০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই সড়ক অবরুদ্ধ: দূর্ভোগে যাত্রীরা

“কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক”, “কোটা প্রথার আস্তানা ভেঙ্গে যাক গুড়িয়ে যাক”-স্লোগানে মুখরিত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের শুরুতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ এবং পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এক সাথে দুই সড়ক অবরোধ করাতে দীর্ঘ যানজটে আটকে যায় সড়কের যানবাহনগুলো। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় তীব্র ভোগান্তিতে থাকে।
মঙ্গলবার(১০জুলাই) বিকেল ৪:৩০ঘটিকায় অবরোধ করা হয়েছে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কটি। এরপর ৫ঘটিকায় অবরোধ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়কটি। এসময়  বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনে অংশ নিতে এর আগে বিকেল ৩ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের মাইকিং করে ডাকা হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত সোমবার দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবৎ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কটিতে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট তৈরি হয়। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ভোগান্তিতে ভোগে। তবে জরুরি সেবা(এ্যাম্বুলেন্সগুলো ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা)।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আপিল বিভাগের রায় শুধুমাত্র ৪সপ্তাহ জন্য হলে চলবেনা। আমরা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫%কোটা চাই। এর বেশি আর কোনো কোটা থাকতে পারবেনা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ হোসেন রাজ বলেন, সংবিধান যেখানে সমতার কথা বলেছে সেখানে কেন কোটা পদ্ধতি থাকবে? আমরা সমতায় বিশ্বাসী। আমরা মেধার পরিচয় দিয়ে চাকরী পেতে চাই। কোটা দিয়ে কেন চাকরী পেতে হবে! তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধ আন্দোলন করছিনা। আন্দোলন করছি বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে। পৃথিবীর কোনো দেশে বাংলাদেশের মত কোটা ব্যবস্থা নেই। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক প্রকার মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এত কষ্ট করে পড়াশোনা করে কি হবে যদি আমাকে কোটার মাধ্যমে যাচাই করা হয়! আমরা এই ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
সড়ক অবরোধ নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী ওমর শরীফ সরকার বলেন, আমাদের দাবি এক দফা এক। আমরা সমতা চাই। আমরা বৈষম্য চাইনা। এমনকি আমরা সাধারন জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলতে চাইনা।  আমরা কোটা সংস্কার দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, মেধার বিপরীতে যদি কোটা দিয়ে চাকরী পেতে হয় তাহলে আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি! আমাদের নানা কিংবা নানীরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, এটা কি আমাদের অপরাধ! আমরা কোটার সংস্কার চাই। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত কোটার সংস্কার না হবে ততদিন পর্যন্ত এই সড়ক অবরোধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ২ঘন্টা আন্দোলন শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে উভয় সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই সড়ক অবরুদ্ধ: দূর্ভোগে যাত্রীরা

আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
“কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক”, “কোটা প্রথার আস্তানা ভেঙ্গে যাক গুড়িয়ে যাক”-স্লোগানে মুখরিত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের শুরুতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ এবং পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এক সাথে দুই সড়ক অবরোধ করাতে দীর্ঘ যানজটে আটকে যায় সড়কের যানবাহনগুলো। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় তীব্র ভোগান্তিতে থাকে।
মঙ্গলবার(১০জুলাই) বিকেল ৪:৩০ঘটিকায় অবরোধ করা হয়েছে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কটি। এরপর ৫ঘটিকায় অবরোধ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়কটি। এসময়  বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনে অংশ নিতে এর আগে বিকেল ৩ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের মাইকিং করে ডাকা হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত সোমবার দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবৎ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কটিতে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট তৈরি হয়। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ভোগান্তিতে ভোগে। তবে জরুরি সেবা(এ্যাম্বুলেন্সগুলো ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা)।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আপিল বিভাগের রায় শুধুমাত্র ৪সপ্তাহ জন্য হলে চলবেনা। আমরা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫%কোটা চাই। এর বেশি আর কোনো কোটা থাকতে পারবেনা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ হোসেন রাজ বলেন, সংবিধান যেখানে সমতার কথা বলেছে সেখানে কেন কোটা পদ্ধতি থাকবে? আমরা সমতায় বিশ্বাসী। আমরা মেধার পরিচয় দিয়ে চাকরী পেতে চাই। কোটা দিয়ে কেন চাকরী পেতে হবে! তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধ আন্দোলন করছিনা। আন্দোলন করছি বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে। পৃথিবীর কোনো দেশে বাংলাদেশের মত কোটা ব্যবস্থা নেই। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক প্রকার মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এত কষ্ট করে পড়াশোনা করে কি হবে যদি আমাকে কোটার মাধ্যমে যাচাই করা হয়! আমরা এই ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
সড়ক অবরোধ নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী ওমর শরীফ সরকার বলেন, আমাদের দাবি এক দফা এক। আমরা সমতা চাই। আমরা বৈষম্য চাইনা। এমনকি আমরা সাধারন জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলতে চাইনা।  আমরা কোটা সংস্কার দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, মেধার বিপরীতে যদি কোটা দিয়ে চাকরী পেতে হয় তাহলে আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি! আমাদের নানা কিংবা নানীরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, এটা কি আমাদের অপরাধ! আমরা কোটার সংস্কার চাই। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত কোটার সংস্কার না হবে ততদিন পর্যন্ত এই সড়ক অবরোধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ২ঘন্টা আন্দোলন শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে উভয় সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।