০৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় চরম অনিশ্চয়তায় কর্মীরা

  • হতাশার সঙ্গে টাকা ফেরত নিয়ে উৎকণ্ঠায় ফ্লাইটবঞ্চিতরা
  • টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস এজেন্সি কর্তৃপক্ষের

বিশ্বের ১৪ টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার সুযোগ শেষ হয়েছে ৩১ মে। এসময়ের মধ্যে দেশটিতে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ভিসাপ্রাপ্ত আগ্রহী কর্মীরা। রিত্রুটিং এজেন্সি সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ করে যেমন অনেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন, তেমনি নানা জটিলতায় বঞ্চিতও হয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। তবে তড়িঘড়ি করে দেশটিতে পাড়ি জমাতে গিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। কারণ কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বহু শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি কি হয় তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্বজনরা। এদিকে ভিসা পেয়েও বহু শ্রমিক শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত বঞ্চিত শ্রমিকের সঠিক পরিসংখ্যান জানা না গেলে এসখ্যা ৩০ হাজারের বেশি বলে রিক্রটিং এজেন্সি ও বায়রা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করেও মালয়েশিয়া যেতে না পারা এসব শ্রমিকদের মাঝে চরম হতাশার পাশাপাশি নতুন করে উৎকণ্ঠা বেড়েছে এজেন্সির কাজে জমা দেয়া টাকা ফেরত নিয়ে। প্রত্যেক কর্মী ৫-৬লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তবে এজেন্সির কাছে জমা দেয়া টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়েও তৈরি হবে জটিলতা। কারণ সরকারি হিসাবে অভিবাসন ব্যয় কর্মীপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও এজেন্সিগুলো কর্মীপ্রতি সাড়ে ছয়লাখ টাক পর্যন্ত নিয়েছে।

ফলে কর্মীদের সিংহভাগ টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলছেন, এসব কর্মীকে মালয়েশিয়া নিতে চেষ্টা চলছে। এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সংকটের জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ জানতে অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠনকরা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। গতকাল সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় ৫ লাখের উপরে কর্মী প্রেরণের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বায়রা সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে। পরবর্তীতে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধানে অ্যাম্বেসি ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সরকার চায় বৈধপথে শ্রমিক বিদেশে যাবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হয়রানি করা না, যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। ১ জুন থেকে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আগমুহূর্তে শেষ সুযোগ হিসেবে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে গেছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদের বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে নতুন করে আসা শ্রমিকদের অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বিমানবন্দরে। সেখানে এখন তিলধারণের ঠাঁই নেই। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে মালয়েশিয়ায় আসা হাজার হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তাদের যেসব চাকরির লোভ দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে তা হয়তো ভুয়া। তারা প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন। শ্রমিক অধিকারকর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দালালরা ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসত। শুধু এ কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এই দালাল এবং প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি। ফলে গত কয়েকদিনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় গেছেন তারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধিকারকর্মীরা।

বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ভিসা পেয়েছে এমন ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এসব কর্মীকে এজেন্সিগুলোর টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। সূত্রমতে, সিন্ডিকেটের কারণেই মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয়বার দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ল কর্মীরা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার দরজা বন্ধ হওয়া মানে প্রবাসী আয়েও একটা বড় প্রভাব পড়বে।
এবার দেশটিতে সরকার অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু কর্মী প্রতি এজেন্সিগুলো সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। বাড়তি টাকা কর্মীদের পকেট থেকে লুটে নিয়েছে এই চক্র। এখন টাকা যদি ফেরত দেওয়া হলেও পুরো টাকা পাওয়া অনিশ্চিত। যদিও বায়রার যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, এজেন্সিগুলো যত টাকা নিয়েছে ততো টাকাই ফেরত দেওয়া উচিত। সরকারি টাকার বাইরেও যে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই টাকারও ডকুমেন্ট আছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় চরম অনিশ্চয়তায় কর্মীরা

আপডেট সময় : ১২:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • হতাশার সঙ্গে টাকা ফেরত নিয়ে উৎকণ্ঠায় ফ্লাইটবঞ্চিতরা
  • টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস এজেন্সি কর্তৃপক্ষের

বিশ্বের ১৪ টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার সুযোগ শেষ হয়েছে ৩১ মে। এসময়ের মধ্যে দেশটিতে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ভিসাপ্রাপ্ত আগ্রহী কর্মীরা। রিত্রুটিং এজেন্সি সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ করে যেমন অনেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন, তেমনি নানা জটিলতায় বঞ্চিতও হয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। তবে তড়িঘড়ি করে দেশটিতে পাড়ি জমাতে গিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। কারণ কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বহু শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি কি হয় তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্বজনরা। এদিকে ভিসা পেয়েও বহু শ্রমিক শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত বঞ্চিত শ্রমিকের সঠিক পরিসংখ্যান জানা না গেলে এসখ্যা ৩০ হাজারের বেশি বলে রিক্রটিং এজেন্সি ও বায়রা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করেও মালয়েশিয়া যেতে না পারা এসব শ্রমিকদের মাঝে চরম হতাশার পাশাপাশি নতুন করে উৎকণ্ঠা বেড়েছে এজেন্সির কাজে জমা দেয়া টাকা ফেরত নিয়ে। প্রত্যেক কর্মী ৫-৬লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তবে এজেন্সির কাছে জমা দেয়া টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়েও তৈরি হবে জটিলতা। কারণ সরকারি হিসাবে অভিবাসন ব্যয় কর্মীপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও এজেন্সিগুলো কর্মীপ্রতি সাড়ে ছয়লাখ টাক পর্যন্ত নিয়েছে।

ফলে কর্মীদের সিংহভাগ টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলছেন, এসব কর্মীকে মালয়েশিয়া নিতে চেষ্টা চলছে। এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সংকটের জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ জানতে অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠনকরা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। গতকাল সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় ৫ লাখের উপরে কর্মী প্রেরণের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বায়রা সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে। পরবর্তীতে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধানে অ্যাম্বেসি ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সরকার চায় বৈধপথে শ্রমিক বিদেশে যাবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হয়রানি করা না, যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। ১ জুন থেকে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আগমুহূর্তে শেষ সুযোগ হিসেবে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে গেছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদের বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে নতুন করে আসা শ্রমিকদের অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বিমানবন্দরে। সেখানে এখন তিলধারণের ঠাঁই নেই। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে মালয়েশিয়ায় আসা হাজার হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তাদের যেসব চাকরির লোভ দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে তা হয়তো ভুয়া। তারা প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন। শ্রমিক অধিকারকর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দালালরা ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসত। শুধু এ কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এই দালাল এবং প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি। ফলে গত কয়েকদিনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় গেছেন তারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধিকারকর্মীরা।

বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ভিসা পেয়েছে এমন ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এসব কর্মীকে এজেন্সিগুলোর টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। সূত্রমতে, সিন্ডিকেটের কারণেই মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয়বার দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ল কর্মীরা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার দরজা বন্ধ হওয়া মানে প্রবাসী আয়েও একটা বড় প্রভাব পড়বে।
এবার দেশটিতে সরকার অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু কর্মী প্রতি এজেন্সিগুলো সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। বাড়তি টাকা কর্মীদের পকেট থেকে লুটে নিয়েছে এই চক্র। এখন টাকা যদি ফেরত দেওয়া হলেও পুরো টাকা পাওয়া অনিশ্চিত। যদিও বায়রার যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, এজেন্সিগুলো যত টাকা নিয়েছে ততো টাকাই ফেরত দেওয়া উচিত। সরকারি টাকার বাইরেও যে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই টাকারও ডকুমেন্ট আছে।