০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীদের উপর লাটিচার্জ :আহত ১০

সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের বটতলী রেলস্টেশনে আড়াইরা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ৪টার দিকে টাইগারপাস মহাসড়ক অবরোধের সময় পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হন তারা। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে এবং শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাড়ে ৫টার দিকে শহরের ২নম্বর গেইট পৌঁছালে পুনরায় জোড়ালো লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় শিক্ষার্থীরা আল ফালাহ গলি এবং রেলক্রসিংয়ের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় আন্দোলনের সমন্বয়কারী তালাহ রাফি পুলিশের পথ আগলে দাঁড়ায়। এসময় পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা আবার জড়ো হতে থাকে।
এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী রেলস্টেশনে অবস্থান করেন তারা। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেলস্টেশন থেকে টাইগারপাস মহাসড়ক অবরোধের জন্য গেলে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজকের লাঠিচার্জে ৩ জন বেশ গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও অসংখ্য শিক্ষার্থীকে হাতে, পিঠে এবং পায়ে আঘাত পেয়েছে জানায়। এর আগে দুপুর দেড়টার শাটল ট্রেনে চড়ে ২২ কিলোমিটার দূরে বটতলী রেলস্টেশন আসেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজ’ এর ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  লাঠিচার্জ করার পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে পুনরায় ২নং গেইট মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। এখন স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলন করছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মোখলেছুর রহমান শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করেছি। আমরা লাঠিচার্জ করিনি এবং কেউ আহতও হয়নি।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

কোটা সংস্কার আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীদের উপর লাটিচার্জ :আহত ১০

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের বটতলী রেলস্টেশনে আড়াইরা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ৪টার দিকে টাইগারপাস মহাসড়ক অবরোধের সময় পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হন তারা। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে এবং শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাড়ে ৫টার দিকে শহরের ২নম্বর গেইট পৌঁছালে পুনরায় জোড়ালো লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় শিক্ষার্থীরা আল ফালাহ গলি এবং রেলক্রসিংয়ের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় আন্দোলনের সমন্বয়কারী তালাহ রাফি পুলিশের পথ আগলে দাঁড়ায়। এসময় পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা আবার জড়ো হতে থাকে।
এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী রেলস্টেশনে অবস্থান করেন তারা। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেলস্টেশন থেকে টাইগারপাস মহাসড়ক অবরোধের জন্য গেলে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজকের লাঠিচার্জে ৩ জন বেশ গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও অসংখ্য শিক্ষার্থীকে হাতে, পিঠে এবং পায়ে আঘাত পেয়েছে জানায়। এর আগে দুপুর দেড়টার শাটল ট্রেনে চড়ে ২২ কিলোমিটার দূরে বটতলী রেলস্টেশন আসেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজ’ এর ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  লাঠিচার্জ করার পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে পুনরায় ২নং গেইট মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। এখন স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলন করছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মোখলেছুর রহমান শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করেছি। আমরা লাঠিচার্জ করিনি এবং কেউ আহতও হয়নি।