৃত্যু।

 

 

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা, সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অন্তত ২০ হাজার খামার।

বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। গরমে মুরগিদের বাঁচিয়ে রাখতে খামারিরা খামারে পানি ছিঁটাচ্ছেন। মুরগিকে বেশি বেশি পানি খাওয়াচ্ছেন। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে উৎপাদন; বাড়ছে খরচ। ফলে লোকসানের মুখে খামার বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছেন অনেক খামারি। ছোটবড় খামারে দিনে গড়ে ১০০ থেকে ১ হাজার মুরগি মারা যাচ্ছে এমন খবরও আমরা পাচ্ছি। অনেকে মুরগি বিক্রি করে দিয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। গরমের এ তীব্রতা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। মুরগির বাজারেও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে মুরগির খামার আছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার। করোনার আগে ছিল ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশে প্রতিদিন ৪ কোটির বেশি ডিম ও ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মুরগির মাংস উৎপাদিত হয়। পোলট্রিশিল্পের বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার।

এদিকে, যশোর,পাবনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন খামারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন খামারেও প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

হুমকির মুখে পোল্ট্রি শিল্প

আপডেট সময় : ০৪:৩১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

❖ হিটস্ট্রোকে মরছে মুরগি, ব্যাহত ডিম উৎপাদন
❖ ব্রয়লার মুরগির জন্য সহনীয় তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি
❖ বর্তমানে দেশে দিনের তাপমাত্রা ৩৮-৪২.৬ ডিগ্রি
❖ ৮০ হাজারের বেশি পোল্ট্রি খামার, বন্ধের শঙ্কায় ২০ হাজার
❖ পোলট্রিশিল্পের বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার

সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খাতেও। গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে বহু মুরগি, ব্যাহত হচ্ছে ডিম উৎপাদন। পানি ছিটানোসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার পরও ঠেকানো যাচ্ছে না মৃত্যু। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন খামারিরা। দেশের ৮০ হাজারের বেশি পোল্ট্রি খামারের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার সাময়িকভাবে বন্ধের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পোলট্রি খামারিদের ভাষ্য, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। কারণ প্রতিটি খামারের চাল টিনের। আর রোদের তাপ টিনে বেশি লাগছে। যে কারণে মুরগির গরমও লাগছে বেশি। এই গরমে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। স্ট্রোক করেই মারা যাচ্ছে মুরগি।

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, গরম শুরুর পর থেকেই খামারে মুরগির ছটফটানি শুরু হয়েছে। ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। প্রতিদিন কয়েকবার করে মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। গত ক’দিনের গরমে তার খামারে প্রতিদিন গড়ে মারা গেছে ৫০ থেকে ৬০টি মুরগি। গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারও কম দেওয়া হচ্ছে। এতে ডিমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তাপমাত্রার প্রভাব পড়েছে মাংস ও ডিম উৎপাদনে।

কুমিল্লার লাকসামের উদ্যোক্তা সাখাওয়াত হোসেনের লেয়ার মুরগির সংখ্যা ২২ হাজার। এ থেকে প্রতিদিন ৯৩-৯৫ শতাংশ ডিম পাওয়া যেত, যেটি এখন ৮০-৮৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ডিম উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এই উদ্যোক্তা জানান, মুরগি পর্যাপ্ত খাবার খাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি আরো কিছুদিন চলতে থাকলে প্রডাকশন আরো বড় আকারে কমতে পারে।

বরিশালের আমানতগঞ্জের সেলিনা হোসেন বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস আমার এ মুরগির খামার। করোনার সময় একবার বড় লোকসান হয়। অনেক মুরগি মারা গিয়েছিল তখন। অনেক কষ্টে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। ৮০০ ব্রয়লার মুরগি তুলেছিলাম। সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহ ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার প্রায় ৭০০ মুরগি। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্বামীহারা এ খামারি। আবার মুরগি ওঠানোর ক্ষমতা আমার নেই।

খামারিরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির জন্য স্বাভাবিক সহনীয় তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সারা দেশে এখন দিনের তাপমাত্রা থাকছে ৩৮-৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত ফ্যান ব্যবহার করেও হিট স্ট্রোকের হাত থেকে মুরগিকে বাঁচানো যাচ্ছে না। যাদের জেনারেটর ব্যবস্থা রয়েছে এবং যাদের নেই দুই ধরনের খামারই অতি তাপমাত্রার সমস্যায় ভুগছে। কারণ ফ্যান চালিয়ে বাড়তি এই তাপ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। কেবল যেসব প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রোলড শেড রয়েছে তাদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে না।

বরিশালে গত কয়েক দিনে ৬১৭টি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পোলট্রি মুরগির খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তিনি জানান, জেলায় ১ হাজার ৬০৮টি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ৬১৭টি, লেয়ার ৫৩৫টি ও সোনালি মুরগির ৪৫৬টি। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পোলট্রি খামারে দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোক। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। ফলে পোলট্রি খামারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) তথ্য বলছে, সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এর প্রতিটিতে পড়ছে চলমান তাপপ্রবাহের বিরূপ প্রভাব। তাপমাত্রা কমাতে ঘরের চালে পানি ছিটানোসহ নানা উদ্যোগেও ঠেকানো যাচ্ছে না মুরগির মৃত্যু।

 

 

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা, সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অন্তত ২০ হাজার খামার।

বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। গরমে মুরগিদের বাঁচিয়ে রাখতে খামারিরা খামারে পানি ছিঁটাচ্ছেন। মুরগিকে বেশি বেশি পানি খাওয়াচ্ছেন। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে উৎপাদন; বাড়ছে খরচ। ফলে লোকসানের মুখে খামার বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছেন অনেক খামারি। ছোটবড় খামারে দিনে গড়ে ১০০ থেকে ১ হাজার মুরগি মারা যাচ্ছে এমন খবরও আমরা পাচ্ছি। অনেকে মুরগি বিক্রি করে দিয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। গরমের এ তীব্রতা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। মুরগির বাজারেও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে মুরগির খামার আছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার। করোনার আগে ছিল ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশে প্রতিদিন ৪ কোটির বেশি ডিম ও ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মুরগির মাংস উৎপাদিত হয়। পোলট্রিশিল্পের বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার।

এদিকে, যশোর,পাবনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন খামারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন খামারেও প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে।