১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন কিমের

➤ নতুন চুক্তি স্বাক্ষর পুতিন-কিমের
➤ দুই যুগ পর উত্তর কোরিয়ায় পুতিন, কিমের রাজকীয় অভ্যর্থনা

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে পুরোপুরি সমর্থন করে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ে রুশ নেতা ভøাদিমির পুতিনের সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন বিষয়টি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, মস্কোর যুদ্ধকে সমর্থন করায় কিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। গতকাল স্থানীয় সময় সকালে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর স্বাগত অনুষ্ঠান শেষে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেন কিম ও পুতিন। এ সময় তারা এসব কথা বলেন। কিম বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে পুরোপুরি সমর্থন করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে কিম বলেছিলেন, দুই দেশই ‘নতুন সমৃদ্ধির’ সময়ে প্রবেশ করছে। কিম আরও বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ‘রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা’ জোরদার করতে চায়।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রতি ‘অটল’ সমর্থন দেওয়ায় কিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আলোচনার শুরুতে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ান নীতির প্রতি আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের প্রশংসা করি। এ সময় পুতিন কিমকে বলেন, দশকের পর দশক ধরে চাপিয়ে দেওয়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে রাশিয়া। এর আগে পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কয়ারে স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেন পুতিন ও কিম। সেখানে নানা আয়োজনে পুতিনকে স্বাগত জানানো হয়।

 

নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করলেন পুতিন-কিম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ জানিয়েছে, দুই নেতা একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তবে চুক্তিতে কী আছে তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। এর আগে, গত মঙ্গলবার পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ রুশ গণমাধ্যমকে জানান, একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে, যার মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুও থাকতে পারে।

এদিকে পুতিন এই সফরে আবারও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আক্রমণ করেছেন। কিমের সাথে আলোচনার শুরুতে ‘আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এটি পুতিনের পূর্ববর্তী বার্তাগুলির ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত করে। সফরের আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তার লেখা এক চিঠিতে নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা থাকবে পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পুতিন তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, ব্ল্যাকমেইল ও সামরিক হুমকি সত্ত্বেও পিয়ংইয়ংকে সমর্থন দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক সহযোগিতা সমতা এবং একে অপরের স্বার্থের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বহু দশক ধরে দৃঢ় বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠ সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে সংযুক্ত করেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইউক্রেন আগ্রাসন উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। বিবিসির খবর অনুসারে, উত্তর কোরিয়াকে প্রায়ই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু কয়েক দশক ধরে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে দেশটির গভীর সম্পর্ক বিরাজ করছে।

 

দুই যুগ পর উত্তর কোরিয়ায় পুতিন, কিমের রাজকীয় অভ্যর্থনা
গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। গত মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতা হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। রুশ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘোড়সওয়ার সেনাদল ও রাজধানীর বুকে তাইডং নদীর ধারে কিম ইল সুং স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকের বড় জমায়েত তাকে অভ্যর্থনা জানায়। বেলুন উড়িয়ে রুশ নেতাকে স্বাগত জানায় শিশুরা। তখন স্কোয়ারের মূল ভবনে জাতীয় পতাকাসহ দুই নেতার বিশাল প্রতিকৃতি দেখা যায়।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুতিন পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কিম তাকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাজুড়ে সারি সারি পুতিনের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। আর নির্মাণাধীন ১০১তলা পিরামিড আকৃতির রিয়োগইয়ং হোটেলের সামনে ‘স্বাগত পুতিন’ লেখা নিয়ন আলোকের বিশাল বার্তা টানানো। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার উপহার দেওয়া লিমুজিনে করে শহরের দিকে রওনা হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কুমসুসান প্রাসাদে পরে কিম ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়।

২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনের প্রথম সফর এটি। এমন একসময়ে এই সফর হচ্ছে, যখন উভয় দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি। তাই এই সফরে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে। ওয়াশিংটনকে খোঁচাতে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে রাশিয়া। আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি বাণিজ্য সুবিধা পায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভয় পায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। আর পিয়ংইয়ংয়ের দেওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলেও তারা অভিযোগ করছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং তা অস্বীকার করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন কিমের

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

➤ নতুন চুক্তি স্বাক্ষর পুতিন-কিমের
➤ দুই যুগ পর উত্তর কোরিয়ায় পুতিন, কিমের রাজকীয় অভ্যর্থনা

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে পুরোপুরি সমর্থন করে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ে রুশ নেতা ভøাদিমির পুতিনের সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন বিষয়টি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, মস্কোর যুদ্ধকে সমর্থন করায় কিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। গতকাল স্থানীয় সময় সকালে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর স্বাগত অনুষ্ঠান শেষে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেন কিম ও পুতিন। এ সময় তারা এসব কথা বলেন। কিম বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে পুরোপুরি সমর্থন করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে কিম বলেছিলেন, দুই দেশই ‘নতুন সমৃদ্ধির’ সময়ে প্রবেশ করছে। কিম আরও বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ‘রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা’ জোরদার করতে চায়।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রতি ‘অটল’ সমর্থন দেওয়ায় কিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আলোচনার শুরুতে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ান নীতির প্রতি আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের প্রশংসা করি। এ সময় পুতিন কিমকে বলেন, দশকের পর দশক ধরে চাপিয়ে দেওয়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে রাশিয়া। এর আগে পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কয়ারে স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেন পুতিন ও কিম। সেখানে নানা আয়োজনে পুতিনকে স্বাগত জানানো হয়।

 

নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করলেন পুতিন-কিম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ জানিয়েছে, দুই নেতা একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তবে চুক্তিতে কী আছে তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। এর আগে, গত মঙ্গলবার পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ রুশ গণমাধ্যমকে জানান, একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে, যার মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুও থাকতে পারে।

এদিকে পুতিন এই সফরে আবারও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আক্রমণ করেছেন। কিমের সাথে আলোচনার শুরুতে ‘আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এটি পুতিনের পূর্ববর্তী বার্তাগুলির ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত করে। সফরের আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তার লেখা এক চিঠিতে নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা থাকবে পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পুতিন তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, ব্ল্যাকমেইল ও সামরিক হুমকি সত্ত্বেও পিয়ংইয়ংকে সমর্থন দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক সহযোগিতা সমতা এবং একে অপরের স্বার্থের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বহু দশক ধরে দৃঢ় বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠ সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে সংযুক্ত করেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইউক্রেন আগ্রাসন উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। বিবিসির খবর অনুসারে, উত্তর কোরিয়াকে প্রায়ই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু কয়েক দশক ধরে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে দেশটির গভীর সম্পর্ক বিরাজ করছে।

 

দুই যুগ পর উত্তর কোরিয়ায় পুতিন, কিমের রাজকীয় অভ্যর্থনা
গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। গত মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতা হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। রুশ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘোড়সওয়ার সেনাদল ও রাজধানীর বুকে তাইডং নদীর ধারে কিম ইল সুং স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকের বড় জমায়েত তাকে অভ্যর্থনা জানায়। বেলুন উড়িয়ে রুশ নেতাকে স্বাগত জানায় শিশুরা। তখন স্কোয়ারের মূল ভবনে জাতীয় পতাকাসহ দুই নেতার বিশাল প্রতিকৃতি দেখা যায়।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুতিন পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কিম তাকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাজুড়ে সারি সারি পুতিনের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। আর নির্মাণাধীন ১০১তলা পিরামিড আকৃতির রিয়োগইয়ং হোটেলের সামনে ‘স্বাগত পুতিন’ লেখা নিয়ন আলোকের বিশাল বার্তা টানানো। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার উপহার দেওয়া লিমুজিনে করে শহরের দিকে রওনা হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কুমসুসান প্রাসাদে পরে কিম ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়।

২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনের প্রথম সফর এটি। এমন একসময়ে এই সফর হচ্ছে, যখন উভয় দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি। তাই এই সফরে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে। ওয়াশিংটনকে খোঁচাতে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে রাশিয়া। আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি বাণিজ্য সুবিধা পায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভয় পায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। আর পিয়ংইয়ংয়ের দেওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলেও তারা অভিযোগ করছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং তা অস্বীকার করেছে।