০২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছাত্রলীগ

রাজাকার স্লোগানে মুখরিত বশেমুরবিপ্রবি

গতকাল মধ্য রাত থেকে রাজাকার স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেমুরবিপ্রবি)। একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা।  বিপরীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
গতকাল রাত সাড়ে ১২ঘটিকা থেকে ২ঘটিকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার, ‘চেয়েছিলাম অধিকার পেয়েছি রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ অবস্খান পালন করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগ কর্মীরা।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কোটা প্রথা নিয়ে কথা বলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা দেশ স্বাধীন করেছে: তাদের নাতি নাতনীরা কোটার সুবিধা পাবেনা তো রাজাকারের নাতি নাতনিরা পাবে!
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিক্ষোভে ফেঁপে পড়ে গোটা দেশের শিক্ষার্থীরা। রাত ১১থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। শিক্ষার্থীরা রাজাকারের স্লোগান নিয়ে রাজপথে নামে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শাখা ছাত্রলীগ। কিন্তু বশেমুরবিপ্রবিতে তার বিপরীত অবস্থান দেখা যায়।
রবিবার রাত সাড়ে ১২ঘটিকায় প্রথমে ছেলেদের আবাসিক হল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ঢল নামে। এসময় তারা রাজাকারের স্লোগান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। এরপর রাত ১ঃ৩০ ঘটিকায় মেয়েদের আবাসিক হল থেকে শতাধিক নারী শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড় এলাকা হয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের পাশ দিয়ে গিয়ে মেয়েদের হলে শেষ হয়।
সোমবার সকালবেলা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুর সাড়ে ১২ঘটিকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি প্রথমে লিপুস ক্যান্টিন থেকে শুরু করে ছেলেদের হলে যায়। এরপর কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিত মেয়েদের হল হয়ে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে আসে। প্রধান ফটকে এসে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা তাদের কোটা বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করি। তারা কোটা বিরোধী আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু নিজেদেরকে রাজাকার দাবি করাটা যুক্তিক মনে করছিনা। রাতে তারা যে কর্মসূচি পালন করেছে সেটা করা উচিত হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কারো দ্বারা বায়াসড হচ্ছে কিনা সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষন করছি।
বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. জসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বক্তব্য আমরা আশা করিনা। তিনি আমাদের যৌক্তিক দাবিকে এভাবে রাজাকারের সাথে তুলনা করতে পারেন না।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছাত্রলীগ

রাজাকার স্লোগানে মুখরিত বশেমুরবিপ্রবি

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
গতকাল মধ্য রাত থেকে রাজাকার স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেমুরবিপ্রবি)। একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা।  বিপরীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
গতকাল রাত সাড়ে ১২ঘটিকা থেকে ২ঘটিকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার, ‘চেয়েছিলাম অধিকার পেয়েছি রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ অবস্খান পালন করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগ কর্মীরা।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কোটা প্রথা নিয়ে কথা বলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা দেশ স্বাধীন করেছে: তাদের নাতি নাতনীরা কোটার সুবিধা পাবেনা তো রাজাকারের নাতি নাতনিরা পাবে!
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিক্ষোভে ফেঁপে পড়ে গোটা দেশের শিক্ষার্থীরা। রাত ১১থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। শিক্ষার্থীরা রাজাকারের স্লোগান নিয়ে রাজপথে নামে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শাখা ছাত্রলীগ। কিন্তু বশেমুরবিপ্রবিতে তার বিপরীত অবস্থান দেখা যায়।
রবিবার রাত সাড়ে ১২ঘটিকায় প্রথমে ছেলেদের আবাসিক হল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ঢল নামে। এসময় তারা রাজাকারের স্লোগান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। এরপর রাত ১ঃ৩০ ঘটিকায় মেয়েদের আবাসিক হল থেকে শতাধিক নারী শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড় এলাকা হয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের পাশ দিয়ে গিয়ে মেয়েদের হলে শেষ হয়।
সোমবার সকালবেলা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুর সাড়ে ১২ঘটিকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি প্রথমে লিপুস ক্যান্টিন থেকে শুরু করে ছেলেদের হলে যায়। এরপর কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিত মেয়েদের হল হয়ে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে আসে। প্রধান ফটকে এসে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা তাদের কোটা বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করি। তারা কোটা বিরোধী আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু নিজেদেরকে রাজাকার দাবি করাটা যুক্তিক মনে করছিনা। রাতে তারা যে কর্মসূচি পালন করেছে সেটা করা উচিত হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কারো দ্বারা বায়াসড হচ্ছে কিনা সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষন করছি।
বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. জসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বক্তব্য আমরা আশা করিনা। তিনি আমাদের যৌক্তিক দাবিকে এভাবে রাজাকারের সাথে তুলনা করতে পারেন না।