০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদের হার বাড়লেও পূরণ হচ্ছে না মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা

দেশের ব্যাংক খাতে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সুদের হার। তবে এর প্রভাব নেই মূল্যস্ফীতিতে। মূল্যস্ফীতি না কমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে তা ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।

 

 

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে সুদের হার ধারাবিহকভাবে বেড়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো বাড়ছে।

 

 

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামাতে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন অধরা রয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা এবং সমন্বয়ের অভাবে মুদ্রানীতি কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ শতাংশ। অথচ কোনো মাসেই তা ৯ শতাংশের নিচে নামেনি, যা ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই অবস্থা।

 

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ ও নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

 

 

একইভাবে ২০২৩ সালের মাার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অথচ ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

 

 

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা জোর করে ৯ শতাংশে আটকে রাখা হয়। যা চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে তুলে দিয়ে স্মার্ট রেট করা হয়েছে। এতে জুলাইতে সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ হয়। তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে গত মার্চে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

 

 

 

২০২২ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসাবে যোগ দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। তখন তিনি বলেন, ‘শিগগির মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ একই বছরের ২২ আগস্ট ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স’র উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘অভ্যন্তরীণ সববরাহ বাড়িয়ে বৈশ্বিক এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

 

 

এ ছাড়া গত ১৭ জানিয়ারি মুদ্রানীতির অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রোজার পরেই মূল্যম্ফীতি লক্ষ্যের কাছাকাছি আসবে। যদিও এসবের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দৃশ্যমান না।

জনপ্রিয় সংবাদ

পানছড়িতে ৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরুসহ চোরাচালানি আটক

সুদের হার বাড়লেও পূরণ হচ্ছে না মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা

আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দেশের ব্যাংক খাতে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সুদের হার। তবে এর প্রভাব নেই মূল্যস্ফীতিতে। মূল্যস্ফীতি না কমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে তা ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।

 

 

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে সুদের হার ধারাবিহকভাবে বেড়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো বাড়ছে।

 

 

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামাতে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন অধরা রয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা এবং সমন্বয়ের অভাবে মুদ্রানীতি কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ শতাংশ। অথচ কোনো মাসেই তা ৯ শতাংশের নিচে নামেনি, যা ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই অবস্থা।

 

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ ও নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

 

 

একইভাবে ২০২৩ সালের মাার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অথচ ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

 

 

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা জোর করে ৯ শতাংশে আটকে রাখা হয়। যা চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে তুলে দিয়ে স্মার্ট রেট করা হয়েছে। এতে জুলাইতে সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ হয়। তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে গত মার্চে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

 

 

 

২০২২ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসাবে যোগ দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। তখন তিনি বলেন, ‘শিগগির মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ একই বছরের ২২ আগস্ট ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স’র উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘অভ্যন্তরীণ সববরাহ বাড়িয়ে বৈশ্বিক এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

 

 

এ ছাড়া গত ১৭ জানিয়ারি মুদ্রানীতির অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রোজার পরেই মূল্যম্ফীতি লক্ষ্যের কাছাকাছি আসবে। যদিও এসবের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দৃশ্যমান না।